• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    সেঞ্চুরিয়ান মিচেল, রবীন্দ্রর সময়োপযোগী ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৭৩

    সেঞ্চুরিয়ান মিচেল, রবীন্দ্রর সময়োপযোগী ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৭৩    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-নিউজিল্যান্ড (টস-ভারত/বোলিং)
    নিউজিল্যান্ড - ২৭৩, ৫০ ওভার (মিচেল ১৩০, রবীন্দ্র ৭৫, ফিলিপস ২৩, শামি ৫/৫৪, কুলদীপ ২/৭৩, সিরাজ ১/৪৫)

     

    ধর্মশালায় বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক প্রমাণ করতে ভারত নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয় শুরু থেকেই। চতুর্থ ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে শ্রেয়াস আইয়ারের দারুণ নিচু হয়ে আসা ক্যাচে সিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। ৮.১ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট; মোহাম্মদ শামির এবারের বিশ্বকাপের প্রথম বলটাই স্টাম্পে ডেকে থামেন উইল ইয়াং। তবে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড; রাচীন রবীন্দ্র-ড্যারিল মিচেল জুটিতে। সেটায় অবশ্য ভারতও অবদান রেখেছে ক্যাচ মিস করে। পয়েন্টে ১১-তম ওভারেই সেই শামির বলে রবীন্দ্র ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান জাদেজার ব্যর্থতায়; ফিফটি পাওয়ার পর মিচেলও বেঁচে যান বুমরাহর ক্যাচ মিসে। তবে নিউজিল্যান্ডও বিপদ সামলাতে ছিল সমান পারদর্শী।

    শুরুর ধাক্কা সামলে রবীন্দ্র-মিচেল জুটি দলীয় শতরান পূর্ণ করেন ২১ ওভারেই। ৫৬ বলে রবীন্দ্র ফিফটি পেয়ে গেলে মিচেল নিজেরটা পান ৬০ বলে। কুলদীপ যাদবকে পড়তে যেখানে সবারই দুবার ভাবতে হয় সেখানে এই দুজন খেলেছেন স্বাচ্ছন্দে। ওয়ানডেতে কোনও এক ব্যাটারের কাছে সবচেয়ে বেশি রানও গুনেছেন আজ এই চায়নাম্যান, মিচেলের কাছে ৪৮ রান খরচ করে। ১৫০+ রানের জুটি গড়ে রবীন্দ্র-মিচেল জুটি যখন ভয়ংকর হয়ে উঠছিল তখনই ভারত ম্যাচে ফেরে শামির সুবাদে। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ৮৭ বলে ৭৫ রানে থামেন রবীন্দ্র। নিজেকে খুঁজে পেয়ে এরপর কুলদীপ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ও গ্লেন ফিলিপসকে ফেরালও মাঝে ৪১-তম ওভারে ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়ে যান মিচেল, ১০০ বলেই।

    তবে মিচেল এক প্রান্তে থাকলেও অন্য প্রান্তে ঝলক দেখিয়েছেন শামি। ৪৮-তম ওভারে তো টানা দুই বলে স্যান্টনার ও হেনরির উইকেট নিয়ে তৈরি করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। সেটা না হলে তার করা শেষ ওভারে মিচেল ছয়-চার মেরে পঞ্চম বলে থামেন ১২৭ বলে ১৩০ রান করে; শামি নিজের প্রথম ম্যাচেই ৫-উইকেট পেলেও নিউজিল্যান্ড পেয়ে যায় লড়াইয়ের রসদ।