• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    রোহিতে রমরমা আহমেদাবাদে ভারতের দাপুটে জয়

    রোহিতে রমরমা আহমেদাবাদে ভারতের দাপুটে জয়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-পাকিস্তান (টস-ভারত/বোলিং)
    পাকিস্তান - ১৯১, ৪২.৫ ওভার (বাবর ৫০, রিজওয়ান ৪৯, ইমাম ৩৬, বুমরাহ ২/১৯, পান্ডিয়া ২/৩৪, কুলদীপ ২/৩৫)
    ভারত - ১৯২/৩, ৩০.৩ ওভার (রোহিত ৮৬, শ্রেয়াস ৫৩*, রাহুল ১৯*, আফ্রিদি ২/৩৬)
    ফলাফল - ভারত ৭ উইকেটে জয়ী


     

     

    বিশ্বকাপে সাতবারের দেখায় ভারতের বিপক্ষে একবারও জয় পায়নি পাকিস্তান। আহমেদাবাদেও ব্যত্যয় ঘটল না সেটার। দুর্দান্ত বোলিং, চিরচেনা পাকিস্তানি ব্যাটিং বিপর্যয়, ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটিং - ২০২৩ বিশ্বকাপের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াইটা হল বড়ই একপেশে।

    ১৯২ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চেপে বসে ভারত। দলে ফেরা শুবমান গিল ১৬ রানে ফিরলে ফর্মে থাকা রোহিতকে থামানোর কোনও উপায়ই বের করতে পারছিল না পাকিস্তান। ওয়ানডে ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ৩০০ ছয়ের মাইলফলক ছোঁয়া রোহিত একের পর এক দৃষ্টিনন্দন পুল শটে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন পাকিস্তানি বোলারদের। মাত্র ৩৬ বলে ছুঁয়ে ফেলেন আরও একটি ফিফটি। অন্য দিকে ভিরাট কোহলিও বাউন্ডারির মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে হাসান আলীকে মিড অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চাইলেও পারেননি, ফিরেছেন ১৬ রানে।

    তবে থামাথামির কোনও লক্ষণই যেন দেখাচ্ছিলেন না রোহিত। ২১ ওভারেই ১৫০ রান ছুঁয়ে ফেরা ভারতের রান রেটটা বাড়িয়ে নেওয়ার তাগিদ নিয়ে খেলতে গিয়ে ওই ওভারেই শাহীন আফ্রিদিকে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন রোহিত। ৬৩ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ভারত অধিনায়ক ফিরলেও লোকেশ রাহুলকে সঙ্গী করে কাজ সেরে ফেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩১-তম ওভারেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শ্রেয়াস ৬২ বলে ৫৩* রান করে।

    অথচ এর আগে ব্যাটিংয়ে ইমাম ও শফিকের জুটির শুরুটা একেবারেই মন্দ হয়নি। ৪১ রানের ওপেনিং জুটিটা ভাঙে মোহাম্মদ সিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শফিকের বিদায়ে। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে ইমাম যখন হাত খোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তখন তাকে থামান পান্ডিয়া। ৩৮ বলে ৩৬ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ইমাম ফেরার পর অবশ্য দলের হাল ধরেছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মত এবারও ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিবে এই জুটি - এমনটাই মনে হচ্ছিল। দ্বিতীয় বলেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া রিজওয়ান এমনিতেই ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে, সেই সাথে ভারত বোলারদেরকে যোগ্যতার সাথে মোকাবেলা করে বাবরের কাজটাও সহজ করে দিচ্ছিলেন। তবে ৫৭ বলে বাবর ফিফটি পাওয়ার পরের ওভারেই সিরাজের দুর্দান্ত এক ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প খুইয়ে ৫০ রানেই ফেরেন তিনি।

    সেই যে শুরু এরপরই তাসের ঘরের মত লুটিয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৫৪-২ থেকে ১৯১ রানেই পাকিস্তান গুটিয়ে যায়। বাবরের মত রিজওয়ানও ৪৯ রানে থামেন বুমরাহর দারুণ এক ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প খুইয়ে।  এর আগের ওভারে কুলদীপ তার ঘূর্ণিজালে আবদ্ধ করে একই ওভারে ফেরান সাউদ ও ইফতিখারকে। শেষদিকে হাত খুলে খেলার চেষ্টা করে শুধু হাসান আলীই দুই অংকে পৌঁছিয়েছিলেন। তবে পান্ডিয়া, বুমরাহ, সিরাজ, কুলদীপ, জাদেজাদের দাপটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান।