'সুপারস্টার' রাচিন, উইলিয়ামসনের প্রত্যাবর্তনে নিউজিল্যান্ডের ৪০১
গ্রুপ পর্ব, আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৩ (টস-পাকিস্তান/বোলিং)
নিউজিল্যান্ড ৪০১/৬, ৫০ ওভার (রাচিন ১০৮, উইলিয়াসমন ৯৫, ওয়াসিম ৩/৬০)
খেলতে এসেছেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ। শুরুটাই করেছিলেন উদ্বোধনী ম্যাচে সেঞ্চুরি দিয়ে। রাচিন রবীন্দ্র শুরুর সেই ফর্ম ধরে রাখলেন আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও। পেয়েছেন বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি। ইয়ান বিশপ আজ ধারাভাষ্যে বলেছিলেন, রাচিন হলেন সুপারস্টার। কেইন উইলিয়ামসন বাম হাতের আঙ্গুলের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন চার ম্যাচের জন্য। আজ ফিট হয়ে একাদশে ফিরেই খেললেন দারুণ এক ইনিংস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও প্রত্যাবর্তনটা রাঙিয়েছেন কিউই অধিনায়ক। এই দুজনের দুটো দারুণ ইনিংসের সাথে গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যানদের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের।
সাধারণত তিন নম্বরে ব্যাট করলে আজও ডেভন কনওয়ের সাথে ওপেন করেছিলেন রাচিন। ৬৮ রানের জুটির পর কনওয়ে ফিরলে শুরু হয় ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়া জুটির। দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন-উইলিয়ামসন গড়েন ১৮০ রানের জুটি। এই জূটির পথে মাত্র ৮৯ বলে সেঞ্চ্রি তুলে নেন রাচিন। ওয়াসিমের বলে সৌদ শাকিলের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯৪ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন রাচিন। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল উইলিয়ামসনেরও। বলা ভালো সেঞ্চুরির জন্য খেলেননি উইলিয়ামসন। চাইলে ধীরেসুস্থে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন। কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এই দুজনের বিদায়ের পর ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান গড়েন ৫৭ রানের কুইকফায়ার জুটি। গ্লেল ফিলিপস এসে ২৫ বলে খেলেন ৪১ রানের ক্যামিও। মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে ২৬। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর তাদের ঝড়ে কিউইরা তুলেছে ৯৪ রান। বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে শাহীন শাহ আফ্রিদির। দশ ওভারে উইকেট শূন্য থেকে দিয়েছেন ৯০ রান, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে খরুচে স্পেল এটি। এই ঝড়ঝাপ্টার দিকে খানিকটা সফল বলা চলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে। ৬০ রানে পেয়েছেন তিন উইকেট।