• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    দিল্লিতে বায়ুদূষণ : কী আছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচের ভাগ্যে?

    দিল্লিতে বায়ুদূষণ : কী আছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচের ভাগ্যে?    

    বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু এখন ভারতের দিল্লিতে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দূষণের মাত্রা আজ ৪৬৫। সেই দিল্লীরই অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার খেলার কথা বাংলাদেশ-শ্রীলংকার। কিন্তু বায়ুদূষণের মাত্রা এতই বেশি যে দিল্লিতে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। গতকাল তাই বাধ্য হয়ে বাতিল করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন সেশন। আজ শ্রীলংকা দলও অনুশীলন করেনি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায়। দূষণের মাত্রা না কমলে কী হবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচের? 

    একিউআই সাড়ে চারশো ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে আইসিসির এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা, 'আইসিসি আর বিসিসিআই ক্রিকেটাদের স্বাস্থ্যকেই আগে প্রাধান্য দিচ্ছে। দিল্লির বাতাসের পরিস্থিতিও খুব যত্ন সহকারে মনিটর করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি আমরা এক্ষেত্রে।'

    ভারতের সরকারী একিউআই এজেন্সির ট্র্যাকিং সিস্টেম  জানাচ্ছে, শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা একই থাকবে। অর্থাৎ ৭ নভেম্বর পর্যন্ত একিউআই চারশোর বেশিই থাকবে। আজও সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত অনুশীলন সেশনে নামার কথা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই অবস্থায় সাকিবরা অনুশীলন করবেন কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। 

    গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জারি হয় জরুরি অবস্থার। দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল এবং নির্মাণকাজ ও যানবাহন চলাচলেও এসেছে বিধিনিষেধ। আগেরদিন অনুশীলন বাতিল করা নিয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, 'আমাদের আজ অনুশীলন ছিল। কিন্তু কন্ডিশন বাজে হয়ে আসায় আমরা ঝুঁকি নিইনি। অনুশীলনের জন্য আমরা আরও দুই দিন পাব। কারও কারও কাশি হয়েছে। তাই ঝুঁকি তো থাকেই। আমরা কেউ অসুস্থ হতে চাই না। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে কি না, সেটাও জানি না। তবে আগামীকাল অনুশীলন আছে। ৬ নভেম্বরের ম্যাচের জন্য আমরা সব খেলোয়াড়কে ফিট চাই।’

    ২০১৭ সালে দিল্লিতে বায়ুদূষণের মধ্যেই টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা। ম্যাচ চলাকালীন পরতে হয়েছিল সার্জিক্যাল মাস্কও। ড্রেসিংরুমে ফিরে অনেক লংকান ক্রিকেটারই বমি করেছিলেন্ন সেবার। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনকে দেখাতে হয়েছিল ডাক্তারও। শ্বাস;জনিত সমস্যায় ভুগেছিলেন অনেকেই। এর আগের বছর একই কারণে বাতিল করা হয়েছিল রঞ্জি ট্রফির দুটি ম্যাচও।