গুরবাজ ঝড়ের পর অলিখিলের ফিফটিতে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৮৪
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান (টস-ইংল্যান্ড/বোলিং)
আফগানিস্তান - ২৮৪, ৪৯.৫ ওভার (গুরবাজ ৮০, অলিখিল ৫৮, মুজিব ২৮, রশিদ ৩/৪২, উড ২/৫০, রুট ১/১৯)
দিল্লির মাঠ রানের দিক থেকে এই বিশ্বকাপে বড়ই বন্ধুসুলভ আচরণ করে আসছে। সে সত্ত্বেও টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের জন্য আফগানিস্তানকে আমন্ত্রণ জানালে এই বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের জন্য আশার পারদটা অতটা উঁচু না থাকলেও দুই ওপেনার নিজেদের খুঁজে পান এই ম্যাচে; বিশেষ করে বললে নিজেকে খুঁজে পান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দুজনের ঝড়ো শুরুতে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৭৯ রান তুলে ফেলে আফগানিস্তান। এক প্রান্ত ইব্রাহিম জাদরান আগলে রাখলে অন্য প্রান্তে বোলারদের তুলোধোনা করতে থাকেন গুরবাজ। মাত্র ৩৩ বলেই ফিফটি পেয়ে গেলে গুরবাজ ইংল্যান্ডের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান। সেই চিন্তার উপশম ঘটতে থাকে ১৭-তম ওভার থেকে। কিছুক্ষণ ধরে গড়ে ওঠা চাপের ফল বের করে আদিল রশিদ ইব্রাহিমকে থামান ৪৮ বলে ২৮ রান শেষে। তারই পরিক্রমায় ১৯-তম ওভারেই আফগানদের ইনিংস ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা সাজান রশিদ। নিজের ১০০-তম ওয়ানডে খেলতে নামা রহমত শাহকে রশিদ থামান। পরের বলেই ছুটতে থাকা গুরবাজ থামেন রান আউটের শিকার হয়ে। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সাথে চরম ভুল বোঝাবুঝিতে ৫৭ বলে ৮০ রান শেষে গুরবাজ থামলে আফগানিস্তানের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়ার শঙ্কা জাগে। ২৬-তম ওভারের শেষ বলে লিভিংস্টোনের শিকার হয়ে গত ম্যাচে ফিফটি পাওয়া আজমতউল্লাহ ওমরযাই ফিরলে চরম বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। যেখানে ১৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ১৬ ওভারে ১১৬ রান তুলেছিল আফগানিস্তান সেখানে পরের দশ ওভারে ৩৬ রান তোলে মাত্র তারা, হারায় ৪ উইকেট।
আফগানদের আশার আলো হয়ে আসেন এই ম্যাচে এবার প্রথম নামা ইব্রাহিম অলিখিল। এক প্রান্তে শহীদি যোগ্য সঙ্গ দিলে অন্য প্রান্তে নিজেকে মেলে ধরেন অলিখিল। শহীদি অবশ্য দুই ওভার পরেই ফিরলে নবীও পারেননি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে। নেমে রশিদ খান চেষ্টা করলেও রশিদ-রশিদ লড়াইয়ে হেরে ২২ বলে ২৩ রানে থামেন তিনি। থামেনই অলিখিল; ৬২ বলে ঠিকই ফিফটি তুলে নেন তিনি। সেই সাথে মুজিব শেষদিকে ১৬ বলে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক ক্যামিও খেলে আফগানিস্তানকে ২৮৪ রানের লড়াকুর সংগ্রহ এনে দিয়েছেন।