বাবর হাল ধরার পর ইফতিখার-শাদাবের ঝড়ো জুটিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৮২
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, পাকিস্তান-আফগানিস্তান (টস-পাকিস্তান/ব্যাটিং)
পাকিস্তান - ২৮২/৭, ৫০ ওভার (বাবর ৭৪, শফিক ৫৮, ইফতিখার ৪০, নূর ৩/৪৯, নাভিন ২/৫২, নবী ১/৩১)
চীপকে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুটা ভালই করেছিল পাকিস্তান। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই আবদুল্লাহ শফিক-ইমাম উল হক জুটি তুলে ফেলে ৫৬ রান। তবে পাওয়ারপ্লের পরের প্রথম বলেই নাভিন-উল-হকের শিকার হয়ে ১৭ রানে থামেন ইমাম। আক্রমণে এসে সেখান থেকেই মোহাম্মদ নবী উইকেট না পেলেও দারুণ এক স্পেলে চাপ তৈরি করেন, রশিদ ও অভিষিক্ত নূর আহমেদরা সেই চাপটাই ধরে রাখেন পরে।
মাঝে ৫৯ বলে শফিক নিজের ফিফটি পেয়ে গেলেও স্পিনারদের সেই চাপ থেকেই থামতে হয় শফিককে। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৭৫ বলে ৫৮ রানে থামিয়ে নূর পেয়ে যান নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট। উইকেটে এসে মুজিবকে ডিপ মিড উইকেটের ওপর উড়িয়ে মেরে শুরু থেকেই মোহাম্মদ রিজওয়ান হাত খোলার ইঙ্গিত দিলে পরের ওভারে নূর তাকে থামান সেই মুজিবের ক্যাচেই, ৮ রানে।
মাঝের সেই ধাক্কা সামলে বাবর আজম ধরে রাখেন এক প্রান্ত। তবে আফগানরা হাল না ছাড়ায় পাকিস্তানের জন্য গিয়ার পালটানো দুষ্কর হয়ে উঠছিল। ২৫-তম ওভারে রিজওয়ান যখন ফিরলেন ওই ওভারের পর পাকিস্তান প্রথম বাউন্ডারি পায় ৩১.১ ওভারে গিয়ে। হাত খোলার চেষ্টা করার সেই সুযোগটাই লুফে নিয়ে দুর্দান্ত বল করা নবী থামান সাউদ শাকিলকে, ২৫ রানে। ৬৯ বলে এরপর বাবর নিজের ৩০-তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নিয়ে হাত খুলতে গেলে তারও হয় একই পরিণতি। ৪২-তম ওভারে নূরকে দারুণ এক ছয় মারার তিন বল পর এক্সট্রা কাভারে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে বাবর থামেন ৯২ বলে ৭৪ রান শেষে।
তবে আফগানদের প্রচেষ্টা একেবারেই ভেস্তে যায় শেষের দিকে ইফতিখার-শাদাব জুটির মারমুখী ব্যাটিংয়ে। নাভিন-ওমরযাইদের ওপর চড়াও হয়ে দুজনে মিলে ৪৫ বলে তোলেন ৭৬ রান! শেষ ওভারে সেই নাভিনের বলেই ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২৭ বলে ৪০ রানে ইফতিখার থামলে ওই ওভারের শেষে বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ৩৮ বলে ৪০ রান করে মাঠ ছাড়েন শাদাব। শেষ ৬ ওভারে ৬৭ রান তুলে পাকিস্তান তাই পায় ২৮২ রানের রসদ।