• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর, ২০২৩
  • " />

     

    তানজিম-শরিফুল-সৌম্যদের তোপে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

    তানজিম-শরিফুল-সৌম্যদের তোপে  নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়    

    ঘুম ঘুম চোখে যারা সকালে টিভি খুলেছেন বা লাইভস্কোরে ঢুঁ মেরেছেন, তারা নিশ্চিত আরেকবার নিজেদের চোখ কচলে নিয়েছেন আজ। অস্ফুটে বলেও ফেলেছেন, 'স্বপ্ন দেখছি না তো?' সেরকম কিছুই হয়েছে আজ। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাঠে ৯৮ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ, সেই রান আবার মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৫.১ ওভারেই জিতে গেছে বাংলাদেশ- এ তো স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ব্যাপার। ৯ উইকেটের জয়ে হোয়াইটওয়াইশ ঠেকানোর সাথে নতুন একটা ইতিহাসও লিখল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাঠে এই প্রথমবার হারাল বাংলাদেশ। 

    এমন অনেক কিছুই হয়েছে এই ম্যাচে যা কেউ ভাবেনি। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে এর আগে একবারই ১০ উইকেটে হেরেছে, আজ সেরকম একটা সম্ভাবনা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটের জয়টাও নিজেদের মাঠে উইকেটের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় হার। 

    এমন নয়, নেপিয়ারের উইকেটে খুব বেশি জুজু ছিল। চতুর্থ ওভারেই প্রথম সাফল্য পেয়ে যায় বাংলাদেশ, তানজিম সাকিবের দারুণ এক বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন রাচীন রাবীন্দ্র। দুই ওভার আবার সাকিবের আঘাত, এবার তাকে পুল করতে গিয়ে শান্তর কাছে ক্যাচ তুলে দেন নিকোলস। এরপর টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং হাল ধরলেন, দলকে নিয়ে যান ৫৮ পর্যন্ত। এরপরেই শুরু ধসের। 

    শরিফুল দ্বিতীয় স্পেলে এসেই ল্যাথামকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন। এক ওভার পর ইনফর্ম ইয়াংকেও ফিরিয়ে দেন, এবার পয়েন্টে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মিরাজ। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ফেরান মার্ক চ্যাপম্যানকেও। ওদিকে সাকিবের বলে মিরাজকে ক্যাচ দেন ব্লান্ডেলও। আর সৌম্য এসে গুড়িয়ে দেন টেল এন্ডারদের, নেন তিন উইকেট। ৫৮ রানে ২ উইকেট থেকে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। 

    এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চোখের সমস্যার কারণে মাঠ ছেড়ে যান সৌম্য সরকার। কন্তু এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত কোনো বিপদ হতে দেননি, দুজন খুব সহজেই দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। যখন মনে হচ্ছিল বিজয় ম্যাচ শেষ করে আসবেন তখনই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৩৭ রানে, জয় থেজকে ১৫ রান দূরে। বাকি কাজ শেষ করেছেন শান্ত, ফিফটির সাথে সাথে জয়সূচক রান দিয়েই নিয়ে এসেছেন অনেকদিন মনে রাখার মতো এক মুহূর্ত।