• আইপিএল ২০২৪
  • " />

     

    মায়াঙ্ক যাদব: ভারতের নতুন পেস সেনসেশন?

    মায়াঙ্ক যাদব: ভারতের নতুন পেস সেনসেশন?    

    মায়াঙ্ক যাদব - এবারের আসরের আগে হয়ত এই নামটা শুনেননি। তবে দুই ম্যাচের পর আপনি কোনো অন্ধকূপের তলে না থাকলে এই নামটা জেনেই গিয়েছেন। অভিষেকেই বাঘাবাঘা ব্যাটারদের কাবু করার পর আজ তো নিজেকেই নিজে ছাড়িয়ে গেলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে অসামান্য এক স্পেলের পাশাপাশি নিজের গড়া আসরের দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড আজ ভাঙলেন নিজেই।

    রেকর্ড যে তার হাত ধরে ভাঙতে পারে তেমনটা ইঙ্গিত মিলেছিল সঞ্জয় মাঞ্জরেকার যখন তাকে রাজধানী এক্সপ্রেস হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। দিল্লি-মুম্বাইয়ের এই রেইলের মতই গতিময় তার বোলিং। লিকলিকে গড়নের এই তরুণকে দেখে হয়ত প্রথম দেখায় আপনি আঁচ করতে পারবেন না তার হাত থেকে এরকম গোলা বের হতে যাচ্ছে, আঁচ করতে পারেননি পাঞ্জাবের অভিজ্ঞ ওপেনিং জুটি জনি বেইরস্টো-শিখর ধাওয়ানরাও। আইপিএলে নিজের তৃতীয় বলেই ধন্দে ফেলে দিয়েছিলেন বেইরস্টোকে। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন এই ইংলিশ ওপেনার; কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলেন ১৫০ কিমি./ঘণ্টার বল তার ব্যাট পেরিয়ে গিয়েছে।

    সেদিন পরে ১৫৫.৮ কিমি./ ঘণ্টার এক ডেলিভারিতে গড়েছিলেন আসরের দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড। তবে শুধু গতির ঝড় তোলাতেই সীমাবদ্ধ নন তিনি, দারুণ লাইন লেংথে ব্যাটারদের সামনে নিয়মিতই প্রশ্ন তুলে গিয়েছেন। সেদিন ১০২ রানের ওপেনিং জুটির পরও পাঞ্জাব যে রান তাড়া করতে পারেনি, সেটার জন্য লক্ষ্ণৌ ধন্যবাদ দিবে যাদবকেই। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মাঝে পাঞ্জাব ব্যাটিং লাইনআপে চিড় ধরিয়েছিলেন তিনিই।

    সেই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা তার বোলিংয়ের কোনো জবাবই খুঁজে পায়নি। চার ওভারের কোটা পূর্ণ করে রান গুনেছেন মোটে ১৪, সেই সাথে পেয়েছেন ৩ উইকেট। বিশেষ করে ক্যামেরন গ্রিনকে যেই বলে বোল্ড করলেন সেটা ছিল দেখার মত। এই উইকেটটা পাওয়ার এক বল আগেই নিজের রেকর্ড ভেঙে করেছেন ১৫৬.৭ কিমি./ঘণ্টার বল যেটাতে বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি গ্রিন!

    শুধু সেটাই নয়, দিনে নিজের প্রথম উইকেটটাতেও নজর কেড়েছেন। বাউন্সারে ম্যাক্সওয়েলের সেই অর্থে দুর্বলতা নেই বললেই চলে। সেই ম্যাক্সওয়েলকেও ১৫১ কিমি./ঘণ্টার বলে পুল করার মত সময় দিলেন না। পরে রজত পাটিদারকেও ফিরিয়েছেন প্রায় একই ভঙ্গিতে।

    যাদব প্রথম ম্যাচ থেকেই ভারতের পেস ইউনিটের জন্য আশার বার্তা বয়ে এনেছেন সন্দেহ নয়। তবে এরকম আশা এর আগে দেখিয়েছিলেন উমরান মালিকও। ভারতের হয়েও পরে খেলার সুযোগ মিললেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সময় যে তার ফুরিয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে উমরানের মত স্পটলাইটের তলে এসে করুণ বাস্তবতাটা হয়ত হুট করেই দেখতে চাইবেন না যাদব। সেরকম কিছু না হলে ভারতও পেয়ে যাবে তার লম্বা দৌড়ের জন্য গতিময় এক ঘোড়া।