• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    নতুন ফরম্যাটে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ : কী কী বদলাচ্ছে এবার?

    নতুন ফরম্যাটে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ : কী কী বদলাচ্ছে এবার?    

    ১৯ জানুয়ারি ১৬ দল নিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের এবারের আসর। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় এই যুব বিশ্বকাপের ফরম্যাট এবার বদলে যাচ্ছে আমূল। থাকছে না চিরাচরিত কোয়ার্টার ফাইনাল। গ্রুপ পর্ব শেষে হবে সুপার সিক্স রাউন্ড। সেখান থেকে সেমিফাইনাল পেরিয়ে হবে শিরোপা নির্ধারনী ফাইনাল। কমেছে ম্যাচের সংখ্যাও। 

    যুব বিশ্বকাপের এবারের আসর হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে লংকান বোর্ড আপাতত নিষিদ্ধ থাকায় আয়োজনের দায়িত্ব পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

    নতুন ফরম্যাট কেমন? 

    গ্রুপ ‘এ   :  বাংলাদেশ, ভারত, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র

    গ্রুপ ‘বি’  : ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্কটল্যান্ড

    গ্রুপ ‘সি’ : অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া

    গ্রুপ ‘ডি’ : নিউজিল্যান্ড, নেপাল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান

    ১৬ দলকে ভাগ করা হয়েছে চারটি গ্রুপে। চার গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিনটি করে দল পাবে সুপার সিক্স রাউন্ডে খেলার সুযোগ। সুপার সিক্সে ‘এ’ গ্রুপ ও ‘ডি’ গ্রুপের দলগুলো থাকবে এক গ্রুপে। ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো খেলবে একই গ্রুপের হয়ে। সুপার সিক্সের দুই গ্রুপের শীর্ষ চার দলকে নিয়ে হবে দুটি সেমিফাইনাল। দুই সেমিজয়ী দল পাবে ফাইনাল খেলার সুযোগ।

    তবে সুপার সিক্সের প্রতিটি দল পাবে কেবল দুটি করে ম্যাচ। গ্রুপ রাউন্ডে নিজেদের গ্রুপ থেকে আসা বাকি দুই দলের সাথে খেলার সুযোগ থাকছে না। থাকছে না অন্য গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে কোয়ালিফাই করা পয়েন্ট টেবিলের সমপর্যায়ে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগও। 

    অর্থাৎ ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে উঠা দল সেই রাউন্ডে খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান থেকে উঠে আসা দুই দলের বিপক্ষে। তেমনি ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দল খেলবে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান থেকে উঠে আসা দুই দলের বিপক্ষে। 

    গ্রুপ রাউন্ডে পাওয়া পয়েন্ট ও নেট রানরেটে দলগুলোর নামের পাশে যুক্ত হবে সুপার সিক্স রাউন্ডেও। সুপার সিক্স শেষে পয়েন্ট হিসেব করে নির্ধারিত হবে সেমিফাইনালিস্টদের ভাগ্য। দুই গ্রুপের শীর্ষ চার দলকে নিয়ে হবে সেমিফাইনাল। 

    এবার প্রথম রাউন্ডের চার গ্রুপ থেকে থেকে বাদ পড়া চার দলের জন্য  থাকছে একটি করে বাড়তি ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দলের প্রতিপক্ষ হবে ‘ডি’ গ্রুপের টেবিলের সর্বনিম্নে থাকা দল। তেমনি ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপ থেকে বাদ পড়া দুই দল খেলবে একে অন্যের বিপক্ষে। 

    আগের আসরগুলোর ফরম্যাট কেমন ছিল? 

    আগের আসরগুলোতেও ১৬ দলই খেলত। সেই ১৬ দলকে ভাগ করা হতো চারটি গ্রুপে, প্রতি গ্রুপে থাকত চারটি করে দল। থাকত স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। তবে এবার রাখা হয়নি তেমন কোনো ম্যাচে। আগের আসরগুলোতে চার গ্রুপ থেকে দুটি করে মোট আট দল খেলত কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখানে হেরে যাওয়া চার দলকে নিয়ে হতো প্লে অফ রাউন্ড। অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। এরপর সেমিফাইনালের থেকে বাদ পড়া দুই দল খেলত তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে।  

    গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া দুটি করে দল নিয়ে খেলা হতো প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই প্লে-অফ শেষে  ম্যাচের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ঠিক হতো আসরের নবম থেকে ষোড়শ-তম দল। ফরম্যাট বদলের পর এবার ম্যাচ সংখ্যা কমেছে। বিগত আসরগুলোতে খেলা হয়েছে ৪৮টি করে ম্যাচ। এবার যুব বিশ্বকাপে দেখা যাবে ৪১ ম্যাচ। 

    ১৯ জানুয়ারি উদ্বোধনী দিনে হবে দুটি ম্যাচে। পচেফস্ট্রুমে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে উইন্ডিজের প্রতিপক্ষ। ব্লুম্ফন্টেইনে আয়ারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। 

    টুর্নামেন্টের নক আউটের ভেন্যু বেনোনি। ৬ ও ৮ ফেব্রুয়ারি হবে দুটি সেমিফাইনাল। একই মাঠে ১১ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে যুব বিশ্বকাপের। এবার ফাইনালের জন্য ১২ ফেবুরুয়ারিকে রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।

    ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। তিন ম্যাচের ভেন্যুই ব্লুমফন্টেইন।  ২০ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। ২২ জানুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্ব।