• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    মুশফিক-সাকিবে উদ্ধার, মাহমুদউল্লাহয় শেষ; পঞ্চাশ ওভার খেলে বাংলাদেশের ২৪৫

    মুশফিক-সাকিবে উদ্ধার, মাহমুদউল্লাহয় শেষ; পঞ্চাশ ওভার খেলে বাংলাদেশের ২৪৫    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ (টস-নিউজিল্যান্ড/বোলিং)
    বাংলাদেশ - ২৪৫/৯, ৫০ ওভার (মুশফিক ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ৪১*, সাকিব ৪০, ফার্গুসন ৩/৪৯, বোল্ট ২/৪৫, হেনরি ২/৫৮)


    ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্দশা যেন কাটছেই না। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার পঞ্চাশ ওভার খেলার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের; তবে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের বিপদের ত্রাণের পর মাহমুদউল্লাহর শেষের লড়াইয়ে সেটা হয়নি এবার।

    ব্যাটিংয়ে নেমে জন্মদিনে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন লিটন দাস; আন্তর্জাতিক ক্রিকেতেই ইনিংসের প্রথম বলে কোনও বার্থডে বয়ের ক্ষেত্রে যা প্রথম। তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে জুটি গড়ে এদিন শুরুটা করলেও লকি ফার্গুসনের গতির সাথে না পেরে ১৭ বলে ১৬ রানে থামেন তানজিদ হাসান তামিম। দারুণ শুরু করে মিরাজও পারেননি ইনিংস লম্বা করতে, সেই ফার্গুসনের শিকার হয়েই ৪৬ বলে ৩০ রানে মিরাজ থামলে পরের ওভারেই বল হাতে নিয়েই নাজমুল হোসেন শান্তকে ৭ রানে থামান গ্লেন ফিলিপস। মুহূর্তেই ৫৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশের বিপদে আরও একবার এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিক-সাকিব জুটি। মুশফিক এসেই প্রতি-আক্রমণ শুরু করলে সাকিব এক প্রান্ত ধরে রাখার দায়িত্ব নেন। ফিলিপসকে টানা দুই বলে ছয়-চার মেরে মুশফিক ইঙ্গিত দেন আক্রমণের ধারা বজায় রাখার, দ্রুততম কিউই পেসারকে আপারকাটে দুর্দান্ত ছয়ে দিয়েছেন বার্তা; সেই সাথে পেয়ে যান টানা দ্বিতীয় ও ৪৮-তম ওয়ানডে ফিফটি। তবে ততক্ষণে প্রচন্ড গরমে ধুঁকতে শুরু করেছেন সাকিব। সেজন্য রবীন্দ্রকে চার-ছয় মেরে ইঙ্গিত দেন বাউন্ডারির মাধ্যমে খেলার। পরে ফার্গুসনের বিপক্ষেও একই কাজ করতে যান, বাউন্সার মাঠছাড়া করার পরের বলেই অবশ্য কোমর বরাবর বল আকাশে ভাসিয়ে ৫১ বলে ৪০ রান শেষে থামেন সাকিব। ৯৭ রানের সেই জুটি ভাঙলে উইকেটে এসে তাওহিদ হৃদয় একেবারেই সুবিধা করতে পারছিলেন না। তারই প্রেক্ষিতে চাপে পড়ে যাওয়া মুশফিক আড়াআড়ি ব্যাটে হেনরির এক স্লোয়ার খেলতে গিয়ে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন ৭৫ বলে ৬৬ রানে।

    মুশফিক ফেরার পর খুব একটা আশা দেখাতে পারেনি কেউই। স্পিনারদের সাথে সুবিধা করতে না পারা হৃদয় আক্রমণে বোল্ট এলে কাভারে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে থামেন ১৩ রানে। মাহমুদউল্লাহর সাথে জুটি গড়ে এরপর কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে পুরো দিন জুড়েই দুর্দান্ত বল করা স্যান্টনারের স্পেলের শেষ বলে সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ বিস্ময়করভাবে ৪৭-তম ওভার থেকেই সিঙ্গেল ফিরিয়ে দেন। আখেরে তাতে খুব একটা লাভ না হয়ে ট্রেন্ট বোল্টের ওভারটায় আসে মাত্র ১ রান। মোস্তাফিজও শেষমেশ ওই বোল্টের পরের ওভারে বাউন্সার মোকাবেল করতে গিয়ে ঠিকই ফেরেন। তবে বোল্টের ওই ওভারটায় ছয় মেরে মাহমুদউল্লাহ কিছু একটা করার ইঙ্গি দেন। ড্যারিল মিচেলের করা শেষ ওভারে এরপর ২৯ ওভারের প্রথম ১০+ রান আসে। ৪৯ বলে ৪১* রানে মাঠে থেকে তাতেই মাহমুদউল্লাহ দলকে পৌঁছে দেন ২৪৫ রানে।