লিটন-তামিমের ওপেনিং জুটির পর মাহমুদউল্লাহর শেষের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৬
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-বাংলাদেশ (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
বাংলাদেশ - ২৫৬/৮, ৫০ ওভার (লিটন ৬৬, তামিম ৫১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, জাদেজা ২/৩৮, বুমরাহ ২/৪১, সিরাজ ২/৬০)
ভারতের বিপক্ষে দারুণ শুরু করেও পুনেতে সেই 'লড়াকু' সংগ্রহ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাদেশকে। ব্যাটিং নেওয়ার পর বাংলাদেশের দুই ওপেনারের শুরুটাই হয় সাবধানী। তবে উইকেট পড়ে ফেলার পর ধীরে ধীরে খোলস থেকে বের হন দুজনেই। মাঝে হার্দিক পান্ডিয়াকে লিটন টানা দুই চার মারলে দ্বিতীয় চারের শটটা ঠেকাতে গিয়েই ইনজুরিতে পড়েন ভারতের এই অলরাউন্ডার। সেখান থেকেই যেন আত্মবিশ্বাসটা ফির পায় দুই ওপেনার। পরে ওভারের শার্দুল ঠাকুরের টানা তিন বলে ছয়, চার ও ছয় মারেন তামিম, যার মধ্যে বেরিয়ে আসা উড়িয়ে মারা চারটা আরেক তামিমের কথাই মনে করিয়ে দেয়। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ ৬৩ রান তুলে ফেললে তানজিদ তামিম নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি পেয়ে যান ৪১ বলে। তবে ইনিংস লম্বা করতে না পেরে কুলদীপের করা পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে তামিম ফেরেন ৪৩ বলে ৫১ রানে।
সেখান থেকে খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশের ইনিংস। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ডের (৯৩) পর সেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রানে ফেরেন জাদেজার শিকার হয়ে। মাঝে ৬২ বলে লিটন আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পেয়ে গেলেও চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ একেবারেই সুবিধা করতে না পেরে ১৩ বলে ৩ রানে মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন। পাঁচে নেমে হৃদয়ও ডট গুণতে থাকলে চাপে পড়ে জাদেজাকে আক্রমণ করতে গিয়ে ৮২ বলে ৬৬ রানে থামেন লিটন।
উইকেটে থিতু লিটনের বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংসটা আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ার শঙ্কা জাগে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এসে ইনিংস মেরামতে চেষ্টা করলেও হৃদয় একেবারেই সুবিধা করতে না পারায় সেই অর্থে হাত খুলতে পারেননি মুশফিকও। লিটনের বিদায়ের দশ ওভারের মাথায় শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়ে ৩৫ বলে মাত্র ১৬ রান করে থামেন হৃদয়। ওই সময়টায় বাংলাদেশ তুলতে পারে মোটে ৪৪ রান। মাঝে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুশফিক ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেও উইকেটে সময় ব্যয় করে তিনিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। অবশ্য ৪৬ বলে ৩৮ রানে তার ফেরার বলটায় বুমরাহর চেয়ে পয়েন্টে জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচটাকেই ধন্যবাদ দিবে ভারত।
পরে নাসুম আহমেদও তেমন একটা সুবিধা করতে না পেরে ১৪ রান করে সিরাজের বাউন্সারে ফিরলে শেষের দিকে লড়াইটা একাই চালাতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মত এদিনও শেষদিকে তাকে সিঙ্গেল ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নিয়ে তবুও বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখে বুমরাহর করা শেষ ওভারে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে স্টাম্প খুইয়ে তিনি ফিরেছিলেন ৩৬ বলে ৪৬ রানে। সেই প্রচেষ্টার পর শরিফুল ইসলামের শেষ বলের ছয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫৬ রানের রসদ।