• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    ডাচদের সাথে ছেলেখেলা করে ভারতের নয়ে নয়

    ডাচদের সাথে ছেলেখেলা করে ভারতের নয়ে নয়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ভারত-নেদারল্যান্ডস (টস-ভারত/ব্যাটিং)
    ভারত - ৪১০/৪, ৫০ ওভার (শ্রেয়াস ১২৮*, রাহুল ১০২, রোহিত ৬১, ডি লিড ২/৮২, মারউই ১/৫৩)
    নেদারল্যান্ডস - ২৫০, ৪৭.৫ ওভার (নিদামানুরু ৫৪, এঙ্গেলব্রেখট ৪৫, অ্যাকারম্যান ৩৫, সিরাজ ২/২৯, বুমরাহ ২/৩৩, কুলদীপ ২/৪১)
    ফলাফল - ভারত ১৬০ রানে জয়ী


     

    ডাচদের বিপক্ষে যেন বিশ্বকাপের মাঝে বনভোজন সারলেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। নয় বছর পর ওয়ানডে উইকেট পেলেন ভিরাট কোহলি; সাত বছর পর বল হাতে নিয়েই রোহিত শর্মা পেলেন উইকেট। তবে ডাচরা একেবারেই লুটিয়ে পড়েনি। ভারতের পাহাড়সম সংগ্রহের বদৌলতে তবুও বিশাল জয়ে অপরাজিত থাকল তারা।

    সিরাজের প্রথম ওভারেই ব্যারেসি ফিরলেও প্রথম পাওয়ারপ্লেতে অ্যাকারম্যান ও ম্যাক্স মিলে তুলে ফেলেন ৬২ রান। তবে কুলদীপকে সুইপ করতে গিয়ে ৩৫ রানে অ্যাকারম্যান এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই ৩০ রানে থাকা ম্যাক্সের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন জাদেজা।সেখান থেকেই হুট করে রোহিত শুরু করেন পরীক্ষা। কোহলিকে আক্রমণে আনার পর নিজের তৃতীয় ওভারে ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসকে ফেরান তিনি।

    মাঝে হাত ঘুরিয়েছেন স্কাই, গিলরাও। সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট সিরাজের কাছে স্টাম্প খুইয়ে ৮০ বলে ৪৫ রানে ফিরলে শেষে তেজা নিদামানুরু ব্যবধানটা কমিয়েছেন। তবে ৪৮-তম ওভারে বল হাতে নিয়েই রোহিত ৩৯ বলে ৫৪ রানে থাকা নিদামানুরুকে ফেরালেই ভারত পেয়ে যায় বড় জয়।

    এর আগে ব্যাটিং নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনও দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটার ৫০+ রানের ইনিংস খেলে রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংসেই তাই ডাচদের ভাগ্য লিখে ফেলেছিল ভারত। রাহুলের রেকর্ড সেঞ্চুরি ও শ্রেয়াসের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিটা জয়ের পথ বাতলে দিয়েছিল তখনই।

    প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই পথটা বাতলে দিয়েছিল ওপেনিং জুটি ৯১ রান তুলে। গিল ৩০ বলে ফিফটি পেয়ে গেলে ভারত শতরান পেয়ে যায় মাত্র ১১.৪ ওভারেই! তার পরের বলেই ভ্যান মিকেরেনের একমাত্র শিকার হয়ে তিনি ৩১ বলে ৫১ রানে থামলে রোহিত পরে ফিফটি পান ৪৪ বলে। রোহিতকেও থামতে হয় ভারতের ওপর বিশ বছর আগে ছড়ি ঘোরানো একজনের পুত্রের কাছে। ২০০৩ সালে বাবা টিম ডি লিডের চার উইকেটের কীর্তি অনুসরণ করতেই ভারতের বিপক্ষে যেন অনুপ্রাণিত ছিলেন বাস; সেখান থেকেই তিনি রোহিতকে ফেরান ৫৪ বলে ৬১ রান শেষে।

    শ্রেয়াসকে নিয়ে এরপর কোহলি দারুণ শুরু করে ৫০-তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে ৫৩ বলে ফিফটি করে তিন বল পরেই ভ্যান ডার মারউইর বলে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন তিনি। এরপরেই শুরু হয় রাহুল-শ্রেয়াসের বিধ্বংসী জুটি। মাত্র ২৮.৩ ওভারেই ভারত ২০০ রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেলে পরের শতরানেই দুজন খরচ করেন মাত্র ১৩.১ ওভার!

    ৪৮ বলে ফিফটি পাওয়া শ্রেয়াস গিয়ার বদলান রাহুলের ৪০ বলে ফিফটি পাওয়ার পর। তাতেই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান শ্রেয়াস, ৮৪ বলে। শর্ট বলের দুর্বলতার জবাব দিয়ে দুর্দান্ত সেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করে শুধু সমালোচকদের জবাবই দেননি; রাহুলকেও বানিয়ে দিয়েছেন মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডাচদের তুলোধোনা করে ৬১ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাহুল। ৪৯-তম ওভারে তো চারশো পূর্ণ করার সময় ভ্যান বিককে ৩ ছয়, ১ চার মেরে দুজনে মিলে নিয়েছেন ২৫ রান! শেষ ওভারে সেঞ্চুরির পর ডি লিডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রাহুল ৬৪ বলে ১০২ রানে থামলেও ৯৪ বলে ১২৮* রানে মাঠ ছেড়েছেন শ্রেয়াস, তাতেই ভারত পেয়েছে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।