টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি ম্যাচ জিতেও কেন পিছিয়ে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া?
গত অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় সাইকেল, যার পর্দা নামবে ২০২৫ সালে লর্ডসের ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার হারিয়ে জয় দিয়েই এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১২ পয়েন্ট আর শতকরা শতভাগ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ, দুই জয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সমান সংখ্যক জয়-পরাজয়-ড্র নিয়েও ইংল্যান্ড আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ১৮ হলেও ইংল্যান্ডের মাত্র ৯। কেন পিছিয়ে আছে দুই দলই?
অ্যাশেজে স্লো ওভার রেটের কারণে পয়েন্ট কাটা গেছে দুই দলেরই। সাথে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করেও। আইসিসির স্লো ওভার রেটের নতুন নিয়মানুযায়ী কোনো দল যত ওভার পিছিয়ে থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তত পয়েন্ট করে কাটা যাবে। ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট শেষে আইসিসি জানায় গোটা সিরিজে সব মিলিয়ে দশ ওভার পিছিয়ে থাকায় সমান সংখ্যক পয়েন্ট কাটা গেছে অস্ট্রেলিয়ার। আর ইংল্যান্ড ১৯ ওভার পিছিয়ে থাকায় তাদের কাটা গেছে ১৯ পয়েন্ট। যে কারণে এক ধাক্কায় এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া উইন্ডিজেরও নিচে চলে গেছে ইংলিশরা। এর আগের সাইকেলেও ইংল্যান্ডের কাটা গিয়েছিল ১২ পয়েন্ট।
সর্বশেষ অ্যাশেজে দুই জয় ও এক ড্রতে ইংলিশদের সংগ্রহ ছিল ২৮ পয়েন্ট, সেখান থেকে ১৯ কমে এখন তাদের নামের পাশে আছে মাত্র ৯ পয়েন্ট। এবং এরই সাথে পয়েন্ট পার্সেন্টেজও নেমে গিয়েছে ১৫-তে। সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ওভার, লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে নয় ওভার, ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টে তিন ওভারের পর ওভালের শেষ টেস্টেও পাঁচ ওভার পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ১৯ ওভার করতে না পারাতেই পয়েন্ট জরিমানা তাদের। এদিকে অস্ট্রেলিয়া ওভার রেটে পিছিয়ে ছিল কেবল ম্যানচেস্টার টেস্টে। যে কারণে অ্যাশেজ থেকে অজিদের অজিদের পাওয়া ৩০ পয়েন্ট থেকে ১২ ওভার কাটার পর রয়ে গেছে ১৮ পয়েন্ট।