'ফিফা দ্য বেস্ট': অনুষ্ঠান কোথায়? মনোনয়নপ্রাপ্ত কোন বিভাগে, কারা?
১৫ জানুয়ারিতে লন্ডনে বসতে যাচ্ছে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার বিতরণীর আসর। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১.৩০ থেকে(১৬ জানুয়ারি) শুরু হবে এই বিতরণী। এই পুরস্কারের বিবেচ্য সময়ের সাথে ব্যালন ডি'অরের সময়কালের তফাৎ রয়েছে। তবে এখানেও সময়ের সীমাটা এক বছরেরই। এবারের সময় সীমাটা অবশ্য পুরো মৌসুম জুড়ে না হয়ে কিছুটা ভিন্ন পথে ধরা হয়েছে। পুরুষদের সময়টা ধরা হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট ২০২৩। আর মেয়েদের জন্য সময়টা ধরা হয়েছে ১ আগস্ট ২০২৩ থেকে ২০ আগস্ট ২০২৩।
এক নজরে এবারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
সেরা পুরুষ খেলোয়াড়
আর্লিং হালান্ড
প্রথম মৌসুমেই ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ে তার ছিল অসামান্য ভূমিকা। প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমের গোলের রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নিয়েছেন, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ গোল তার। এই সময়ের মধ্যে নরওয়েজিয়ান এই ফরওয়ার্ডের পা থেকে এসেছে ৫২ গোল।
কিলিয়ান এমবাপে
বিশ্বকাপের পরের সময় থেকে হিসেব হওয়ায় বিশ্বকাপ ফাইনালে তার অসামান্য পারফর্ম্যান্সটা হিসেবে আসছে না। তবে এরপর তিনি জিতেছেন পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ান; সেই সাথে আবারও হয়েছেন মৌসুম সর্বোচ্চ গোলদাতা।
লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপে একের পর এক রেকর্ড ভাঙলেন, বহুল প্রতীক্ষার পর বিশ্বজয় করলেন - তবে এবারে পুরস্কারের বিবেচনায় আসছে না মেসির সেসব কীর্তি। এই সময়ের মধ্যে পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ান জয়ের পথে তিনি করেছেন ৯ গোল। তবে এরপর ইন্টার মায়ামির হয়ে ৭ ম্যাচে মেসি পেয়েছেন ১০ গোল।
সেরা নারী খেলোয়াড়
আইতানা বোনমাতি
মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কারের বিবেচনার শেষ তারিখ ২০ আগস্ট, ২০২৩ - যেদিন বিশ্বকাপ হাতে তুলেছে স্পেনের মেয়েরা। ইউয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি ব্যালন ডি'অর জয়ী বোনমাতিই তাই হয়ত পেতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী এই মিডফিল্ডার।
লিন্ডা কাইসেদো
কলাম্বিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ মাতানো এই তরুণী করেছেন আসরের সেরা গোলটিও। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই ফরওয়ার্ড বিশ্বকাপের দারুণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আগের ক্লাব দেপোর্তিভো কালির হয়েও ছিলেন গোলের মাঝেই।
জেনিফার হারমোসো
মেক্সিকোর ক্লাব টিগ্রেসে পাড়ি জমানো এই স্প্যানিশ ফরওয়ার্ডকে নিয়ে বিশ্বকাপের পর অনেক জলঘোলা করার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক স্পেন ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি রুবিয়ালেস। সেসব ছাপিয়ে বিশ্বকাপে তিন গোল, দুই অ্যাসিস্ট করা এই ফরওয়ার্ড আছেন ফিফা দ্য বেস্টের দৌড়েও।
পুসকাস অ্যাওয়ার্ড
জুলিও এনসিসো
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক গোল দিয়ে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ব্রাইটনের ১৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
গিয়ের্মে মাদ্রুগা
ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগের লিগে দারুণ এক ওভারহেড কিকে গোল দিয়ে এই পুরস্কারের দৌড়ে আছেন বোতাফোগোর এই ২৩ বছর বয়সী এই ফরওয়ার্ড।
নুনো সান্তোস
পর্তুগিজ লিগে স্পোর্টিং লিসবনের এই খেলোয়াড় অসামান্য এক রাবোনায় বোয়াভিস্তার জালে বল জড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
সেরা পুরুষ কোচ
পেপ গার্দিওলা
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জিতেছেন। পুরস্কারটার সম্ভাব্য জয়ী হয়ত এই স্প্যানিশই।
সিমোনে ইনজাঘি
ইন্টার মিলানের আর্থিক দৈন্যদশার পরেও ইনজাঘির দিক নির্দেশনায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গিয়েছিল ইন্টার। ভাগ্য সহায় হলে হয়ত জয়ীও হতে পারত তারা। সে সত্ত্বেও ইনজাঘির এই প্রচেষ্টা নজড় এড়ায়নি বিধায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
লুসিয়ানো স্পালেত্তি
নাপোলিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সিরি আ শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। ম্যারাডোনা আমলের পর নাপোলির এই অর্জন তাকে স্থান দিয়েছে এই পুরস্কারের দৌড়ে।
সেরা নারী কোচ
সারিনা ভিগমান
গতবারের জয়ী এই ডাচ নারী দৌড়ে আছেন এবারও। তবে এবার তার ইংল্যান্ডের মেয়েরা ফাইনালে হেরেছে স্পেনের কাছে।
এমা হেইস
চেলসির কোচ এবার সুপার লিগের পাশাপাশি লিগ কাপও জিতিয়েছেন এই ইংলিশ নারী। এই পুরস্কারের দৌড়ে তাই কিছুটা এগিয়েই তিনি।
জোনাটান হিরালডেজ
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্য হিরাল্ডেজ এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন সবার চেয়ে। বার্সেলোনার হয়ে ইউরোপ জয়ের পাশাপাশি লিগ শিরোপাও যে জিতেছেন তিনি!
সেরা পুরুষ গোলকিপার
এডারসন
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জিতেছেন। দৌড়ে এই ব্রাজিলিয়ান তাই সবার চেয়ে এগিয়ে।
থিবো কোর্তোয়া
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ভালো এক মৌসুম কাটালেও ঝুলিতে আছে কেবল স্প্যানিশ কাপ।
ইয়াসিন বোনো
আল হিলালে পাড়ি জমানো এই মরক্কান তার আগে সেভিয়ার হয়ে জিতেছেন ইউরোপা লিগ; সেই সাথে ফাইনালে টাইব্রেকারে তার বীরত্বও দলকে শিরোপা এনে দিয়েছিল।
সেরা নারী গোলকিপার
মেরি আর্পস
বিবিসির স্পোর্টস পারসোনালিটি অফ দ্য ইয়ার জেতা এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ড গোলকিপার ছিলেন গতবারের বিজয়ী। বিশ্বকাপে এবার মাত্র চার গোল খেয়েছেন। এবারও দৌড়ে তাই আছেন ভালোমতই।
কাতালিনা কোল
বার্সেলোনার হয়ে ডাবল জেতা এই গোলকিপার বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিলেন শেষ ষোলতে। এরপর তো পুরো টুর্নামেন্ট খেলে মাঠে থেকেই করলেন বিশ্বজয়। তবে ক্লাবের হয়ে এই সময়ের মধ্যে আসলে খেলেছেন মোটে তিন ম্যাচ।
ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ড
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে তার ঝুলিতে ছিল ৪টি ক্লিন শিট।