মার্শ-ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ, পরাজয়ে শেষ বিশ্বকাপ
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩, গ্রুপ পর্ব (টস-অস্ট্রেলিয়া/বোলিং)
বাংলাদেশ ৩০৬/৮, ৫০ ওভার (হৃদয় ৭৪, শান্ত ৪৫, জ্যাম্পা ২/৩২)
অস্ট্রেলিয়া ৩০৭/২, ৪৪.৪ ওভার (মার্শ ১৭৭*, স্মিথ ৫৩, তাসকিন ১/৬১)
অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
ফলাফলটা অনুমিতই ছিল। উড়তে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ। অজিদের বিশাল এই জয়ে এক মিচেল মার্শই গড়ে দিলেন মূল পার্থক্য। বাংলাদেশী বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭* রানের ইনিংসে দলকে জেতালেন ৩২ বল হাতে রেখে।
৩০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অজিরা। তাসকিনের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন হেড। তিনে নেমেছিলেন মার্শ, ওয়ার্নারের সাথে গড়েন ১২০ রানের জুটি। মোস্তাফিজ ওয়ার্নারের উইকেট পেয়েছিলেন ২৩-তম ওভারে। ব্যস! বাংলাদেশী বোলারদের সাফল্য আজ এতটুকুই। পুনেতে আজ বাকিটা ছিল মার্শের রাজত্বের দিন।
৮৭ বলে ১১ চার ও চারটি ছক্কায় তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি। লম্বা সময় ব্যাটিং করায় পায়ে ক্র্যাম্প হলে থামেননি। ফিফটি পাওয়ায় স্মিথকে সাথে নিয়ে স্টিম রোলার চালিয়েছেন বাংলাদেশী বোলারদের ওপর, তৃতীয় উইকেট ১৭৫ রানের অপরাজিত জুটিতে। শেষ পর্যন্ত ১৩২ বলে ১৭৭ রানের ইনিংসটা মার্শ সাজিয়েছিলেন ১৭ চার ও ৯ ছক্কায়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন-তানজিদ ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৭৬ রান। তানজিদ অ্যাবটের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৬ রানে। অধিনায়ক শান্তর সাথে ছোট জুটির পর ৩৬ রানে ফেরেন লিটনও। আজ চারে নেমেছিলেন হৃদয়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬৪ রানের জুটিতে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থাকা শান্ত দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়লে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের।
মাহমুদউল্লাহ এসে তিন ছক্কা এক চারে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন অজিদের ওপর। হৃদয়ের কলে সাড়া দিয়ে রান আউটে থামতে হয়েছে তাকেও। দুর্দান্ত থ্রোতে রিয়াদকে ফিরিয়েছেন মার্নাস লাবুশেন। মুশফিক এসে উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। জ্যাম্পার বলে ২১ রানে সফট ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
হৃদয় আজ ব্যাট করেছেন ইনিংসের ৪৭-তম ওভার পর্যন্ত। মার্কাস স্টয়নিসের ফুলটস সীমানাছাড়া করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেয়ার আগে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম ফিফটি। তার এক পাশ আগলে রাখা ব্যাটিংয়ের সাথে শেষদিকে মিরাজের ২৯ রানের ইনিংসে ৩০০ পেরোয় বাংলাদেশ।