• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ক্লপ-গার্দিওলার 'লাস্ট ড্যান্স'-এ আলাদা করা গেল না কাউকেই

    ক্লপ-গার্দিওলার 'লাস্ট ড্যান্স'-এ আলাদা করা গেল না কাউকেই    

    ফুলটাইম স্কোর লিভারপুল ১-১ ম্যানচেস্টার সিটি


     

    প্রিমিয়ার লিগে শেষবারের মত মুখোমুখি ক্লপ-গার্দিওলা, সেই সাথে শিরোপার লড়াইয়ের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পসরা সাজিয়ে ম্যাচটা যেন রোমাঞ্চের সকল উপকরণ নিয়েই সাজিয়েছিল মঞ্চ। অ্যানফিল্ডে হতাশ করেনি দুই দল। শেয়ানে শেয়ানে লড়া লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটিকে তাই আলাদা করা যায়নি। প্রথমার্ধে বুদ্ধিদীপ্ত এক কর্নার থেকে জন স্টোনসের গোলে ম্যানচেস্টার সিটি এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলে লিভারপুল পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই শেষ করেছে ম্যাচ। ঘরের মাঠে অবশ্য জয় বের করতে না পারার জন্য নিজেদেরকে হয়ত দুষবে অল রেডরা।

    সালাহ, ট্রেন্টদের ছাড়া শুরু করা লিভারপুলকে শুরু থেকেই চেপে ধরার চেষ্টা করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বক্সের উদ্দেশ্যে লম্বা বল বাড়িয়ে লিভারপুলের রক্ষণে ফাটলটা প্রায় ধরিয়েই ফেলেছিলেন ডি ব্রুইনা। বক্স টু বক্স খেলায় হুট করেই দারুণ এক টানে নুনেজ জায়গা বানিয়ে ভেতরে ঢুকে পাশে থাকা জো গোমেজের উদ্দেশ্যে বল বাড়ালে সেটা জাল খুঁজে পেলেও নুনেজ নিজেই অফসাইডে থাকায় গোল পায়নি তারা সেই যাত্রায়।

    উল্টো দারুণ এক কর্নার থেকে গোল পেয়ে যায় সিটিজেনরা। ডি ব্রুইনা দ্রুত কর্নার নিলে বল নিয়ার পোস্টে ছুটে আসা স্টোনসকে খুঁজে পেলে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি এই ডিফেন্ডার। সেখান থেকে ম্যাচের কর্তৃত্বটা ক্রমান্বয়ে নিজেদের করে নিতে থাকে সিটি। সিটির গোলমুখে শবজলাই একবার হেডারে চেষ্টা করা ছাড়া বলার মত কিছুই করতে পারেনি লিভারপুল। উল্টো আলভারাজের কাস্তে বাঁকা শট কয়েক ইঞ্চির জন্য জাল খুঁজে না পাওয়াতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তারা।

    অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায় একেবারেই জেগে ওঠা এক লিভারপুলকে। ৪৭ মিনিটের মাথায় ছোট পাস থেকে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে নুনেজ এডারসনের দারা বাধাপ্রাপ্ত হলে পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান ম্যাক অ্যালিস্টার।

    এরপর অবশ্য ম্যাচে ছড়িয়ে ঘুরিয়েছে স্বাগতিকরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে সিটির ডিফেন্স ব্যতিব্যস্ত করে রাখলেও গোলের দেখা পাননি তারা। ৭০ মিনিটের মাথায় ডি ব্রুইনাকে উঠিয়ে নেওয়া হলে উল্টো আরও ধার কমে যায় সিটির। নুনেজ বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। তবে দিয়াজের মিসগুলো হয়ত তাদের বেশি আক্ষেপে পুড়োবে। আট মিনিট সময় যোগ করা হলে সেখানেও ছড়িয়েছে উত্তাপ। ডকু ম্যা অ্যালিস্টারের বুকে বুট বসিয়েও কোনও কার্ড দেখেননি। কিছুক্ষণ আগে তিনিই অবশ্য দারুণ এক শটে গোল পেতে পেতেও পাননি গোলবার বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়। শিরোপার লড়াইয়ের দুর্দান্ত এই ম্যাচ তাই আলাদা করা যায়নি কাউকেই।