জিরোনাঃ লা লিগায় নতুন সূর্যোদয়
১.
দিনের প্রথম সূর্য দেখে নাকি বলে দেওয়া যায় দিন কেমন কাটবে। “মর্নিং শোজ দ্য ডে” প্রবাদটা তো এমনি এমনি আসে নি। সত্যিই কি তাই?
লা লিগার নিতান্তই মাঝারি সারির একটি ক্লাব-বছরদুয়েক আগেও যারা রীতিমতো লড়াই করছিলো স্পেনের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল লীগে জায়গা করে নেবার জন্য, তাদের এমন অভ্যুত্থান দেখে বাকি সীজনটা তাদের জন্য কেমন কাটবে-তা হয়তো বলা খানিক কঠিন হলেও বিশ বছরে প্রথমবারের মত লা লিগার “দ্য হোলি ট্রিনিটি”র বদলে যখন এই ক্লাবটিই দখল করে নেয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান, তখন দিনবদলের পালা গাইতে বসে পড়াই যায়!
চেনাপরিচিত, “লীগ কন্টেন্ডার” রাঘব বোয়ালদের ভীড়ে একেবারেই আনকোরা ক্লাব জিরোনা। গত ৯৪ বছরে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের পাশাপাশি কেবল রিয়াল সোসিয়েদাদই ছিলো লীগের প্রথম বারো ম্যাচের মধ্যে দশটি জেতা একমাত্র দল, তাও সেই ১৯৩৪ সালের কথা। তার চেয়েও বেশি আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবারের মত জিরোনা স্থান পেয়েছে স্পেনের একদম প্রথম সারির লীগটিতে, সতেরো বছর আগেও “কোপা ডেল রে” ছাড়া অন্য কোনো পরিচিত প্রতিযোগিতায় যাদের নামও শোনা যেত না। ২০১৮-১৯ মৌসুমে লীগের একেবারে শেষ রাউন্ডে রেলিগেশন, পরপর দুই সিজনে প্লে-অফে একেবারে “কাটমার্ক” এ বাদ পড়া। তাহলে কি তারা পরশপাথরের সন্ধান পেলো? উহু, ঝড়েও বক মারেনি তারা; লীগের অন্য সম্ভাব্য বিজয়ীদের চেয়ে যথেষ্ট ধারাবাহিকভাবেই বরং জিতে যাচ্ছে একের পর এক ম্যাচ।
তবে ঘটনা কী? চলুন, পাদপ্রদীপের আলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে অনুভব করে নেওয়া যাক এর তাপ।
২.
সিটি ফুটবল গ্রুপ (CFG) এর কল্যাণে জিরোনার সাথে ম্যানচেস্টার সিটির সম্পর্কটাকে তুচ্ছ করা ঠিক না হলেও আপনি যদি শুধু এই “কন্সপিরেসি থিওরি” এর চাদর দিয়ে ম্যানেজার মিচেল সানচেজ-লা লিগায় ক্লাবের প্রোমোশনের পরেও যিনি একাধিকবার বহিষ্কৃত হতে হতেও ছয় বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী, সাতাশ মাস বয়সী চাকরিটা নিষ্ঠার সাথে টিকিয়ে রেখেছেন, অ্যালেক্স গার্সিয়া, ম্যানচেস্টার সিটির ইয়ুথ একাডেমিতে বেড়ে ওঠার পরও ইংল্যান্ড থেকে বেলজিয়াম, সব জায়গায় যিনি ব্রাত্য হয়েছেন-তাদের সংগ্রামগুলোকে ঢেকে দিচ্ছেন, তাহলে মস্তবড় একটা ভুল করছেন।
সিএফজির মাধ্যমে এ মৌসুমে জিরোনা লোনে নিয়ে এসেছে লাজিওর আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ভ্যালেন্তিন ক্যাস্তেলানোসকে, ম্যানচেস্টার সিটি থেকে সরাসরি দলে ভিড়িয়েছে ইয়াঙ্গেল হেরেরা এবং ইয়ান কৌতোকে। তা সত্ত্বেও ক্লাবটির ট্রান্সফার উইন্ডো খুব চাকচিক্যপূর্ণ নয়; গড়ে মাত্র তিন মিলিয়ন ইউরোরও কম খরচে সমস্ত কাজ সেরেছে তারা।
তবে হ্যাঁ, প্রত্যেক সাইনিংই বল পায়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী এবং মাঠে ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে খেলতে প্রস্তুত। উদাহরণ হিসেবে বার্সেলোনা থেকে লোনে সদ্য জয়েন করা এরিক গার্সিয়া এবং বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে আসা ডাচ ডিফেন্ডার ডালি ব্লিন্ডের কথা বলা যায়। এছাড়াও আছেন দুই তরুণ ফুলব্যাক-আরানাউ মার্টিনেজ এবং মিগুয়েল গুতিয়েরেজ, যারা প্রয়োজন হলে মিডফিল্ডে ইনভার্ট করতেও বেশ স্বচ্ছন্দ। রক্ষণভাগের এই ফ্লেক্সিবল, বল-প্লেয়িং চতুরঙ্গ নামমাত্র মূল্যে কেনা। আক্রমণভাগও কম সমৃদ্ধ নয় এই সাদা-লাল জার্সিধারীদের। ৫ মিলিয়ন ইউরোরও কমে চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ইউক্রেনের হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফরোয়ার্ড ভিক্টর জাইগানকভকে দলে ভিড়িয়েছে জিরোনা। লেফট উইংয়ে আছেন স্যাভিওর মত চটপটে, ক্ষিপ্র এক তরুণ। আর মিডফিল্ডে প্রাণের স্পন্দন হয়ে ফ্রিতে আসা অ্যালেইক্স গার্সিয়ার কথা নতুন করে আর নাই-ই বা বললাম!
