সেঞ্চুরি বঞ্চিত ওমরযাইয়ের নিঃসঙ্গ লড়াইয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৪৪ রান
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান (টস-আফগানিস্তান/ব্যাটিং)
আফগানিস্তান - ২৪৪, ৫০ ওভার (ওমরযাই ৯৭*, নূর ২৬, রহমত ২৬, কোটজিয়া ৪/৪৪, মহারাজ ২/২৫, এনগিডি ২/৬৯)
আহমেদাবাদে প্রথমার্ধেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল আফগানিস্তানের সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন। নিউজিল্যান্ডের রান রেট টপকাতে হলে ৪৩৮ রানে জিততে হত তাদের। সেটা সম্ভব না হলেও আজমতউল্লাহ ওমরযাইয়ের লড়াকু ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সুযোগ এখনও থাকছে তাদের।
ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা সেই অর্থে মনমত হয়নি আফগানদের। এক প্রান্তে ইব্রাহিম জাদরান রয়েসয়ে শুরু করলেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিন ছিলেন আপন ছন্দে। তবে নবম ওভারে কেশব মহারাজকে আক্রমণে আনা হলে তার প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ২২ বলে ২৫ রানে থামেন গুরবাজ। তার পরের ওভারেই কোটজিয়ার জুতার স্পাইকে সমস্যা, ইব্রাহিমের পায়ের পাতা বরাবর করা বলে তার চোট পাওয়ার পর তৃতীয় বলে কিছুটা খাটো লেংথের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩০ বলে ১৫ রানে থামেন এই ওপেনার। পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারে এবার মহারাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। রহমত শাহকে নিয়ে এরপর ওমরযাই ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও এনগিডির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে থামেন রহমত। একাধিক বার চেষ্টা করে মিলার শেষমেশ বল তালুবন্দি করতে সমর্থ হলে ৪৬ বলে রহমত ২৬ রানে ফেরায় এরপর প্রায় একাই লড়ে যান ওমরযাই।
কোটজিয়া, এনগিডি, ফেলুকওয়াওদের তোপে ১১৬ রানেই আফগানরা ৬ উইকেট হারিয়ে বসলে রশিদ খানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার জন্যই খেলেন ওমরযাই। এরই মধ্যে ৭১ বলে তিনি ফিফটি পূর্ণ করলে আবারও খাটো লেংথের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে রশিদকে থামান ফেলুকওয়াও। সেখান থেকে নূর আহমেদ অবশ্য ওমরযাইকে দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। ৪৭-তম ওভারে কোটজিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩২ বলে ২৬ রান করে ওমরযাইকে গিয়ার পাল্টানোর সুযোগ করে দেন এই চায়নাম্যান। তার সুবাদে এনগিডির পরের ওভারে মুজিবকে সঙ্গী করে ২ ছয়, ১ চারে দুজনে মিলে নেন ২০ রান। সেখান থেকে সেঞ্চুরির সুবাস পেলেও শেষমেশ মিসের আক্ষেপেই পুড়তে হয়েছে ওমরযাইকে। রাবাদার এক দারুণ শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান এলে ১০৭ বলে ৯৭* রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে আফগান এই অলরাউন্ডারকে।