ইতিহাদের ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ে লিভারপুলের হাসি
ম্যানচেস্টার সিটি ০-০ আর্সেনাল
ইতিহাদে ২০১৬ সালের পর প্রথম হার এড়াল আর্সেনাল। শিরোপা দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল তাই সমান তালেই থাকলেও আড়ালে মুচকি হাসছে লিভারপুলের। দুই দলের গোলশূন্য ড্রয়ের সুযোগে জয় দিয়ে শীর্ষ স্থানে ওঠার পর সেখানেই থাকল লিভারপুল। ঘরের মাঠে টানা ৫৭ ম্যাচে গোল পাওয়ার ধারা ছিন্ন হওয়াতে তাই মনক্ষুণ্ণ হবে সিটিজেনরাই।
ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠের কর্তৃত্ব সিটির কাছে থাকলেও গোলমুখে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না পেপের শিষ্যরা। কিছুটা স্বভাববিরুদ্ধ খেলা খেলে আরতেতার আর্সেনালও খুশি মনেই নিচে নেমে খেলে যাচ্ছিল। ২৫ মিনিটের মাথায় ফাইনাল থার্ডে যেখানে সিটি ৫৮টি পাস বাড়িয়েছিল সেখানে আর্সেনাল দিয়েছিল মোটে ৫টি পাস - এটুকুই আর্সেনালের রক্ষণাত্মক মানসিকতা বুঝাতে যথেষ্ট হওয়া উচিৎ।
তবে কালেভদ্রে রক্ষণভাগে যা একটু ত্রাস সঞ্চার করা যায় সেটা আর্সেনালই করছিল। কোভাচিচের ভুল থেকে ৩৪ মিনিটের মাথায় বল পেয়ে ওডেগার্ড গোলমুখে প্রচেষ্টা চালালেও সেবার তা ব্যাহত হয়। এরপরে আর বলার মত কোনো আক্রমণে যেতে পারেনি কোনো দলই; কর্নার পেলেও আর্সেনাল সুযোগ নিতে না পারায় প্রথমার্ধ শেষ হয় সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটাও একই। শুরু থেকেই চেপে বসার চেষ্টা করতে থাকে সিটি। তবে আর্সেনালের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রক্ষণভাগের সামনে বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ছিল তাদের সব আক্রমণ। প্রথমার্ধের মত দাঁতে দাঁত চেপে ডিফেন্ডিংয়ের পাশাপাশি এবার অবশ্য আর্সেনাল আক্রমণেও জেগে ওঠার চেষ্টা করছিল। অন্যদিকে ডকু ও গ্রিলিশকে নামিয়ে পেপ আর্সেনালকে গতি দিয়ে পরাস্ত করার চেষ্টা করলেও গানাররা ছিল অবিচল। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে এসে জেসুসের মাধ্যমে প্রথম হলুদ কার্ডের দেখা মেলাটাও বলে দেয় এদিন দু দলের গা বাঁচিয়ে খেলার প্রবণতার কথা।
তবে ৮৪ মিনিটের দিকে এসে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল সিটি। ডি ব্রুইনার বাড়ানো কর্নার থেকে গভারদিওল হালান্ডের উদ্দেশ্যে হেডার বাড়ালে সেটা বুঝেই উঠতে পারেননি হালান্ড। সুযোগটা কিছুটা কঠিন হলেও তার জন্য হয়ত গোলের পরিস্কার সুযোগ ছিল সেটা। সেখান থেকে জেগে উঠে দুই মিনিট পরেই আর্সেনাল আক্রণে উঠে ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল। বাম প্রান্ত থেকে ওডেগার্ডের বাড়ানো দারুণ এক বল পেয়েই ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রসার্ড; তবে সেই যাত্রায় তার জোরালো শট প্রতিহত করেন ওরতেগা। এরপর অবশ্য ম্যাচ আবারও আগের ধারায় ফিরলে দুদলকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ড্র নিয়ে।