ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লেন যারা
রিশাব পান্ট থেকে তামিম ইকবাল, জফরা আর্চার থেকে নাসিম শাহ; চোটের জন্য বিশ্বকাপে নেই অনেকে। চাইলে আপনি এদের নিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ইনজুরড একাদশও।
ইনজুরির জন্য এবারের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন-
রিশাব পান্ট
গত ডিসেম্বরে ভয়াবহ এক গাড়ি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন ভারতের নাম্বার ওয়ান কিপার রিশাব পান্ট । শরীরের সব জায়গায় জখমের পাশাপাশি তার ডান পায়ের লিগামেন্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই দুর্ঘটনায়। বিশ্বকাপের আগেও সেরে না ওঠায় আপাতত উইকেটের পেছনের কাজটা করতে হচ্ছে কেএল রাহুলকে।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা
হোয়াইট বল ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ভরসা। গত দুইবছরই ছিলেন আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে, ছিলেন বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও। এবারের লংকান প্রিমিয়ার লিগেও খেলেছিলেন দুর্দান্ত। কিন্তু লিগের শেষদিকে পাওয়া এক হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য প্রথমে এশিয়া কাপ, পরে বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে পড়েছেন এই অলরাউন্ডার।
দুশ্মন্ত চামিরা
হাসারাঙ্গার সঙ্গে আর একজন লঙ্কান খেলোয়ারই জায়গা পেয়েছিলেন গতবছরের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে। হাসারাঙ্গার মতোই লংকান প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময়ই ইনজুরড হয়েছিলেন এই পেসার। বড়সড় এক মাসল ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া চামিরা অনেকটাই সেরে উঠেছিলেন। কিন্তু দল ঘোষণার সময়ে পূর্ণ ফিট না থাকায় দলের প্রিমিয়াম পেসারকে ছাড়াই বিশ্বকাপে এসেছে শ্রীলংকা।
নাসিম শাহ
২০ বছর বয়সী পাকিস্তানের পেস সেনসেশন নাসিম শাহর প্রথম বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল এটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ভারতের বিপক্ষে পাওয়া কাঁধের চোটে কয়েক মাসের জন্য বাইরে ছিটকে গেছেন এই তরুণ পেসার। জানা গেছে ডাক্তারের ছুরির নিচেও যেতে হবে তাকে। নাসিমের জায়গায় বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়েছেন হাসান আলী।
এবাদত হোসেন
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন বিশ্বকাপে যেই খেলোয়াড়কে সবচেয়ে বেশি মিস করবে বাংলাদেশ, তিনি হচ্ছেন এবাদত। আফগানিস্তান সিরিজে লিগামেন্টের চোট পাওয়া ও পরে ডাক্তারের ছুরির নিচে যাওয়া এই পেসারকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে দীর্ঘদিন।
তামিম ইকবাল
অনেক নাটক শেষে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদই পড়লেন তামিম ইকবাল। গত এক মাসের এই নাটকের শুরু কিন্তু তামিমের ফিটনেস সমস্যা থেকেই। দীর্ঘদিন পিঠের চোটে ভোগা এই বাংলাদেশি ওপেনার নিউজিল্যান্ড সিরিজে এক ম্যাচ খেললেও তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখেনি টাইগাররা। তার জায়গায় দলে থাকছেন আরেক তামিম, তানজিদ তামিম।
জফরা আর্চার
যার সুপার ওভারে নির্ধারিত হয়েছিল গত বিশ্বকাপ, তাকেই এবারের আসরে পাচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কনুইয়ের চোট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাড়া করে আসছে আর্চারকে। দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পর এবার আইপিএলে খেলতে এসে আবার ইনজুরিতে পড়েন এই ফাস্ট বোলার। তবে রিজার্ভ হিসেবে তাকে দলের সঙ্গে রেখেছে থ্রি লায়নরা।
অ্যাস্টন অ্যাগার
অ্যাগারকে রেখেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরে স্ক্যানে তার পেশির চোট ধরা পড়ে। এই ইনজুরি এত গুরুতর না হলেও ১৫ জনের দলে আরেকজন ইনজুরড খেলোয়াড় (ট্রাভিস হেড) থাকায় শেষ মুহূর্তে অ্যাগারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের শুরুর একমাস হেডকে পাওয়া কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই আরেকজন স্পিনার না এনে অ্যাগারের জায়গায় একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটারকেই জায়গা দেয় তারা।
মাইকেল ব্রেসওয়েল
স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে মাইকেল ব্রেসওয়েল হতে পারতেন নিউজিল্যান্ডের বড় অস্ত্র। কিন্তু কাউন্টি খেলতে গিয়ে আকিলিসে চোট পাওয়ায় পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছেন তিনি। দলে তার জায়গা নিয়েছেন তরুণ রাচিন রাভিন্দ্রা।
আনরিখ নরকিয়া
২০১৯-এর মতো এবারও ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ মিস করতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার আনরিখ নরকিয়া। পিঠের চোটে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝখানেই ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। পরে জানা যায় পুরো অক্টোবর-নভেম্বরেই পাওয়া যাবে না তাকে। নবাগত লিজার্ড উইলিয়ামস তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন দলে।
সিসান্দা মাগালা
নরকিয়ার পাশাপাশি আরেক প্রটিয়া পেসারও ইনজুরির জন্য মিস করছেন বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আটটি ওয়ানডে খেলেছেন এই ৩২ বছর বয়সী। হাঁটুর ইনজুরির জন্য তিনি ছিটকে যাওয়ার পর ১৫ জনের দলে তার জায়গা নিয়েছেন আন্দিলে ফেহলুকওয়ায়ো।