ফলাফল পানির মতই স্বচ্ছ। গত সিজনে লা লিগায় প্রোমোশন পাবার পর থেকে “দ্য বিগ থ্রি” এবং লাস পালমাসের পরই সবচেয়ে বেশি অ্যাকুরেট পাস এবং বল পজেশন জিরোনার। এ সিজনে লীগে সবচেয়ে বেশি গোল এবং সবচেয়ে বেশি বিগ চান্স ক্রিয়েশনও তাদেরই। অবশ্য হবেই না বা কেন? বল পায়ে দৃঢ়তা, আত্মপ্রত্যয় এবং স্বাচ্ছন্দ্য যে ফুটবলারদের কাছ থেকে মিচেলের প্রধান চাহিদা! গত আগস্টে সেভিয়ার বিপক্ষে যখন তার দল প্রথমার্ধে ৩১ মিনিটের মাথায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও স্নায়ুচাপে ভুগছিলো, তখন তিনিই প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গকে চুরমার করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে শিষ্যদের পরামর্শ দেন সাহসী “স্ট্রীট ফুটবল” খেলতে। ঐ ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয়লাভ করে জিরোনিস্তারা।
“বল পাওয়ার সাথে সাথেই তা ছেড়ে দেওয়া যাবে না, একটু লম্বা সময় ধরে ক্যারি করতে হবে। কমপক্ষে দু’বার টাচ করতেই হবে। প্রথমবার ফলস অ্যাটাক, তারপর অন্যজনকে পাস…”
-সেভিয়ার বিপক্ষে ৩১তম মিনিটে শিষ্যদের প্রতি মিচেল সানচেজ (Reference: Twitter)
সত্যিই, একেবারে “পিওর ফুটবল” যাকে বলে!
৩.
একেবারে গোড়া থেকেই আরম্ভ করা যাক মিচেলের পাঁচালির। সাধারণত ৪-১-৪-১ ফর্মেশন থেকে গেমপ্লে শুরু হয় তার, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ৩-২-৫ বা ৩-১-৬ এর মত বেশ হাই অ্যাটাকিং ফর্মেশনে। মার্তিনেজ-গার্সিয়া-ব্লিন্ড-গুতিয়েরেজ চতুষ্টয় হাফওয়ে লাইনের বাইরে পর্যন্ত বল ক্যারি করে অ্যাটাক বিল্ডআপ করতে সিদ্ধহস্ত; বিশেষ করে ডালি ব্লিন্ড, যিনি অ্যালেইক্স গার্সিয়াকে কভার দিতে মিডফিল্ড পর্যন্ত চলে যেতে পারেন। তিনি অনুপস্থিত থাকলে অবশ্য গুতিয়েরেজকেই দায়িত্বটা নিতে হয়, যেহেতু মার্তিনেজ অপেক্ষাকৃত একটু কম আক্রমণাত্মক খেলেন।
জিরোনার ফরমেশন-ট্রান্সফরমেশন। (Image reference: YouTube)
গত অক্টোবরে কাদিজের বিপক্ষেও মাত্র ২৩ মিনিটের ভেতরে এই চারমূর্তি ঢুকে পড়েন অপোনেন্টের হাফে এবং ব্লিন্ড বল পায়ে এগিয়ে যান, বাকি ছয়জনের যেকোনো জনকেই পাস দেওয়ার অপশন এবং পর্যাপ্ত স্পেস হাতে রেখে। সে ম্যাচে জিরোনার ডিফেন্ডাররা ফাইনাল থার্ডে ৯১.৮% অ্যাকুরেসিসম্পন্ন ৮৯টি পাস সম্পন্ন করেছিলো, এবং জিতেছিলো ১-০ ব্যবধানে।
কাদিজের বিপক্ষে ডালি ব্লাইন্ডের প্রোগ্রেসিভ রান এবং বিস্তৃত পাসিং অপশন (Image reference: The Athletic)
