‘অলরাউন্ড’ মিরাজ, ধীরস্থির শান্ত : সহজ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩, গ্রুপ পর্ব, ধর্মশালা
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
আফগানিস্তান- ১৫৬, ৩৭.২ ওভার (রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৪৭, মিরাজ ৩/২৫, সাকিব ৩/৩০)
বাংলাদেশ ১৫৮/৪, ৩৪.৪ ওভার (শান্ত ৫৯*, মিরাজ ৫৭, ওমরজাই ১/৯, ফারুকি ১/১৯)
বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
পিউর অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায়, আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ সেটাই দেখালেন। বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে গড়েছেন ৯৭ রানের জুটি। তার অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের সাথে শান্তর অপরাজিত ফিফটিতে ৯২ বল হাতে রেখে আফগানদের বিপক্ষে সহজ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৭ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ তামিম রান আউট হয়েছেন নাজিবউল্লাহ জাদরানের ডিরেক্ট থ্রোতে। লিটন দাস বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরে করা বল উইকেটে টেনে। সেখান থেকেই শুরু-মিরাজ শান্তর জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েছেন ৯৭ রানের জুটি। রহমত শাহর দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরার আগে তিনে নেমে মিরাজ করেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান। প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি ছোঁয়ার আগে অবশ্য ক্যাচ দিয়ে দুইবার জীবন পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ধর্মশালার ট্রিকি উইকেটে নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করে শান্ত-মিরাজ দুজনই রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। আফগান বোলারদের চড়ে বসতে দেননি তাদের ওপর।
আজ নামের মতোই ধীর স্থির ছিলেন শান্ত। খেলেননি কোনো আলগা শট। মিরাজের বিদায়ের পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৮০ বলে। আজ বাউন্ডারি থেকে, তিন চার ও এক ছক্কায় তুলেছেন মাত্র ১৮ রান। উইনিং শটটাও নিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরান-রহমানউল্লাহ গুরবাজদের ওপেনিং জুটিতে বড় স্বপ্নই দেখছিল আফগানিস্তান। সেই স্বপ্ন ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। সেখান থেকেই শুরু। সাকিবের সাথে মিরাজের স্পিন জাদু, মোস্তাফিজ-তাসকিনের ব্রেকথ্রুর পর শরীফুলে শেষ পেরেক ঠোকা। ধর্মশালায় বাংলাদেশী বোলারদের দাপটে ধুঁকে ধুঁকে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
বড় ইনিংসের সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাট করতে থাকা গুরবাজকেও যেন সেই চাপ ভর করেছিল। তাই তো মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। ডিপ পয়েন্টে বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন তানজিদ তামিম। টানা দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। মিডল ও লেট মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। মোহাম্মদ নবী, নাজিবউল্লাহ জাদরানরা ফিরেছেন সিংগেল ডিজিটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।
৮ ওভারে ৩০ রানে তিন উইকেট নেন সাকিব। তিন মেইডেনসহ ৯ ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। শরীফুল দুটি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।