বিশ্বকাপে বাসের ফিফটি ও চার উইকেট: যে রেকর্ড বইয়ে আছেন সাকিবও
বিশ্বকাপে ফিফটি ও চার উইকেট - চাট্টিখানি কথা নয় বৈকি! সেটাই আজ করে দেখালেন নেদারল্যান্ডস অলরাউন্ডার বাস ডি লিড। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইতিহাসের সপ্তম পিতা-পুত্র জোড়া হিসেবে আজ নাম লিখিয়েছেন টিম ডি লিড ও পুত্র বাস ডি লিড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেই সাথে পুত্র গড়লেন অবিস্মরণীয় এই কীর্তি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে (ওয়ানডে) এর আগে ৯ বার ঘটেছিল এই ঘটনা; যার সর্বশেষটা আজকের আগ পর্যন্ত ছিল সাকিব আল হাসানের। সাকিবের রেকর্ডটা কিছুটা ভিন্ন বলা যায় - ফিফটি ও পাঁচ উইকেট, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর শুধু করে দেখিয়েছেন যুবরাজ সিং।
অসামান্য এই তালিকায় আজ ডাচ অলরাউন্ডার ঠাই পেলেও অন্যদের সাথে তুলনা করতে গেলে তাকে দুর্ভাগাই বলতে হবে। বলা বহুল্য আগের প্রত্যেকেই এই দুর্দান্ত অলরাউন্ড কীর্তির জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। তবে সেটার জন্য দলের জয়টাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নিজে পরাজিতের দলে থাকায় সেই পুরস্কারটা আজ জোটেনি বাসের। এজন্যই এই তালিকার একমাত্র খেলোয়াড় তিনিই যার না জেতা হয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার, না ভাগ্যে জুটেছে জয়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপ ইতিহাসে ফিফটি ও চার উইকেটের ডাবলের কীর্তির রেকর্ডগুলো -
ডানকান ফ্লেচার(জিম্বাবুয়ে): ৬৯* (৮৪); ১১-১-৪২-৪ (প্রতিপক্ষ, অস্ট্রেলিয়া, ১৯৮৩ বিশ্বকাপ)
ইয়ান বোথাম(ইংল্যান্ড): ১০-১-৩১-৪; ৫৩(৭৭) (প্রতিপক্ষ, অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯২ বিশ্বকাপ)
নিল জনসন(জিম্বাবুয়ে): ১০-০-৪২-৪; ৫৯(৭০) (প্রতিপক্ষ, কেনিয়া, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ)
মরিস অদুম্বে(কেনিয়া): ৫২(৪৬); ১০-০-৩৮-৪ (প্রতিপক্ষ, বাংলাদেশ, ২০০৩ বিশ্বকাপ)
ফিকো ক্লপেনবার্গ(নেদারল্যান্ডস): ১২১(১৪২); ১০-০-৪২-৪ (প্রতিপক্ষ, নামিবিয়া, ২০০৩ বিশ্বকাপ)
যুবরাজ সিং(ভারত): ১০-০-৩১-৫; ৫০*(৭৫) (প্রতিপক্ষ, আয়ারল্যান্ড, ২০১১ বিশ্বকাপ)
তিলাকরত্নে দিলশান(শ্রীলঙ্কা): ১৪৪(১৩১); ৩-১-৪-৪ (প্রতিপক্ষ, জিম্বাবুয়ে, ২০১১ বিশ্বকাপ)
ওয়াহাব রিয়াজ(পাকিস্তান): ৫৪*(৪৬); ৯.৪-১-৪৫-৪ (প্রতিপক্ষ, জিম্বাবুয়ে, ২০১৫ বিশ্বকাপ)
সাকিব আল হাসান(বাংলাদেশ): ৫১(৬৯); ১০-১-২৯-৫ (প্রতিপক্ষ, আফগানিস্তান, ২০১৯ বিশ্বকাপ)
বাস ডি লিড(নেদারল্যান্ডস): ৯-০-৬২-৪; ৬৭(৬৮) (প্রতিপক্ষ, পাকিস্তান, ২০২৩ বিশ্বকাপ)