যদি আপনি পুরো ম্যাচজুড়ে আপনার দলের প্রেসিং ফ্রিকুয়েন্সি বজায় রাখতে চান, তাহলে চোখ বন্ধ করে নেদারল্যান্ডসের হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলে ফেলা ডালি ব্লিন্ডকে আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারেন। বর্তমানে এই তেত্রিশ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক লা লিগার অন্যতম একজন প্রোগ্রেসিভ পাসদাতা, যিনি সহজেই বল ক্যারি করে মিডফিল্ড পর্যন্তও উঠতে পারেন। এ পর্যন্ত লীগে তার ফরোয়ার্ড পাসের সংখ্যা ম্যাচপ্রতি ৩১.৮, যে পরিসংখ্যানে একমাত্র টনি ক্রুসেরই পেছনে আছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডিফেন্ডারদের মধ্যেও একমাত্র জুলস কুন্দের পাশাপাশি তিনিই ৩০০ মিটারের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত বল ক্যারি করতে সক্ষম। গত সেপ্টেম্বরে মায়োর্কার বিপক্ষে তার হিটম্যাপই বলে দিচ্ছে যে গেম বিল্ড-আপে তার এই বলপ্লেয়িং অ্যাবিলিটির অবদান ঠিক কতখানি। ৫-৩ ব্যবধানে জেতা এই ম্যাচে একেবারে ফাইনাল থার্ড পর্যন্ত, বিশেষ করে লেফট ওয়াইড এরিয়া এবং হাফস্পেসজুড়ে বল পায়ে তিনি ছিলেন অনবদ্য।
মায়োর্কার বিপক্ষে ডালি ব্লিন্ডের হিটম্যাপ (Image Reference: SofaScore)
অন দ্য বলে এমন সাহসী এবং বিপজ্জনক হয়ে ওঠাই সবধরণের পরিস্থিতিতে জিরোনার অ্যাটাকিংয়ের মূলমন্ত্র। এই মূলমন্ত্র অনুসরণ করে এই পর্যন্ত লীগে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে ব্ল্যাঙ্কুইভার্মেলসরা, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে-যে ম্যাচে তারা তিনটি বিগ চান্স মিস করে গেছিলো এবং একটি শট লাগিয়েছিলো বারপোস্টে। দুর্ভাগ্যই বটে!
তবে সে ম্যাচের পাসিং নেটওয়ার্কের প্রশংসা না করে পারা যায় না। বামে-ডানে গুতিয়েরেজ-কৌতো যথেষ্ট ওপরে অবস্থান করে ডালি ব্লিন্ড এবং ডিপ-লায়িং মিডফিল্ডার অ্যালেইক্স গার্সিয়ার সঙ্গে গড়েছেন ভালো লিংকআপ, এমনকি অ্যাটাক বিল্ডআপে তাদের পাসিং লিংকেজও ছিলো যথেষ্ট সমৃদ্ধ।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জিরোনার পাসিং ইলাস্ট্রেশন (Image Reference: The Athletic)
এই জিরোনা প্রত্যয়ী, দৃঢ়; বাঘা বাঘা দলগুলোর সাথেও তিলমাত্র আপোস করতে প্রস্তুত নয় একদমই। ধারাবাহিকভাবে গোল করা এবং গোল হজম করার হার ন্যূনতম রাখার মাধ্যমে তারা যে তাদের ক্লাবের ইতিহাসে এক বিপ্লব ঘটানোর উদ্দেশ্যকে করেছে তাদের পাখির চোখ, তা বলাই বাহুল্য!
৪.
