• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    জয় দিয়ে শুরু পিএসজি, বার্সা, সিটির

    জয় দিয়ে শুরু পিএসজি, বার্সা, সিটির    

    এসি মিলান ০:০ নিউক্যাসল 

    পিএসজি ২:০ ডর্টমুন্ড 

    ম্যান সিটি ৩:১ রেড স্টার বেলগ্রেড 

    বার্সেলোনা ৫:০ রয়্যাল আন্তোয়ার্প 


    মেসি-রোনালদোবিহীন প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের শুরুটা একটু ম্যাড়ম্যাড়েভাবেই হয়েছে। দিনের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসলের সঙ্গে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে এসি মিলান। মেসি-নেইমারের বিদায়ের পর নতুন রূপ নেওয়া পিএসজি এমবাপে ও হাকিমির গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে রেড স্টারকে ঠিকই জাত চিনিয়েছেন আলভারেজ, রদ্রিরা। সিটির চেয়েও স্বাচ্ছন্দ্যে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৫-০ গোলে রয়্যাল আন্তোয়ার্পকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব পেরোনোর মিশন ভালোভাবেই শুরু করেছে জাভির দল। 

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর বিজ্ঞাপন হিসেবে একদমই মানানসই ছিল না মিলান-নিউক্যাসলের ম্যাচ। ২১ বছর পর এই প্রতিযোগিতায় জায়গা পাওয়া ম্যাগপাইরা সান সিরোতে তাদের স্বভাবসুলভ রক্ষণশীল ফুটবলই খেলেছে। ইসাক-মার্ফিদের মাধ্যমে সুযোগ বুঝে কাউন্টারে গোল দেওয়ার কিছু চেষ্টা করলেও মিলানের রক্ষণকে কখনোই পার করতে পারেনি তারা। সপ্তাহের শুরুতে এই মাঠেই ইন্টারের কাছে ৫-১ গোলে হারা মিলান ম্যাচের বড় সময় ফ্রন্টফুটে থাকলেও ঠিক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পারেনি। যার ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। 

    গ্রুপ এফ এর অপর ম্যাচেও গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছিল প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিকলাস সুলের হ্যান্ডবলে কপাল খুলে পিএসজির। ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপে। এর ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিক পিএসজি। ভিটিনহার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সে ঢুঁকে কাট ইন করে গোল করেন আশরাফ হাকিমি। গত দুই মৌসুমে হাল্যান্ড, সাঞ্চো, বেলিংহামের মতো তারকাদের হারানো ডর্টমুন্ড তাদের স্বভাবজাত ফুটবল খেললেও দলে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় নীরবে মেনে নিয়েছে পরাজয়। 

    ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি প্রথমার্ধে মোট শট ২২টি। পুরো অর্ধ সিটিকে ডিফেন্ড করা রেড স্টার ৪৫তম মিনিটে প্রথম আক্রমণের সুযোগ পায়। সেই একমাত্র আক্রমণ থেকেই গোল করেন স্ট্রাইকার ওসমান বুখারি। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রেড স্টার। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর সিটিজেনদের কাছে পাত্তা পায়নি সার্বিয়ান দলটি। ৪৭ মিনিটে হালান্ডের সহায়তায় ও ৬০ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে জোড়া গোল করেন আলভারেজ। ম্যাচের শেষ গোলটি করেন ডিফেন্সিভ মিড রদ্রি।  

    বেলজিয়ান দল রয়্যাল আন্তোয়ার্পকে ন্যু ক্যাম্পে একদম পাত্তাই দেয়নি বার্সা। নবাগত জোয়াও ফেলিক্সের জোড়া গোল, লেভানডফস্কি, গাভির গোলে ৫-১ ব্যবধানের বিশাল এক জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। গত দুবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া কাতালান দলটির শেষ ষোলোতে জায়গা পাওয়াই এবার বড় লক্ষ্য, ম্যাচের তা স্বীকার করেছিলেন জাভিও। সেই লক্ষ্যে শুরুটা মন্দ হয়নি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।