• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর, ২০২৩
  • " />

     

    স্বল্প পুঁজি নিয়ে আশা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ

    স্বল্প পুঁজি নিয়ে আশা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ    

    ৩য় টি-টোয়েন্টি, নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ (টস-নিউজিল্যান্ড/বোলিং)
    বাংলাদেশ - ১১০, ১৯.২ ওভার  (শান্ত ১৭, হৃদয় ১৬, আফিফ ১৪, স্যান্টনার ৪/১৬, মিলনে ২/২৩, সাউদি ২/২৫)
    নিউজিল্যান্ড - ৯৫/৫, ১৪.৪ ওভার (অ্যালেন ৩৮, নিশাম ২৮*, স্যান্টনার ১৮*, শরিফুল ২/১৭, মাহেদী ২/১৮)
    ফলাফল - নিউজিল্যান্ড ১৭ রানে জয়ী


     

    সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে নামলেও আশাহত হয়ে ফিরতে হল বাংলাদেশকে। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ আগেই শেষ হলেও জয় দিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ করল ১-১ সমতায়।
     

    ১১১ রানের মামুলি লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। মাহেদীর কাছে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে শুরুতেই সাইফার্ট ফেরার পর এদিন ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন অ্যালেন। তবে সিরিজে আরও একবার মিচেল মাহেদীর শিকার হয়ে ফিরলে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দারুণ এক বলে ফিলিপসের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন শরিফুল। পাওয়ারপ্লেতে ৩৫ রান তুলতেই ওই তিনজনকে হারিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড, স্বপ্নও দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
     

    নিউজিল্যান্ডের বিপদ বাড়ে চ্যাপম্যানের বিদায়ে; অ্যালেনের সাথে চরম ভুল বুঝাবুঝিতে ধাক্কা খেয়ে বাড়ির পথ ধরেন তিনি। এরপর সেই অ্যালেনকেই আবারও দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে ফেরান শরিফুল। ৩১ বলে ৩৮ রানে স্টাম্প খুইয়ে অ্যালেন ফিরলে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। তবে উইকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটার দেখে নিজেকে আক্রমণে এনে যেন এরপর হিতে বিপরীত করলেন অধিনায়ক শান্ত। নিশাম ওই ওভার থেকে ১৪ রান নিলে ওই ওভারেই নিউজিল্যান্ড ডিএলএস স্কোরের ওপরে চলে যায়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকায়নি তারা। ১৪.৪ ওভারে খেলা বন্ধ হলে নিউজিল্যান্ডের তখন ডিএলএসে রান দরকার ছিল ৭৮। ম্যাচ আর শুরু না হওয়াতে নিউজিল্যান্ড তাই পেয়েছে জয়।
     

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদশের। প্রথম ওভারেই চার মারার পরের বলেই সাউদির ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন সৌম্য। উইকেটে এসেই বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভালো শুরুর। তবে প্রথম ম্যাচের মতই বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে থামলেন তিনি। এবার মিলনের বলে পয়েন্টে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে তিনি ফিরেছিলেন ১৫ বলে ১৭ রানে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে সিয়ার্সের ফুল লেংথের বল মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১০ বলে ১০ রান করা রনি। অবশ্য সৌম্যর আউটটা যেমন সিদ্ধান্ত এদিক-সেদিক হলেও হতে পারত, রনির আউটে তেমনটা হয়নি; উল্টো রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতে ওই তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৪৫ রান।
     

    তবে পাওয়ারপ্লের থেকে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠে। দুই স্পিনার সোধি-স্যান্টনার জুটি বেঁধে কাউকে তো হাত খোলার সুযোগ দেননি, সেই সাথে নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়েছেন দারুণ বোলিংয়ে। স্যান্টনারের গতির তারতম্যে রীতিমত খাবি খাওয়ার পর আফিফ ফিরলেনও অদ্ভুত এক কায়দায়। বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের গতি না বোঝায় শেষ মুহূর্তে ব্যাট লাগিয়ে পরে ব্যাট-প্যাড হয়ে উইকেটকিপারের সহজ ক্যাচে তিনি থামেন ১৩ বলে ১৪ রানে। সোধিকে বাউন্ডারি মেরে হাত খোলার চেষ্টা করলতেও স্যান্টনারের সামনে পড়তেই এরপর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন ১৮ বলে ১৬ রান করা হৃদয়। তবে নিজের স্পেলের শেষ ওভারে বাংলাদেশের ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। শামীম-মাহেদীকে দুই জনকেই ফিরিয়ে মাত্র ১৬ রান দেওয়া দুর্দান্ত স্পেলে ইতি টানেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে পরে মিলনের ইয়র্কারে স্টাম্প খুইয়ে ফেরার আগে ১০ রান করে বাংলাদেশকে কেবল শতরান পেরুতেই সাহায্য করেছেন রিশাদ। তা সত্ত্বেও বে ওভালের মাঠে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে উঠলেও পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের।