প্রিমিয়ার লিগের থ্রি-হর্স রেস: কার সামনে পথ কেমন
আগের দিন ব্রাইটনকে পিষ্ট করে আর্সেনাল দখল করেছিল শীর্ষ স্থান; লিভারপুলের ওপর তাই চাপ ছিল জয়ের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহু পুরনো হলেও গত কয়েক বছরে তাতে যেন কিছুটা ভাটা পড়েছিল। প্রিমিয়ার লিগের দৌড় থেকে এবারও অনেক আগেই বাতিলের খাতায় নাম লেখানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তবুও সেই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার খাতিরেই অল রেডদের পেলেই যেন চেপে বসে, যেমনটা হয়েছিল প্রথম দেখায়। দ্বিতীয় দেখায়ও লিভারপুলের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বিপদেই ফেলে দিল রেড ডেভিলরা।
আজ জয় পেলে লিভারপুল শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করতে পারত। তবে গোল ব্যবধানে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকায় আপাতত আর্সেনালের দখলেই আছে শীর্ষ স্থান। মাত্র সাত ম্যাচ হাতে আছে, এমন সময়ে এই পয়েন্ট খোয়ানোটাই শেষমেশ লিভারপুলের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ ২০২৪ সালে আর্সেনাল রয়েছে অসামান্য ফর্মে। ১১ ম্যাচের দশটিতেই তারা লিগে জয় পেয়েছে, সেটাও প্রতাপের সাথেই। সামনের পথটাও কারও জন্যই একেবারে সহজ নয়। এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক পয়েন্ট তালিকার বর্তমান অবস্থায়।
পয়েন্টের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হলেও গোল ব্যবধানে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে আর্সেনাল। লিভারপুলের যেখানে গোল ব্যবধান ৪২ ও ম্যানচেস্টার সিটির ৪০, সেখানে আর্সেনালের ৫১। তিন দলের সামনেই অবশ্য সুযোগ থাকবে এই হিসেবটা এলোমেলো করে দেওয়ার। কার সামনে প্রতিপক্ষ কারা সেটাই এবার দেখে নেওয়া যাক।
আর্সেনাল
অ্যাস্টন ভিলা
উলভস
চেলসি
টটেনহাম
বোর্নমাউথ
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
এভারটন
লিভারপুল
ক্রিস্টাল প্যালেস
ফুলহাম
এভারটন
ওয়েস্ট হাম
টটেনহাম
অ্যাস্টন ভিলা
উলভস
ম্যানচেস্টার সিটি
লুটন টাউন
টটেনহাম
ব্রাইটন
নটিংহাম ফরেস্ট
উলভস
ফুলহাম
ওয়েস্ট হাম
রেলিগেশন অঞ্চলে থাকা দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে এই সময়টায় শুধু ম্যানচেস্টার সিটিকেই পাচ্ছে। লুটন টাউনের বিপক্ষে সিটিজেনদের ম্যাচটা এরপরেই বলে শেষদিকের চাপটাও তাদের ওপর থাকবে না। শীর্ষ ছয়ের মধ্যেও সিটির ম্যাচ বাকি শুধু টটেনহামের বিপক্ষে। সেখানে লিভারপুলের ম্যাচ বাকি টটেনহাম ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে; আর্সেনালের কাজটা আরও কঠিন - এই দুই দল ছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষেও তাদের ম্যাচ বাকি আছে, সেটাও ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
কাগজে কলম তাই কাজটা শীর্ষ স্থানে থাকা আর্সেনালের জন্যই সবচেয়ে কঠিন। সেই সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে যদি তারা বায়ার্ন বাঁধা উৎরাতে পারে তাহলে তাদের মাথায় থাকবে আরও চিন্তা। দুটো একসাথে সামলানোর মত স্কোয়াডের শক্তি আছে কি না সেটা নিয়ে মিকেল আরতেতাকে ভাবতে হবে আরও একবার। তবে সিটির সামনেও একই চিন্তা থাকলেও পেপ গার্দিওলা তার বেঞ্চের খেলোয়াড়দের ওপরেও আস্থা রাখবেন। অন্যদিকে নিজের শেষ মৌসুমে ইউরোপা লিগের দিকেও বিশেষ নজর রাখবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। পথটা তাই তার জন্যও বন্ধুর বলা চলে। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক প্রিমিয়ার লিগের দৌড়ের আভাসটাই মিলছে এখন অব্দি।