আফগান-জয়ে বাংলাদেশের ৫ প্রাপ্তি
৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। বলের ব্যবধানে বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এই জয়ের পর বাংলাদেশের আছে পাঁচটি স্বস্তির জায়গা। সেগুলো কী কী জেনে আসা যাক
*সাকিবের অধিনায়কত্ব
সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে যা করতে চেয়েছেন, তার প্রায় সবই করতে পেরেছেন। নিজে বল হাতে এসে প্রথম ব্রেক থ্রু দিয়েছেন। এরপর যখনই বোলিং চেঞ্জ করেছেন, ফল এসেছে। মোস্তাফিজকে এনে গুরবাজকে ফিরুয়েছেন, তাসকিনকে এনে উইকেট পেয়েছেন। শরিফুল শুরুতে ভালো না করলেও পরে উইকেট পেয়েছেন। সবমিলে সাকিবের অধিনায়ক হিসেবে এর চেয়ে ভালো শুরু আর হতে পারত না
*মিরাজের অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা
এশিয়া কাপেই ওপেনার হিসেবে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই। বিশ্বকাপে তাদের সাথে ওপেন না করলেও চারে নেমে আরেকটি ফিফটি করলেন। প্রস্তুতি ম্যাচে টপ অর্ডারে ব্যাট করে রান পেয়েছেন, আজ দেখিয়েছেন কেন তিনি সত্যিকারের অলরাউন্ডার হয়ে উঠছেন। বল হাতে তিন উইকেটও নিয়েছেন তার আগে, এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু
* মিরাজ-শান্তর জুটি
লিটন ও তানজিদ তামিমের আউটের পর বাংলাদেশ যখন কিছুটা অস্বস্তুইতে, তখন মিরাজ ও শান্ত বের করে নিয়েছেন ম্যাচ। এই দুজন এশিয়া কাপে জুটি বেঁধে আফগানদের সাথেই দলকে জিতিয়েছিলেন, আজ তাদের জুটিতেই ম্যাচটা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। শান্তকেও ফিফটি আত্মবিশ্বাস দেবে তার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে
*পেসারদের ফিরে পাওয়া
ধর্মশালায় শুরুতে পেসাররা খুব একটা সাফল্য না পেলেও শেষ পর্যন্ত সবাই ফিরে এসেছেন দারুণভাবে। তাসকিন -শরিফুলের শুরুটা ভালো হয়নি, কিন্তু শেষের দিকে এসে সবাই উইকেট পেয়েছেন। মোস্তাফিজ সবচেয়ে বড় উইকেট পেয়েচ্যহেন গুরবাজকে ফিরিয়ে দিয়ে
* ক্যাচিং ও ফিল্ডিং
বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল দারুণ। ধর্মশালার আউটফিল্ডে ফিল্ড করাটা মোটেই সহজ ছিল না। বালি উঠে আসছিল মাঠ থেকে। আফগানদের ফিল্ডিংয়ে সেটা বোঝা গেছে। এসব কিছু বিবেচনায় বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল দারুণ।