এই সিজনে জিরোনা কেবলমাত্র লা লিগারই টপ স্কোরার নয়, বরং ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগের অন্য কোনো ক্লাবই তাদের মত করে প্রথমে গোল হজম করা সত্ত্বেও কেবলমাত্র কামব্যাক দেবার মাধ্যমে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করতে পারে নি। গত সাত ম্যাচের ফলাফল দেখুন, ৫-৩, ৫-২, ৪-২- এধরণের স্কোরলাইনই ঘুরেফিরে আপনার চোখে পড়বে।
হোয়াইট অ্যান্ড রেডসদের অস্ত্রাগারে অস্ত্রের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। সপ্তাহখানেক আগে ওসাসুনার বিপক্ষে ১৬ মিনিটের মাথায় ইভান মার্টিনের গোলটার মূল উৎস ডালি ব্লিন্ড এবং বরাবরের মতই তার ডিফেন্স লাইনের বাইরে সহজাত মুভমেন্ট। পাসটা পেতেই ফ্রেঞ্চ লীগের ক্লাব ত্রয়েস থেকে আসা ১৯ বছরের স্যাভিওর ডিফেন্সচেরা সেই কাউন্টার অ্যাটাক তার পজিশনাল ফ্লুইডিটি এবং ফুটবলীয় বুদ্ধিমত্তারই পরিচয়। আর্তেম ডভবিকও সঠিক সময়েই পাসটা দিয়েছিলেন ইভান মার্টিনকে, যিনি চকিতে ডান পায়ে শট নিয়ে বলটা বটম রাইট কর্নারে জড়িয়ে ফেলতে দ্বিধাবোধ করেননি। গোল কন্ট্রিবিউশনের কৃতিত্ব ডভবিক এবং মার্টিন পেলেও মূল কারিগর ছিলেন সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ স্যাভিও।
অ্যামাজনের কালো চিতার মতই ক্ষিপ্রগতির, একাই প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ছিঁড়েখুড়ে ফেলার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রাজিলীয় এই তরুণকে জিরোনার “ওয়াইল্ডকার্ড” বললে খুব একটা ভুল হবে না। প্রতি ম্যাচে গড়ে তার ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ডুয়েল জয়ের সংখ্যা চারটি; লা লিগায় শুধুমাত্র চারজন খেলোয়াড়ই এই পরিসংখ্যানে তার চেয়ে এগিয়ে। তার ফরোয়ার্ড ক্যারি ম্যাপ দেখলেই বোঝা যাবে যে লেফট উইংয়ে তার প্রতিপত্তি প্রতিপক্ষের জন্য ঠিক কতটা ভয়াবহ!
ওসাসুনার বিপক্ষে স্যাভিওর ফরোয়ার্ড বল ক্যারি ম্যাপ (Image Reference: The Athletic)
ওদিকে ডান পাশে ইয়ান কৌতোও একইরকম বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। রাইট ফ্ল্যাঙ্কের যেকোনো পজিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ একুশ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান লা লিগার যেকোনো ফুলব্যাকের চেয়ে বেশি ড্রিবল সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তার ডিফেন্সিভ অ্যাবিলিটিও মিচেলের হাতে তুলে দিয়েছে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক এবং শান্ত, ধীর কৌশলের অধিকারী আরানাউ মার্তিনেজের একটি সফল বিকল্প।
জিরোনার ট্যাকটিক্স সাধারণত বেশ সংযমী, তবে দুই তরুণ ব্রাজিলীয় উইঙ্গারের বদৌলতে প্রয়োজন হলে তারা মাঠে ঝড়ঝঞ্ঝা তুলে ফেলতেও পারদর্শী এবং প্রস্তুত।
৫.
“মর্নিং শোজ দ্য ডে”-প্রবাদটা যতই অতিরঞ্জিত শোনাক না কেন, এ পর্যন্ত সব ম্যাচ বিশ্লেষণ করে জিরোনার গোলস্কোরিং ফ্লেক্সিবিলিটি বা ট্যাক্টিক্সের ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে এদের শুধুই ভোরবেলার শিশিরবিন্দুর সাথে তুলনা করাটা একেবারেই উচিত হবে না।
অবশ্য অপটার মতে, জিরোনার লা লিগা জেতার সম্ভাবনা মাত্র ০.৬%। তবে হ্যাঁ, পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে থাকা অ্যাতলেতিকো বিলবাওয়ের সাথে পাকা দশ পয়েন্টের ব্যবধানের ভিত্তিতে অপটা এও বলেছে যে চ্যাম্পিয়নস লীগ কোয়ালিফিকেশনের দৌড়ে জিরোনার শীর্ষ চারে টিকে থাকার সম্ভাবনা ৬২.৩ শতাংশ। লা লিগায় প্রোমোশনের মাত্র দুই সিজনের মধ্যে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের মত আসরে কোয়ালিফাই করে ফেলা জিরোনার ইতিহাসে নিঃসন্দেহে বেশ অসাধারণ, দুর্দান্ত এবং গৌরবোজ্জ্বল এক মাইলফলকই হবে বটে।
এই মৌসুমে ইউরোপীয় ফুটবলের বিভিন্ন স্তর, বিভিন্ন লীগ থেকে উঠে আসছে একের পর এক চমক। স্পেনের ব্ল্যাঙ্কুইভার্মেলসরা তাদের চেয়ে কোনো অংশ কম নয়, বরং একটু বেশিই!
(ফিচারের সকল তথ্য নভেম্বর ৪, ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত)
Reference: The Athletic, YouTube, Twitter