স্টোকস, রুট, বেইরস্টোর ফিফটিতে পাকিস্তানের সামনে ৩৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে ইংল্যান্ড
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ইংল্যান্ড-পাকিস্তান (টস-ইংল্যান্ড/ব্যাটিং)
ইংল্যান্ড - ৩৩৭/৯, ৫০ ওভার (স্টোকস ৮৪, রুট ৬০, বেইরস্টো ৫৯, রউফ ৩/৬৪, আফ্রিদি ২/৭২, ওয়াসিম ২/৭৪)
টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিং নেওয়ার সাথে সাথেই এক অর্থে শেষ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য ৬.৪ ওভারে তাড়া করতে হবে - অসম্ভব এক সমীকরণে সেটাই খোদাই করে লেখা হয়ে গেল।
ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা আজ দারুণ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। জনি বেইরস্টো রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলে ডাভিড মালানও যোগ দেন রানের উৎসবে। সেটার জন্য অবশ্য তৃতীয় ওভারেই শাহীন আফ্রিদির ফিরতি ক্যাচ লুফে নেওয়ার ব্যর্থতাকে ধন্যবাদ দিতে পারেন তিনি। সেখান থেকে দুজনে মিলে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৭২ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। সুযোগ পেয়েও মালান অবশ্য এরপর ইনিংস লম্বা করতে না পারলে ভাঙে ৮২ রানের ওপেনিং জুটি । ইফতিখারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ বলে ৩১ রান শেষে মালান থামলে উইকেটে এসে রুটও এদিন ছিলেন আপন ছন্দে। সেই সুবাদে ৫২ বলে বেইরস্টো ফিফটি পেয়ে গেলে ইংল্যান্ড শতরান পূর্ণ করে ১৬.১ ওভারেই। তবে এক ওভার পরেই রউফের বলে কাভারে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে তিনি ৬১ বলে ৫৯ রানে থামলে ইংলিশদের লাগাম টেনে ধরতে পারত পাকিস্তান। তবে ২৪.১ ওভারে উইকেটে আসা স্টোকসের ফিরতি ক্যাচ আবারও লুফে নিতে ব্যর্থ হন আফ্রিদি।
সেই সুযোগে ছুটতে থাকা স্টোকস পরে উইকেটে এসেও ৫৩ বলে রুটের আগে পেয়ে যান ফিফটি। জুটি শতরান পূর্ণ করলে এরপর রুট ফিফটি পান ৬৫ বলে। মাত্র ৩৪.৩ ওভারেই ২০০ রান পূর্ণ হয়ে গেলে বড় লক্ষ্য গড়তেই এগুচ্ছিল ইংল্যান্ড। সেই সুযোগেই আক্রমণে এসে দুর্দান্ত এক রিভার্স সুইঙ্গিং ইয়র্কারে ৭৬ বলে ৮৪ রান করা স্টোকসের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন আফ্রিদি। এক ওভার পরে স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করে ৭২ বলে ৬০ রানে থাকা রুটকেও থামান আফ্রিদি।
পরের ওভারেই শাদাবের বলে দুইবার সুযোগ পান বাটলার! দ্বিতীয়বার তো বাউন্ডারিতে ক্যাচ নিয়ে দড়ি ছুঁয়ে ছয়ই বানিয়ে দেন রউফ। সেই সুযোগে ১৮ বলে ২৭ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, সেই রউফের কাছেই রান আউটে কাটা পড়ার আগে। শেষদিকে ইংল্যান্ড একের পর এক উইকেট হারালেও ১৭ বলে হ্যারি ব্রুকের ৩০ রানের ক্যামিও, ৫ বলে ডেভিড উইলির ১৫ রানের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহই পেয়েছে তারা।