জাদেজা-কুলদিপের স্পিনজালে আটকে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৯৯
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-অস্ট্রেলিয়া(টস-অস্ট্রেলিয়া/ব্যাটিং)
অস্ট্রেলিয়া - ১৯৯, ৪৯.৩ ওভার (স্মিথ ৪৬, ওয়ার্নার ৪১, স্টার্ক ২৮, জাদেজা ৩/২৮, বুমরাহ ২/৩৫, কুলদিপ ২/৪২)
উইকেট পর্যবেক্ষণের সময়ই বোঝা গিয়েছিল উইকেট মন্থর; টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিলেন ব্যাটিং। ভারতও উইকেটের সর্বোচ্চটাই লুফে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দিল রানে।
ইনিংসের শুরুতেই রানের খাতা খোলার আগে জাসপ্রিত বুমরাহর দ্বিতীয় ওভারে ফিরেছিলেন মিচেল মার্শ, স্লিপে ভিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে। তবে এরপর দলের হাল ধরে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার ছুটে চলেছিলেন আপন ছন্দে। দারুণ খেলতে থাকা ওয়ার্নার এদিন রবিচন্দ্রন আশ্বিন জুজুতেও যেন খুব একটা বিচলিত ছিল না। তবে মাঝ ড্রিঙ্কস-বিরতির পর আশ্বিন একটা আঁটসাঁট ওভার করলে সেই গেরো খুলতেই যেন মতিগতি হারিয়ে কুলদিপ যাদবের পরের ওভারে তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৫২ বলে ৪১ রানে থামলেন ওয়ার্নার। মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলাতে গিয়ে স্মিথ যেন খোলসে ঢুকে যান। স্পিনারদের সামলাতে দুজনের রানের গতিই স্তিমিত হয়ে আসে। ৪৫ বল ধরে কোনও বাউন্ডারি না এলে মাঝে রিভার্স সুইপ চেষ্টা করেও লাবুশেন ব্যর্থ হলে দুজনের মধ্যেই অস্থিরতাটা টের পাওয়া যায় ভালমত। তারই পরিক্রমায় ফিফটির দ্বারপ্রান্তে এসে মনঃসংযোগ হারিয়ে জাদেজার কাছে স্টাম্প খুইয়ে ৭১ বলে ৪৬ রানে থামেন স্মিথ।
স্মিথের বিদায়ের পর যেন হুড়মুড় করে উইকেট যাওয়া শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার। সেই জাদেজাই পরের ওভারে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়ে লাবুশেনকেও থামান ৪১ বলে ২৭ রানে। এক বল পরে রানের খাতা খোলার আগেই অ্যালেক্স ক্যারিও পড়েন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও সেটা ধোপে টেকেনি। কুলদিপের বিশাল ঘূর্ণিতে লেগ স্টাম্প খুইয়ে ম্যাক্সওয়েল ২৫ বলে ১৫ রানে থামলে পরের ওভারেই আশ্বিনের শিকার হয়ে ২০ বলে ৮ রানে শেষ হয় গ্রিনের ইনিংস। ১১২-২ থেকে হুট করে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকার্ড হয়ে দাঁড়ায় ১৪০-৭! পরে ১৫ রানের ইনিংস খেলে প্যাট কামিন্স উইকেটের মিছিল বন্ধ করার চেষ্টা করলে সেটার ওপর ভর করেই মিচেল স্টার্ক খেলেন ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে তার এই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে লড়াইয়ের রসদ।