রশিদ-ওকসদের সামলে লাবুশেনের ফিফটির সাথে স্মিথ, গ্রিনের চল্লিশোর্ধ্ব রানে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৮৬
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া (টস-ইংল্যান্ড/বোলিং)
অস্ট্রেলিয়া - ২৮৬, ৪৯.৩ ওভার (লাবুশেন ৭১, গ্রিন ৪৭, স্মিথ ৪৪, ওকস ৪/৫৪, রশিদ ২/৩৮, উড ২/৭০)
আহমেদাবাদে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অর্থে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। টানা চার ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৮৬ রান ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচেই হেরে বসা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আগের দিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিস্ফোরক শুরু করা হেড-ওয়ার্নার জুটির দুজনেই এদিন ফিরলেন প্রথম পাওয়ারপ্লের ভেতরেই। ওকসের বেরিয়ে যাওয়া বল থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে পাঠাতে চাইলে স্লিপে থাকা রুটের হাতে ক্যাচ তুলে হেড দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান। সেই ওকসের অফ কাটার পড়তে না পেরেই আকাশে বল ভাসিয়ে ওয়ার্নার ফেরেন ষষ্ঠ ওভারে। লাবুশেন-স্মিথ জুটি পরে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আর কোনও বিপদ ঘটতে না দিয়ে ৪৮ রান তুলে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন ১৯.৩ ওভারে। জুটিটা উইকেটে থিতু হয়ে গেলেও রশিদের দারুণ এক লেগ ব্রেকে ধন্দে পড়ে ৫২ বলে ৪৪ রান শেষে থামেন স্মিথ।
স্মিথ থামলেও ৬৩ বলে ফিফটি পেয়ে যান লাবুশেন। তবে রশিদকে উইকেট উপহার দিয়ে তার পরের ওভারে ইংলিস ফিরলে স্তিমিত হয়ে পড়ে অজিদের রানের চাকা। সেটারই সুযোগ বুঝে উডকে ফেরানো হলে তার হালকা ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউর হয়ে থামেন ৮৩ বলে ৭১ রানে থাকা লাবুশেন। গ্রিন-স্টয়নিসের দক্ষতায় অবশ্য ৩৭ ওভারেই অস্ট্রেলিয়া ২০০ রান পেয়ে গেলেও এই দুজন ফেরার পর একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি তারা। উইলির লেংথ বল মিস করে স্টাম্প খুইয়ে ৫২ বলে ৪৭ রানে গ্রিন থামলে পরে আক্রমণে আসা লিভিংস্টোনকে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে পরের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৩২ বলে ৩৫ রানে ফেরেন স্টয়নিস। পরের ওভারেই উডের শিকার হয়ে কামিন্স ফিরলে পঞ্চাশ ওভার খেলা নিয়েই জেগেছিল অজিদের শঙ্কা। সেই শঙ্কা দূর করে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের রসদ এনে দেয় জাম্পা-স্টার্ক জুটি; বলা ভালো এনে দেন জাম্পা। ১৯ বলে ২৯ রানের দারুণ ইনিংসের পর শেষ ওভারের প্রথম বলেই ওকসের শিকার হয়ে ফিরলে দুই বল পরেই ১০ রানে থামেন স্টার্ক।