খুলনার জয়ে ফেরার দিনে প্লে-অফে রংপুর
বিপিএল ২০২৪
১ম ম্যাচ (টস - ঢাকা/ব্যাটিং)
দুর্দান্ত ঢাকা - ১২৮/৭, ২০ ওভার (মোসাদ্দেক ২৬, শুক্কুর ২৫, রস ২৫, মুকিদুল ৩/১৮, পারনেল ৩/১৯)
খুলনা টাইগার্স - ১৩১/৫, ২০ ওভার (আফিফ ৪৩*, ইমন ৪০, হোপ ৩২, শরিফুল ২/১৭, তাসকিন ২/২৭, চতুরঙ্গ ১/৩৫)
ফলাফল - খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী
২য় ম্যাচ (টস - রংপুর/ব্যাটিং)
রংপুর রাইডার্স - ১৮৭/৮, ২০ ওভার (সাকিব ৬২, মাহেদী ৩৪, রনি ২৫, শেফার্ড ৩/২৭, শহিদুল ২/৩২, শাকিল ২/৩৮)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ১৬৯/৬, ২০ ওভার (শেফার্ড ৬৬*, ব্রুস ২৪, শুভাগত ২১, প্রিটোরিয়াস ৩/১৪, মাহেদী ২/১৭, হাসান ১/৪০)
ফলাফল - রংপুর ১৮ রানে জয়ী
পাঁচ হারের পর খুলনা দেখল জয়ের মুখ
টানা চার জয়ে শুরু হয়েছিল তাদের, অথচ টানা পাঁচ হারে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনাই হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল খুলনার। এই দৌড় থেকে আগেই ছিটকে পড়া ঢাকার বিপক্ষেই ভাগ্য খুলল তাদের। ঢাকার ব্যাটিং দুর্দশার কথা এই আসরে নতুন নয়, আজও দেখা গেল সেই ঢাকাকেই। খেলায় টি-টোয়েন্টিসুলভ কোনও অ্যাপ্রোচ নেই। রস, শুক্কুররা ২৫ করে করলেন ঠিকই, কিন্তু গড়পড়তা মানের ব্যাটিংয়ে শতর ওপরেই নিতে পারেননি স্ট্রাইক রেট। ওয়েইন পারনেল, মুকিদুল ইসলাম যেন ঢাকার ব্যাটারদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন দুষ্পাঠ্য। অথচ মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনা ঠিকই দেখাল, উইকেটে কোনও জুজুর লেশমাত্র ছিল না। গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে অধিনায়ক আনামুল হক বিজয় বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ডাকের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়লেও এরপর ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাদের। পারভেজ হোসেন ইমন, শেই হোপরা ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে রান করে গিয়েছেন। তবে ১৬ ওভারের মাঝেই ম্যাচ গুটিয়ে রান রেটটা বাড়িয়ে নেওয়ার কারিগর আফিফ হোসেন। এর আগে কুমিল্লার বিপক্ষে ধীরগতির এক ইনিংস খেলে সমালোচিত হলেও আজ ২১ বলে ৪৩* রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন; সেই সাথে খুলনাকে দৌড়ে রাখতে ২ চার, ৪ ছয়ের মার্কাটারি ইনিংসটাও খেলেছেন নিপুণভাবে।
শীর্ষে রংপুর, প্লে-অফে রংপুর
রংপুরকে থামানোই যেন দায়! সেই সাথে আবার ফর্মে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। সবে মিলে রংপুর শীর্ষে থাকবে সেটা আঁচ করাই যায়, শীর্ষ স্থানে অবস্থান পোক্ত করে আজ প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিটটাও কেটে ফেললেন তারা। গত কয়েক ম্যাচের তুলনায় আজ অবশ্য কিছুটা লড়াই করতে হয়েছে তাদের। সাকিব আল হাসানের ৩৯ বলে ৬২ রানের পর শেখ মাহেদীর ১৭ বলে ৩৪ রানের ঝড়ে ১৮০ পেরিয়েছিল রংপুর। ওই সংগ্রহের পর রংপুর জয় ছাড়া অন্য কিছু আশা করার কথাই না। চট্টগ্রামকে শুরু থেকেই চেপে ধরে ম্যাচ থেকে কার্যকরভাবে ছিটকেই ফেলেছিলেন প্রিটোরিয়াস, মাহেদীরা। তবে শেষ দিকে ভয় ধরিয়েছিলেন রোমারিও শেফার্ড। নিশাম, হাসানের ওপর চড়াও হয়ে ৫ চার, ৬ ছয়ের তাণ্ডবে অবশ্য কাওকে পাশে পাননি এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ৩০ বলে ৬৬* রানের দুর্দান্ত ইনিংসে অবশ্য রংপুরের শিবিরে চিড় ধরাতে পারেননি পরে।