• বিপিএল
  • " />

     

    সিলেটের বেহাল দশার বিপরীতে চলছে খুলনার রাজত্ব

    সিলেটের বেহাল দশার বিপরীতে চলছে খুলনার রাজত্ব    

    বিপিএল ২০২৪
    ১ম ম্যাচ (টস - সিলেট/ব্যাটিং)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স - ১৩৭/৪, ২০ ওভার (টেক্টর ৪৫, বার্ল ৩৪, জাকির ৩১, বিলাল ৩/২৪, নিহাদুজ্জামান ১/২৭)
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ১৩৮/২, ১৭.৪ ওভার (ব্রুস ৫১*, তামিম ৫০, সাকিব ১/১৯, টেক্টর ১/২১)
    ফলাফল - চট্টগ্রাম ৮ উইকেটে জয়ী

    ২য় ম্যাচ (টস - ঢাকা/ব্যাটিং)
    দুর্দান্ত ঢাকা - ১৩০/৯, ২০ ওভার (নাঈম ৪১, আইয়ুব ৩৫, রস ২১, নাওয়াজ ৩/১৫, ওয়াসিম ২/১৩, শানাকা ১/১৫)
    খুলনা টাইগার্স - ১৩১/০, ১৪.৪ ওভার (বিজয় ৫৮*, আফিফ ৩৭*, লুইস ২৭)  
    ফলাফল - খুলনা ১০ উইকেটে জয়ী

     

    দুর্বিপাকে সিলেট, চট্টগ্রামের চতুর্থ জয়

    সিলেট যেমন অতল গহবরের দিকে যাচ্ছে, চট্টগ্রাম তেমনি ক্রমশই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আগের দিন ব্যাটিংয়ের শক্তি দেখানোর পর আজ বোলিংয়ের শক্তিটাও দেখাল তারা। বিলাল খান, নিহাদুজ্জামানদের সামলাতে বড্ড হিমশিম ক্ষেতে হয়েছে সিলেটকে। টেক্টর, জাকির, বার্লরা রান পেলেও স্ট্রাইক রেটটা ছিল শঙ্কাজনক। মাত্র চার উইকেট হারিয়ে পূর্ণ ওভারের কোটা খরচ করেও মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পেরেছিল তারা। শুরুতেই আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফেরালেও সিলেটের নির্বিষ বোলিং কোনও পর্যায়েই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। তানজিদ হাসান তামিম তেড়েফুঁড়ে না খেলে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলেছেন, টম ব্রুসও করেছেন তাই। দুজনে মিলে ৮৯ রানের জুটি গড়ে অনায়াসেই জয়ের ভিত তৈরি করে ফেলেছিলেন। ৪০ বলে ৫০ করে তামিম জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ফিরলেও ব্রুসের ৫১* রানে চট্টগ্রামের জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।

    খুলনার চারে চার

    খুলনা যেন এবার দুর্দমনীয়। ঢাকার বিপক্ষে আজ তারাই ফেভারিট ছিল বটে। তবে জয়টা যে এরকম দোর্দণ্ড প্রতাপে আসবে তা আঁচ করা কঠিন ছিল। অথচ ব্যাটিং নিয়ে ঢাকার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। এক প্রান্ত সাইম আইয়ুব ধরে রাখলে অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন নাঈম শেখ। ক্যাচ মিসকে এই বাংলাদেশি ওপেনার ধন্যবাদ জানাতেই পারেন, তবে তার ২ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ২১ বলে ৪১ রানের চেয়ে ভালো শুরু বোধহয় ঢাকা চাইতে পারত না। অথচ ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলে ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার ফিরলে ঢাকাকে একেবারেই অচেনা লাগে। দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের জন্য যেন কোনও জবাব ছিল না তাদের। গুটিয়ে না গেলেও অবিশ্বাস্য এক ধসের পর ঢাকা তুলতে পারে মোটে ১৩০ রান। মামুলি লক্ষ্যে আরও একবার ঝড়ো শুরু করেন এভিন লুইস ১৩ বলে ২৬ রান করার পর ইনজুরিতে পড়ল পথহারা হতে পারত খুলনা। কিন্তু অধিনায়ক আনামুল হক বিজয় যেন এবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয়েই এগিয়ে চলেছেন। আরও একটি ফিফটি তুলে নিয়েছেন, সেই সাথে আফিফ হোসেন ধ্রুব দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। বিজয়ের ৪৮ বলে ৫৮* রান ও আফিফের ২৭ বলে ৩৭* রানে খুলনা তাই পেয়েছে ১০ উইকেটের বড় জয়।

    সিলেটের দম কোথায়?

    সিলেট যেন এবার দিশেহারা এক দল। একাদশ নিয়ে এখনও তারা অনিশ্চিত, এরই মধ্যে খেলিয়ে ফেলেছে ১৬ জনকে। হারের বৃত্ত থেকে তাও বের হতে পারছে না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে স্বয়ং অধিনায়ককে নিয়েই। এর আগে আশরাফুল তাকে নিয়ে সমালোচনা করে রোষানলের মুখে পড়লেও মাশরাফির পারফরম্যান্স ও মাঠের উপস্থিতি বড্ড বেমানান। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এসে যেই গতি ও ঢঙে বল করছেন, তাতে করে সিলেট দলটার মাঝে অনুপ্রেরণা জোগার কোনও কারণ থাকার কথা না। নাজমুল হোসেন শান্ত যাকে কি-না দেশের পরবর্তী অধিনায়ক ভাবা হচ্ছে তাকে এভাবে এই ভূমিকায় পাশে ঠেলে দেওয়াটা সিলেট ড্রেসিং রুমে কেমন বার্তা দিয়েছে সেটা নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। তবে সেই সাথে শান্তর নিজের ব্যাটিংয়েরও যাচ্ছেতাই অবস্থা। এক জাকির হাসান ছাড়া কেউ বোলার মত কিছু করতেই পারছেন না। সিলেট যেন এবার তাই বড্ড অচেনা ঠেকছে।