• বিপিএল
  • " />

     

    কুমিল্লার পা হড়কানোর দিনে বরিশাল-রংপুর দিল 'ফাইনাল'-এর স্বাদ

    কুমিল্লার পা হড়কানোর দিনে বরিশাল-রংপুর দিল 'ফাইনাল'-এর স্বাদ    

    বিপিএল ২০২৪
    ১ম ম্যাচ (টস - সিলেট/ব্যাটিং)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স - ১৭৭/৫, ২০ ওভার (হাওয়েল ৬২*, লুইস ৩৩, মিঠুন ২৮, নারাইন ২/১৬, রিশাদ ২/৩৭, মুশফিক ১/৩২)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস - ১৬৫/৬, ২০ ওভার (লিটন ৮৫, রাসেল ২৩, হৃদয় ১৭, সাকিব ৩/৩৩, সামিত ১/১, শফিকুল ১/১৮)
    ফলাফল - সিলেট ১২ রানে জয়ী

    ২য় ম্যাচ (টস - বরিশাল/ব্যাটিং)
    ফরচুন বরিশাল - ১৫১/৯, ২০ ওভার (মেয়ার্স ৪৫, তামিম ৩৩, ব্যান্টন ২৬, রনি ৫/১২, হাসান ২/৩১, সাকিব ১/২৫)
    রংপুর রাইডার্স - ১৫৫/৯, ২০ ওভার (কিং ৪৫, সাকিব ২৯, নিশাম ২৮, মিরাজ ৩/২৪, মিরাজ ৩/৩৪, মেয়ার্স ২/৩১)  
    ফলাফল - রংপুর ১ উইকেটে জয়ী


     

    শেষে এসে বিপদ ঘটবে কুমিল্লার?

    সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কুমিল্লা রীতিমত উড়ছিল, অন্যদিকে সিলেট তো বিদায় নিয়েছে আগেই। আজ জয় দিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করার সুযোগ থাকলেও সেটা হাতছাড়া করল কুমিল্লা। নবাগত কেনার লুইসের এনে দেওয়া শুরুর পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নারাইন দুর্দান্ত এক স্পেলে সিলেটের লাগাম টেনে ধরেছিলেন ঠিকই। ১১ ওভারে সিলেট যখন চতুর্থ উইকেট হারাল তখন তাদের রান ৭৪। সেখান থেকে শেষ ৯ ওভারে তারা তুলল ১০৩ রান! যার কৃতিত্ব একান্তই বেনি হাওয়েলের বলা যায়। ৩১ বলে ৬২* রানের অসামান্য এক ইনিংসে ৬ চার ও ৪ ছয় দিয়ে কুমিল্লাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন।

    অবশ্য আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে কুমিল্লাকে পথ দেখিয়েছেলেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে লিটন। আজ তো তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটাই খেললেন। ৫৭ বলে ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আজ অবশ্য সঙ্গ পেলেন না লিটন। দলে ফেরা সামিত পাটেল ও শহিদুল ইসলামের দারুণ দুটো স্পেলেই আসলে পেরে ওঠেনি কুমিল্লা। শেষদিকে রাসেল ২৩ রানের ইনিংস খেললেও মাঝে ওই দুজনের স্পেলে কাবু জনসন চার্লসের ২১ বলে ১২ রানের মন্থর ইনিংসটাই দুবিয়েছে তাদের।

     

    সাকিব-তামিম দ্বৈরথ ছাপিয়ে 'ফাইনাল'-এর আবহ

    দুজনের মনোমালিন্য যে এখন জনসম্মুখে শত্রুতায় রূপ নিয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য ছুটতে থাকা তামিমকে ফেরানোর পর সাকিব ওই অর্থে উদযাপন করেননি। কিন্তু ঐযে মুষ্টিবদ্ধ এক উদযাপন করলেন, দ্বিতীয়ার্ধে সাকিব ফেরার পর সেটা দিয়েই ভেংচিও কাটলেন তামিম!

    তবে দুজনের দ্বন্দ্ব ছাপিয়ে কথা বলতে হয় ম্যাচটা নিয়েই। তামিমের এনে দেওয়া শুরুর পর মেয়ার্স আজও দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু আবু হায়দার রনির এক ওভারেই সব ওলটপালট হয়ে গেল। ১৩তম ওভারে এসে মুশফিক, সৌম্যকে ফেরালেন, ২৭ বলে ৪৬ রানে থাকা মেয়ার্সকেও বোকা বানালেন। এরপর যা করলেন তা বিপিএলে কোনও বাংলাদেশিই করেনি। মাত্র ১৩ বলে পেয়ে গেলেন ফাইফার, যা এই আসরে কোনও দেশি খেলোয়াড়ের হাত ধরে প্রথম। ১১০/১ থেকে রনির তোপে বরিশাল শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৫১ রান।

    অবশ্য সেই পুঁজি নিয়েই রংপুরকে খাবি খাইয়ে ছেড়েছিল তারা। ওখানেই সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের গল্প। ব্র্যান্ডন কিংয়ের ২২ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ছুটছিল রংপুর। তিনে নেমে সাকিবও খেলছিলেন বেশ। এবার ম্যাচ ঘুরানোর কারিগর মেহেদী হাসান মিরাজ। কিংয়ের পর ২৯ রানে থাকা সাকিবকেও ফেরালেন। ৭৪/১ থেকে মুহূর্তেই রংপুরের স্কোরবোর্ড হয়ে দাঁড়ায় ৮৭/৫! শেষদিকে গিয়ে প্রীতম কুমার নিশামের ক্যাচটা মিস না করলে হয়ত গল্পটা অন্যরকম হতেও পারত। তবে সেটাতেও আশাহত না হয়ে ২৮ রানে নিশামকে থামিয়েছিলেন ম্যাকয়। ১৫০ রানে গিয়েও নবম উইকেট শিকার করে রংপুরকে কাঁপিয়ে দিলেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে হাসান চার মেরে জয় বের করে নিয়ে এসেছেন। সেই সাথে শীর্ষে থাকা রংপুর নিশ্চিত করেছে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা।