রোহিতের অধিনায়কোচিত ইনিংস, রাহুল, সূর্যকুমারের সময়োপযোগী ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ২২৯
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-ইংল্যান্ড (টস-ইংল্যান্ড/বোলিং)
ভারত - ২২৯/৯, ৫০ ওভার (রোহিত ৮৭, সূর্যকুমার ৪৯, রাহুল ৩৯, উইলি ৩/৪৫, ওকস ২/৩৩, রশিদ ২/৩৫)
টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় বাদ পড়েই গিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে হারার আগেই হার মানতে নারাজ ইংলিশরা, শেষের আগে মরণ কামড় দিতে চাইলেও ভারতও লড়েছে দাঁতে দাঁত চেপে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। পাওয়ারপ্লেতে আসরে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও এদিন ইংল্যান্ডকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন ক্রিস ওকস। চতুর্থ ওভারেই শুবমান গিলের স্টাম্প উপড়ে ফেললে এরপর ডেভিড উইলি দেখান বাঁহাতের জাদু। ৮ বলেও রানের খাতা খুলতে না পেরে নবম বলে উইলির শিকার হয়ে ভিরাট কোহলি ফিরলে পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই শ্রেয়াস আইয়ারকেও ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। তবে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে এরপর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে বুঝে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
টুর্নামেন্টে আরও একবার ফিফটিও পেয়ে যান রোহিত, ৬৬ বলে। ১৬ ওভারে যেখানে ভারতের রান ছিল ৫৫ সেখানে ২৫ ওভারেই দলীয় শতরান পূর্ণ করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় ভারত। রাহুল প্রান্ত বদলে মনোযোগী হলে রোহিত ফেরেন বাউন্ডারি বের করার ধারায়। গড়ে উঠতে থাকা জুটিতে তখনই আরও একবার বাধ সাধেন উইলি। ৯১ রানে জুটি ভাঙেন ৫৮ বলে ৩৯ রানে থাকা রাহুলকে থামিয়ে। তা সত্ত্বেও রোহিত যখন আরও একটি বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আদিল রশিদ আবির্ভূত হন হন্তারকের ভুমিকায়। লক্ষ্ণৌর কঠিন উইকেটে যখন স্পিনারদের ওপরেও চড়াও হতে যাচ্ছিলেন রোহিত; তখনই রশিদের শিকার হয়ে ১০১ বলে ৮৭ রানের দারুণ ইনিংস শেষে থামতে হয় তাকে।
ভারতের ইনিংসে আরেকটি বিপর্যয় নামতে পারত সেখান থেকেই। রবীন্দ্র জাদেজাও কিছুক্ষণ পরে রশিদের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লেও ভারতের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ দশ ওভারে ভারত তুলতে পেরেছে মোটে ৪৯ রান। তবে ১৮৩ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসার পর সূর্যকুমারের ৪৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংসটা না এলে হয়ত দুইশো পেরুনোই মুশকিল হয়ে যেত। শুধু সূর্যকুমার নয়, একবার জীবন পেয়ে জাসপ্রিত বুমরাহও খেলেছেন ১৬ রানের কার্যকর ইনিংস। লক্ষ্ণৌর মন্থর উইকেটে বোলারদের কাজ করার মত সংগ্রহ সেখানেই পেয়ে গিয়েছে ভারত।