গ্যালারিতে সহিংসতার পর মারাকানায় আর্জেন্টিনার ব্রাজিল-দুর্গ জয়
এই মারাকানায় সর্বশেষ দুই দলের দেখায় আনহেল ডি মারিয়ার গোলে কোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই স্মৃতি আজ ব্রাজিলকে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মেসিরা। নিকলাস ওটামেন্ডির একমাত্র গোলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জিতেছে আর্জেন্টিনা, আর ব্রাজিল প্রথমবারের মতো হারল নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কোনো ম্যাচে।
তবে ম্যাচ শুরুর আগেই মারাকানায় হয়ে গেছে অনেক কাহিনি। শুরুটা হয়েছিল দুই দলের জাতীয় সংগীত থেকে। গ্যালারি থেকে দুয়োর আওয়াজ আসে জাতীয় সংগীতের সময়, তখন দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে, মূলত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপরেই পুলিশ বেশি চার্জ করে। এ সময় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসিরা, এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে দেখা যায় পুলিশকে লাঠিচার্জ না করার জন্য অনুরোধ করতে। আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যাচের পরিস্থিতি শান্ত না হলে তারা আর মাঠে নামবে না। এরপর মোটামুটি পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়ে আসার পর প্রায় আধঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা।
মাঠের খেলায়ও ছিল উত্তাপ। ৮২ মিনিটে আর্জেন্টিনার রদ্রিগো দি পলের সাথে সংঘর্ষের পর লাল কার্ড দেখতে হয় ব্রাজিল মিডফিল্ডার জোয়েলিংটনকে। অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া মুহূর্তটা আসে এরও আগে। ৬৩ মিনিটে জিওভান্নি লে সলসোর কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক হেডে ম্যাচের একমাত্র গোল এনে দেন ওটামেন্ডি। আর্জেন্টিনার সেটিই ছিল ম্যাচের একমাত্র শট। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল গোল করার দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। গ্যাব্রিয়েল জেসুস একবার দারুণ এক দৌড়ে শট নিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু তার কাছ থেকে বল পেয়ে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলের কয়েক গজ দূর থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন এমি মার্টিনেজ। দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করেও পরে আর গোল করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৭৭ মিনিটে চোটের জন্য মাঠ ছেড়ে যান মেসি। ব্রাজিলের মাঠে সম্ভবত নিজের শেষ ম্যাচটা শেষ করলেন জয় দিয়েই। সেই সাথে বাছাইপর্বে সবার ওপরেই রইল আর্জেন্টিনা।