ম্যানচেস্টারে আবারও উড়ল নীল পতাকা
ফুলটাইম স্কোর ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ম্যানচেস্টার যে নীল এটা আবারও প্রমাণ করল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধ শেষে শঙ্কায় পড়লেও ফিল ফোডেনের জাদুতে ম্যানচেস্টার সিটি আরও একবার ডার্বিতে জয় পেল।
শুরুটা ম্যানচেস্টার সিটি ভালো করলেও গোলের দেখা পেতে দেরি করেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ব্রুনো ফার্নান্দেস বক্সের বাইরে থেকে বল বাড়ান মার্কাস রাশফোর্ড। সেখান থেকে সরাসরি শটে বল জালে জ
ড়ান রাশফোর্ড। চোখ ধাঁধানো সেই গোলে সিটিকেও একদম থমকে দিয়েছিল রেড ডেভিলরা। তবে এরপর থেকে সেই গোলটা ধরে রাখতে অনেকটাই গুটিয়ে যায় তারা। সুযোগ পেয়ে চেপে ধরলেও সফলতা পাচ্ছিল না সিটি। ওনানা মৌসুমে বেশ কয়েকবার খাবি খেলেও আজ তার পারফরম্যান্স প্রথমার্ধে বলার মতই ছিল। ম্যাচের ২৫ মিনিটের দিকেও ম্যানচেস্টার সিটি প্রায় পেনাল্টি পেয়েই গিয়েছিল। তবে ভিএআর চেকের পর দেখা যায় জনি ইভান্সের হাত গায়ের সাথেই লেগে ছিল।
তবে অবাক হওয়ার মত বিষয় হল এরকম একটা রমরমা ডার্বিতেও প্রথম ফাউল হতে লেগে যায় ৩০ মিনিট। তার চেয়েও বিস্ময়কর ঘটনার দেখা মেলে ৩৩ মিনিটের দিকে। মাত্র কয়েক গজ দূর থেকে ফ্রি হেডার পেয়েও উড়িয়ে মারেন হালান্ড। সিটির মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখেও সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের কাজটা ঠিক মত করে যায় ইউনাইটেডের রক্ষণ। কিছুক্ষণ পরেই রদ্রির দারুণ এক ভলি সমান দক্ষতার সাথে ঠেকিয়ে দেন ওনানা। ইউনাইটেড নিজেদের সামলে প্রথমার্ধ তাই শেষ করেছিল এগিয়ে থেকেই।
তবে সিটিকে দ্বিতীয়ার্ধে আর থামিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। ৭২ শতাংশ বলের দখল নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করা সিটি দ্বিতীয়ার্ধ থেকে একই ভঙ্গিমায় চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। ওনানাও নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলেন ঠিকমত। অবশ্য এমন আক্রমণের তোপে ইউনাইটেড কতক্ষণই বা নিজেদের সামলিয়ে রাখত পারত! রাশফোর্ডকে অনেকটা দেখিয়ে দিয়েই ৫৬ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে সিটিকে সমতায় ফেরান ফিল ফোডেন। ডি-বক্সে আঁটসাঁট রক্ষণ সাজিয়েও পার পায়নি ইউনাইটেড। অল্প একটু জায়গা পেয়ে বাঁ প্রায়ের কাস্তে বাঁকানো শটে টপ কর্নার খুঁজে পান ফোডেন। এরপরে ম্যাচ উত্তপ্ত হতে সময় নেয়নি। ডি-বক্সের মধ্যে ওয়াকার রাশফোর্ডকে ফেলে দিলেও পেনাল্টি পায়নি ইউনাইটেড। রিপ্লেতেও সেটাই দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন কোচ টেন হাগ।
এরপর ইউনাইটেডকে ম্যাচে রাখতে টেন হাগ নেন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাতে নামান অ্যান্টনিকে। তবে আক্রমণে তো তারা সুবিধা করতেই পারেনি উলটো একটু পরে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান ফোডেন। দারুণ দক্ষতার সাথে জালে জায়গা বানিয়ে বল জড়ান ফোডেন। হালান্ডও এরপর আর জাল খুঁজে পেতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধে হতাশাজনক এক মিস করেও সোফিয়ান আমরাবাত বল পাতে তুলে দেওয়ায় বক্সের কোণায় বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান হালান্ড। সিটি তাই আরও একবার দেখিয়ে দেয় - ম্যানচেস্টার ইজ ব্লু!