• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    বৃষ্টি, ইংলিশদের বেধড়ক ব্যাটিং, ক্যাচ মিসের আক্ষেপ: পরাজয়ে শেষ বাংলাদেশের প্রস্তুতি অধ্যায়

    বৃষ্টি, ইংলিশদের বেধড়ক ব্যাটিং, ক্যাচ মিসের আক্ষেপ: পরাজয়ে শেষ বাংলাদেশের প্রস্তুতি অধ্যায়    

    বিশ্বকাপ প্রস্তুতি, ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ, গুয়াহাটি(টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ১৮৮/৯, ৩৭(৩৭) ওভার (মিরাজ ৭৪, তামিম ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ১৮, টপলি ৩/২৩, উইলি ২/২৬, রশিদ ২/২৭)
    ইংল্যান্ড - ১৯৭/৬, ২৪.১(৩৭) ওভার (মঈন ৫৬, বেইরস্টো ৩৪, বাটলার ৩০, মোস্তাফিজ ২/২৩, নাসুম ১/২০, তাসকিন ১/২৩)
    ফলাফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে উইকেটে জয়ী


     

     

    বাংলাদেশের প্রস্তুতি শেষ হল পরাজয়ে। তবে গুয়াহাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের নেওয়ার আছে অনেক কিছুই। তানজিদ হাসান তামিমের আরেকটি ভাল শুরু, মেহেদী হাসান মিরাজের টানা দ্বিতীয় ফিফটি, ইংল্যান্ডের বেধড়ক পিটুনির পরেও হার না মানা বোলিং - বাংলাদেশ আশা দেখতে পারে অনেক কিছু নিয়েই। তবে আরও একটি ব্যাটিং বিপর্যয়, ক্যাচ মিসের মহড়া - কপালে ভাঁজ ফেলার মত পরিস্থিতিও কম আসেনি ম্যাচে।

    বৃষ্টি বাধ সেধেছে বারবার। শেষমেশ খেলা ৩৭ ওভারে নেমে এলে বাংলাদেশের সংগ্রহের ভিত্তিতে ইংল্যান্ডের সংশোধিত লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ১৯৭। সেই লক্ষ্যে চতুর্থ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ রান পূর্ণ করে ফেলে ইংল্যান্ড! আগ্রাসনের সম্মুখে ছিলেন জনি বেইরস্টো। একদম প্রথম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের আঘাতে ডাভিড মালান ফেরার পর পেসারদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালানো বেইরস্টো মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে থামেন ৫ম ওভারেই; ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস শেষে তার ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে স্টাম্প খুইয়ে। অষ্টম ওভারে এল হাসান মাহমুদের পালা; আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে ১৭ রানে থাকা হ্যারি ব্রুকের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। শরিফুলের করা পরের ওভারে জস বাটলারের ক্যাচ ফেলে দেন মুশফিকুর রহিম। নিজের পরের ওভারেই অবশ্য প্রতিশোধ নিয়েছিলেন শরিফুল। তবে ১৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ভিত নড়বড়ে করে দেওয়ার কাজটাও ততক্ষণে সেরে ফেলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

    বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ক্যাচে তাসকিনের শিকার হয়ে এরপর লিয়াম লিভিংস্টোন মাত্র ৭ রানে ফিরলেও বাকি পথটুকু মসৃণ করে দেন জো রুট-মঈন আলী জুটি। শেষদিকে স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়ে ৩৭ বলেই ফিফটি তুলে নেন মঈন। তবে আশাহত না হয়ে ৫৬ রানে থাকা মঈনের উইকেটটা নেন নাসুমই। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচটা শেষই বলা যায়, পরের ওভারের প্রথম বলেই ২৬* রানে থাকা রুট দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।

    এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুনে রিস টপলির শিকার হয়ে ৫ রানেই ফিরে যান লিটন দাস। তবে দারুণ কিছু শটের পসরা সাজিয়ে নিজেকে আরও একবার মেলে ধরেন জুনিয়র তামিম। অন্য দিকে গাস অ্যাটকিনসনের উইকেট-মেইডেনে মাত্র ২ রানে শান্ত ফেরার পর মিরাজকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম। মিরাজ শুরুর দিকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন, ব্যাকফুটে খেলতে তামিমকেও পেতে হচ্ছিল বেগ। তবে রানের চাকা সচল রেখে মিরাজের কাজটা সহজ করেছিলেন তামিম। শেষমেশ উডের গতিময় বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়েই স্টাম্পে বল ডেকে তামিম থেমেছিলেন ৪৪ বলে ৪৫ রান করে।

    অন্য প্রান্তে এরপর আরও একবার উইকেটে মিছিল শুরু হয়ে গেলেও মিরাজ ছিলেন অনড়। আদিল রশিদকে উইকেট দিয়ে ফিরেছিলেন দুই অভিজ্ঞ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। স্যাম কারানের স্লোয়ার পড়তে না পেরে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে ৬৩ বলে ফিফটি করে মিরাজ দলকে রেখেছিলেন লড়াইয়ে। বৃষ্টির পর খেলা দুই দফায় কমে এলে এরপর লড়াইটা বেশিক্ষণ চালাতে পারেননি তিনি। ৮৯ বলে ৭৪ রান শেষে উইলির বলে স্টাম্প খুইয়ে মিরাজ ফিরলে শেষদিকে তাসকিনের ১২* রানের সুবাদে গুটিয়ে যায়নি বাংলাদেশ। সেই সংগ্রহ ইংল্যান্ড দ্রুতই টপকে গেলেও বাংলাদেশ রাখেনি লড়াইয়ে কমতি।