• বিপিএল
  • " />

     

    খুলনার টানা তৃতীয় হারের দিনে মিরপুরে 'হৃদয় মাস্টারক্লাস'

    খুলনার টানা তৃতীয় হারের দিনে মিরপুরে 'হৃদয় মাস্টারক্লাস'    

    বিপিএল ২০২৪
    ১ম ম্যাচ (টস - খুলনা/ব্যাটিং)
    খুলনা টাইগার্স - ১৫৩/৪, ২০ ওভার (বিজয় ৬৭*, সোহান ৪৩, আফিফ ২৪, সানজামুল ১/১৬, সামিত ১/২২, হাওয়েল ১/২৭)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স - ১৫৯/৫, ১৯ ওভার (টেক্টর ৬১, বার্ল ৩২, মিঠুন ২৪, ডেয়াল ৩/১৯, নাহিদুল ১/১১, সুমন ১/৩৬)
    ফলাফল - সিলেট ৫ উইকেটে জয়ী

    ২য় ম্যাচ (টস - ঢাকা/ব্যাটিং)
    দুর্দান্ত ঢাকা - ১৭৫/৪, ২০ ওভার (নাঈম ৬৪, সাইফ ৫৭, রস ২১*, ফোর্ড ৩/৩৫, আলিস ১/২৯)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস - ১৭৬/৬, ১৯.৫ ওভার (হৃদয় ১০৮*, গেস্ট ৩৪, শরিফুল ২/৩২, চতুরঙ্গ ১/২১, ইরফান ১/২৪)  
    ফলাফল - কুমিল্লা ৪ উইকেটে জয়ী


    খেই হারা খুলনা

    যেই খুলনাকে হারাতে হিমশিম খাচ্ছিল বাকি দলগুলো সেই দলটাই হুট করে যেন অচেনা হয়ে গেল; হেরে বসল টানা তিন ম্যাচে। আজ তো হারল বাজে এক আসর কাটানো সিলেটের কাছে। সিলেটের তৃতীয় জয়টা কষ্টার্জিত হলেও খুলনার জন্য শঙ্কার জায়গা থেকে যাচ্ছে অনেক। শুরুতে ব্যাটিং নিয়েও সেই অর্থে পরিকল্পনাটা কাজে লাগাতে পারেনি খুলনা। বিজয় ফিফটি পেয়েছেন ঠিকই, এমনকি গড়েছেন 'ক্যারি দ্য ব্যাট'-এর কীর্তিও। তবে ইনিংসটা অনেকাংশেই যেন হিতে বিপরীত হয়ে এসেছে খুলনার জন্য। শেষদিকে হাবিবুর রহমান সোহান ৩০ বলে ৪২ রানের ইনিংস না খেললে দেড়শো পেরুনো দায় হয়ে যেত। অধিনায়ক বিজয়ের ফিফটিটা নিয়ে তাই প্রশ্ন থেকেই যায়।

    তবে ম্যাচ সেরা হলেন যেই হ্যারি টেক্টর তিনিও খেলেছেন একই ধাচের ইনিংস, ৫২ বলে ৬১ রান। তবে সিলেটের আসল জয়ের নায়ক রায়ান বার্ল। শেষ দুই ওভারে সিলেটের দরকার ২৪ রান, মিরপুরের উইকেটে বোলিং দল সেটায় আশাবাদী হবেই। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দেন বার্ল একাই। ১৯-তম ওভারের জন্য রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দেওয়া হলে তাকে তুলোধোনা করে ওই ওভারেই ম্যাচ শেষ করে ফেলেন এই জিম্বাবুইয়ান। ৩ ছয়, ১ চারে ২৪ রান নিয়ে ১৬ বলে ৩২* রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে এই বাঁহাতিই সিলেটের জয়ের শেষের নায়ক।

    'ওয়েলকাম টু দ্য হৃদয় শো'

    ঢাকা যখন ১৭৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল তখন কুমিল্লার কপালে নিশ্চয় ভাঁজ পড়েছিল। সেই সাথে ঢাকার তাসকিন-শরিফুলের পেস জুটি আসর জুড়েই ব্যাটারদের জন্য আতংকের নাম। এই ম্যাচেও ব্যতিক্রম হল না। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শরিফুল আবারও টপ অর্ডারে ফাটল ধরালেন। তৃতীয় ওভারেই ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। সেখান থেকেই অসামান্য এক ইনিংসে হৃদয় ম্যাচ বের করে আনলেন। সেঞ্চুরিটার মাহাত্ম্য বোঝা যায় একটা পরিসংখ্যান থেকে - দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গেস্টের রান ৩৪, সেটাও ৩৫ বলে! সেখানে হৃদয় ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে ম্যাচটা যেন একা হাতেই ছিনিয়ে নিলেন।

    উইকেটে যে রান পাওয়া যাবে সেটা প্রথম ইনিংসে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নাঈম-সাইফ জুটি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল দুজনের ব্যাটে রান, আজ দুজনেই পেলেন ফিফটি। মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়ে দুজনেই দেখালেন নিজেদের ক্ষমতা। তবে তাদের ১১৯ রানের জুটির পরে সেই অর্থে রসের ক্যামিও ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি ঢাকার ইনিংসে। কুমিল্লার পরিণতিটাও একই হতে পারত। তবে ফিফটি পাওয়া সাইফের করা ১৫-তম ওভারেই যেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন হৃদয়। অন্য প্রান্তে হাত খুলতে না পেরে গেস্ট যখন ফিরলেন ঠিক তখনই গিয়ার পালটে ওই ওভারে ২০ রান নিয়ে হৃদয় বার্তা দিয়ে দেন দিনটা আজ তার তাসকিন, শরিফুলকেও পরে ছেড়ে কথা বলেননি। ফলাফল? ৫৭ বলে ১০৮* রানের প্রায় একা হাতেই ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস।