বেঙ্গালুরুতে রাহুল-শ্রেয়াসের তান্ডব: ডাচদের সামনে ভারতের রান-পাহাড়
২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-নেদারল্যান্ডস (টস-ভারত/ব্যাটিং)
ভারত - ৪১০/৪, ৫০ ওভার (শ্রেয়াস ১২৮*, রাহুল ১০২, রোহিত ৬১, ডি লিড ২/৮২, মারউই ১/৫৩)
ডাচদের বিপক্ষেও অপরিবর্তিত দল নিয়ে নেমে রোহিত শর্মা ব্যাটিং নিলেন তখনই আঁচ করা যাচ্ছিল কী হতে চলেছে; হলও তাই। ৮৪ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায় নাম লেখালেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে এরপর তাকে ছাপিয়ে আরও এক ধাপ উপরে উঠে নিজেকে ভারতের বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন লোকেশ রাহুল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনও দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটার ৫০+ রানের ইনিংস খেলে রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংসেই তাই ডাচদের ভাগ্য লিখে ফেলেছে ভারত।
প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই পথটা বাতলে দিয়েছিল ওপেনিং জুটি ৯১ রান তুলে। গিল ৩০ বলে ফিফটি পেয়ে গেলে ভারত শতরান পেয়ে যায় মাত্র ১১.৪ ওভারেই! তার পরের বলেই ভ্যান মিকেরেনের একমাত্র শিকার হয়ে তিনি ৩১ বলে ৫১ রানে থামলে রোহিত পরে ফিফটি পান ৪৪ বলে। রোহিতকেও থামতে হয় ভারতের ওপর বিশ বছর আগে ছড়ি ঘোরানো একজনের পুত্রের কাছে। ২০০৩ সালে বাবা টিম ডি লিডের চার উইকেটের কীর্তি অনুসরণ করতেই ভারতের বিপক্ষে যেন অনুপ্রাণিত ছিলেন বাস; সেখান থেকেই তিনি রোহিতকে ফেরান ৫৪ বলে ৬১ রান শেষে।
শ্রেয়াসকে নিয়ে এরপর কোহলি দারুণ শুরু করে ৫০-তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে ৫৩ বলে ফিফটি করে তিন বল পরেই ভ্যান ডার মারউইর বলে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন তিনি। এরপরেই শুরু হয় রাহুল-শ্রেয়াসের বিধ্বংসী জুটি। মাত্র ২৮.৩ ওভারেই ভারত ২০০ রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেলে পরের শতরানেই দুজন খরচ করেন মাত্র ১৩.১ ওভার!
৪৮ বলে ফিফটি পাওয়া শ্রেয়াস গিয়ার বদলান রাহুলের ৪০ বলে ফিফটি পাওয়ার পর। তাতেই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান শ্রেয়াস, ৮৪ বলে। শর্ট বলের দুর্বলতার জবাব দিয়ে দুর্দান্ত সেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করে শুধু সমালোচকদের জবাবই দেননি; রাহুলকেও বানিয়ে দিয়েছেন মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডাচদের তুলোধোনা করে ৬১ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাহুল। ৪৯-তম ওভারে তো চারশো পূর্ণ করার সময় ভ্যান বিককে ৩ ছয়, ১ চার মেরে দুজনে মিলে নিয়েছেন ২৫ রান! শেষ ওভারে সেঞ্চুরির পর ডি লিডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রাহুল ৬৪ বলে ১০২ রানে থামলেও ৯৪ বলে ১২৮* রানে মাঠ ছেড়েছেন শ্রেয়াস, তাতেই ভারত পেয়েছে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।