• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    'রেকর্ড ম্যান' রোহিতে হেসেখেলে ভারতের জয়

    'রেকর্ড ম্যান' রোহিতে হেসেখেলে ভারতের জয়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-আফগানিস্তান(টস-আফগানিস্তান/ব্যাটিং)
    আফগানিস্তান - ২৭২/৮, ৫০ ওভার (হাশমতউল্লাহ ৮০, আজমতউল্লাহ ৬২, ইব্রাহিম ২২, বুমরাহ ৪/৩৯, পান্ডিয়া ২/৪৩, ঠাকুর ১/৩১)
    ভারত - ২৭৩/২, ৩৫ ওভার (রোহিত ১৩১, কোহলি ৫৫*, কিষান ৪৭, রশিদ ২/৫৭)
    ফলাফল - ভারত ৮ উইকেটে জয়ী


     

     

    হিটম্যান আজ হয়ে গেলেন ‘রেকর্ড ম্যান’; রোহিত শর্মার রেকর্ড বই এলোমেলো করার দিনে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ভারত।

    শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে মাত্র ৩০ বলেই ফিফটি পেয়ে যান রোহিত। এরই মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইনিংসের হিসবে দ্রুততম সময়ে ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন রোহিত, আগের ম্যাচেই গড়া ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে। এমনকি তিনি ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিত হয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার। সেখান থেকে মাত্র ৬৫ বলে সেঞ্চুরি করে রোহিত ভাঙেন আরও দুটি রেকর্ড। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হয়ে যান রোহিত।

    ভারত অধিনায়কের দুর্দান্ত ইনিংস থামে রশিদ খানের কাছে স্টাম্প খুইয়ে। এর আগে ৪৭ রানে ঈশান কিষানকেও থামিয়েছিলেন এই রশিদ খানই। তবে আখেরে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে ভিরাট কোহলি আফগানদের কোনও সুযোগ দেননি। কোহলির ৫৫* রানের ইনিংসে ভারত পেয়েছে সহজ জয়।

    আফগান ওপেনাররা শুরুটা ভালই করেছিল। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ধীরেসুস্থে শুরু করলেও ইব্রাহিম জাদরান এদিন তুলে নিয়েছিলেন আক্রমণের ভূমিকা। জাদরানকে ফেরাতে হলে বিশেষ কিছু দরকার ছিল; বুমরাহ করে দেখালেন সেটাই। অফ স্টাম্পের লাইনে বল পড়লেও লাইন ধরে রাখায় জাদরানের ব্যাট চুমু খেয়ে বল চলে যায় রাহুলের হাতে, আফগান ওপেনার থামেন ২৮ বলে ২২ রান শেষে। সেখান থেকে গুরবাজ নিজের সহজাত খেলাটা দিতে থাকলে ডিপ ফাইন লেগে শার্দুল ঠাকুরের দারুণ ক্যাচে তিনি থামেন ২৮ বলে ২১ রানে। সেই ঠাকুর এরপর ১৬ রানে রহমত শাহকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে তিনশোর পিচে আফগানদের অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে।

    সেই শঙ্কা থেকে দলকে উদ্ধার করেন আফগান অধিনায়ক, সাথে যোগ্য সঙ্গ দেন এদিন পাঁচে নামা ওমরযাই। ২৪-তম ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করে পরের ওভারে কুলদিপ যাদবকে দুই ছয় মেরে ওমরযাই দেন গিয়ার পালটানোর ইঙ্গিত। নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি তিনি পান ৬২ বলে। পরের ওভারে পান্ডিয়াকে টানা চার-ছয় মেরে শহীদিন ফিফটি পান ৬৩ বলে। অন্য প্রান্তে ওমরযাই হাত খুলে খেলতে পারেন আঁচ করে স্লোয়ারের জালে ফেলে তার স্টাম্প উপড়ে ফেলেন পান্ডিয়া; ওমরযাই ফেরেন ৬৯ বলে ৬২ রানে। ৩৭-তম ওভারে দুইশো রান তুলে ফেলা আফগানরা যখন দিল্লির পিচ কাজে লাগিয়ে বড়ো সংগ্রহ তুলবে বলেই মনে হচ্ছিল তখনই কুলদিপ নিজের শেষ ওভার করতে এসে ৮৮ বলে ৮০ রানে থাকা শহীদিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এরপর মোহাম্মদ নবী ব্যর্থ হলে শেষদিকে রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমানরা চেষ্টা করলেও বুমরাহর তোপে ২৭২ রানের বেশি যেতে পারেনি আফগানরা।