• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের যোগ করা সময়ে জোড়া গোল করে আর্সেনালের ইউনাইটেড-বধ

    রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের যোগ করা সময়ে জোড়া গোল করে আর্সেনালের ইউনাইটেড-বধ    

    আর্সেনাল ৩:১ ম্যান ইউনাইটেড 


    দুই শীর্ষ চার প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে যেমন উত্তাপ থাকার কথা ছিল তেমন উত্তাপ ছড়িয়ে জমজমাট এক লড়াই উপহার দিল এমিরেটস স্টেডিয়াম। আলেহান্দ্রো গারনাচোর গোলে একবার জয় উদযাপন করে ফেলা ম্যান ইউনাইটেডকে প্রথমে মাটিতে নামিয়ে আনে ভিএআর। সেন্টিমিটারের জন্য অফসাইড হওয়া সেই গোলের পর অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের গুরুত্বপূর্ণ এক জয় এনে দেন ডেকান রাইস ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। 

    ঘরের মাঠে নিয়ম মেনে সিংহভাগ বলের দখল রেখেই ম্যাচ শুরু করে আর্সেনাল। ১৪ মিনিটে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের সামনে থেকে হ্যাভার্জ শট নিতে ব্যর্থ না হলে এগিয়েও যেতে পারত তারা। কিন্তু আর্সেনালের ভালো শুরুকে পণ্ড করে ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে ইউনাইটেড। ২৭ মিনিটে হ্যাভার্জের ভুল পাস থেকে বল পান এরিকসেন, দেরি না করে রাশফোর্ডকে সামনে পাস দেন তিনি। একা আক্রমণে উঠে, বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে প্রবেশ করে, দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ভিতরে কাট-ইন করে শট নেন রাশফোর্ড। রামসডেলের হাতে লেগে জালে জড়ায় বল। প্রথম অন টার্গেট শটেই গোল পায় ইউনাইটেড। 

    তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। রাশফোর্ডের উদযাপনের পর খেলা শুরু হওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মাথায় সমতা ফেরায় আর্সেনাল। বক্সের ভেতর রান নেওয়া মার্টিনেল্লিকে খুঁজে নেন এনকেতিয়া, মার্টিনেল্লি কাট ব্যাক করেন বক্সের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা ওডেগার্ডকে, যার শট ফেরানোর কোনো সুযোগই পাননি ওনানা। 

    ৩৭ মিনিটে এনকেতিয়াকে আটকাতে গিয়ে প্রথমে মুখে লাথি, ও পরে পায়ে ট্যাকেল করেন ইউনাইটেডের শেষ ডিফেন্ডার ভিক্টর লিন্ডেলফ। আর্সেনাল খেলোয়াড়দের অবিশ্বাসের মুখে তাকে সরাসরি লাল না দিয়ে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি অ্যান্থনি টেইলর।  

    ১-১ গোলে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ইউনাইটেড। ৫৫ মিনিটে ফার্নান্দেজের বাড়ানো বলে শট নেন মার্শিয়াল। রামসডেল তা ফেরাতে সক্ষম হলেও ফিরতি বল গিয়ে ঠেকে রাশফোর্ডের পায়ে, যার শট ব্লক করেন সালিবা। এই ঘটনার চার মিনিটের মধ্যে অপর প্রান্তে পেনাল্টি পেয়ে বসে আর্সেনাল। কিন্তু ভিএআরের রিপ্লেতে দেখা যায় ওয়ান-বিসাকা মিসট্যাকেল হ্যাভার্জকে স্পর্শ না করলেও মাটিয়ে গড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।  

    ইউনাইটেডের নতুন সাইনিং রাসমাস হইলান্ড বদলি হিসেবে নামেন ৬৭ মিনিটে। তার আগমনের পর আক্রমণে আরেকটু সচল হয় সফরকারীরা। তবে অপর প্রান্তে দুটি সহজ সুযোগ মিস করেন মার্টিনেল্লি ও সাকা। 

    ৮৮ মিনিটে মিডফিল্ডে বল জিতে কাউন্টারে উঠে ইউনাইটেড। হইলান্ডের ব্যাকফ্লিপ থেকে বল পায়ে সামনে রান নেওয়া গারনাচোকে খুঁজে নেন কাসেমিরো। বক্সে প্রবেশ করে রামসডেলকে পরাস্ত করে দীর্ঘ উদযাপন করলেও শেষ পর্যন্ত অফসাইডের জন্য বাতিল হয় সেই গোল। 

    অতিরিক্ত সময়ে এক কর্নার থেকে পাওয়া ফিরতি বলে শট নিয়ে ওনানাকে পরাস্ত করেন ডেকান রাইস। জয় নিশ্চিত করার পর আরেক প্রতি আক্রমণে বক্সে ঢুঁকে গোল করে আসেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ৩-১ গোলের জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আর্সেনাল।