• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    যে কারণে নিষিদ্ধ হলেন নাসির হোসেন

    যে কারণে নিষিদ্ধ হলেন নাসির হোসেন    

    ২০২০-২১ আবু ধাবি টি-টোয়েন্টি লিগ চলাকালীন আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দুই বছরের জন্য সব  ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেই ২.৪.৩, ২.৪.৪ ও ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল আইসিসি। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বোর্ড গঠন করে অভিযোগ আনার পর অনুসন্ধানের পর নাসির সহ আট জনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি।

    ওই মৌসুমে পুনে ডেভিলস ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছিলেন তিনি। অভিযুক্তদের আটজনই সেই ফ্র্যাঞ্চাইজের, যার মধ্যে আছেন তাদের মালিক ও ম্যানেজার। অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে নাসিরই একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। গত সেপ্টেম্বরে এই অভিযোগ আনার পর আজ সর্বশেষ রায় দিল আইসিসি। এই শাস্তি তার ওপর আরোপ করা হয়েছে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত, যার মধ্যে ছয় মাস আবার বরখাস্ত থাকবেন তিনি।

    যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে নাসিরকে এই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি সেগুলো হল -

    প্রথম অভিযোগ: নির্ধারিত দুর্নীতি বিরোধী আনুষ্ঠানিক কর্মকর্তার কাছে (কোনও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব ব্যতিত) তার পাওয়া একটি উপহারের রশিদ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেই উপহারটি ছিল একটি নতুন আইফোন ১২ ও যেই উপহারের মূল্য ছিল ৭৫০ মার্কিন ডলার।

    দ্বিতীয় অভিযোগ: নির্ধারিত দুর্নীতি বিরোধী আনুষ্ঠানিক কর্মকর্তার কাছে খোলাসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন কীভাবে এই নতুন আইফোন ১২ ব্যবহার করে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন; এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াতে তাকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বা কীভাবে সেই কাজের জন্য তাকে ডাকা হয়েছে সেটা বিস্তারিতভাবে খোলাসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    তৃতীয় অভিযোগ: নির্ধারিত দুর্নীতি বিরোধী আনুষ্ঠানিক কর্মকর্তার সাথে (৪.৩ ধারার অন্তর্ভুক্ত বিধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আনুষ্ঠানিক দাবীর অধীনেই হোক বা এর বাইরে) সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন, যার জন্য তিনি যথাযোগ্য কারণ দর্শাতে পারেননি; সেই সাথে সেই কর্মকর্তার কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ স্বরূপ কোনও তথ্য বা কর্মকর্তার চাওয়া কোনও দলিল পুরোপুরিভাবে বা সঠিকভাবে (কোনও নির্দিষ্ট সীমা ছাড়া) দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেগুলো এই অনুসন্ধানের আওতায় দুর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকাণ্ডের আওতায় পড়ে।

    বাংলাদেশের জার্সি সর্বশেষ নাসির জড়িয়েছিলেন ২০১৮ সালে। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি গত মৌসুমে ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়কও ছিলেন এই অলরাউন্ডার।