• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সিটির শীর্ষে যাওয়ার পর থ্রি-হর্স রেসে কার সামনে পথ কেমন

    সিটির শীর্ষে যাওয়ার পর থ্রি-হর্স রেসে কার সামনে পথ কেমন    

    এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকাটা যেন এলোমেলো হয়ে গেল। যেই ম্যানচেস্টার সিটি তিনে ছিল, তারাই প্রথম দিনে লুটন টাউনকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম স্থান পুনরুদ্ধার করে সেখানেই আসন গেড়ে বসল। বাকি দুই দলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু ঘরের মাঠে হেরে বসল আর্সেনাল ও লিভারপুল। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষের সুযোগের পর সুযোগ হাতছাড়া করে লিভারপুল যেন শিরোপার আশাও জলাঞ্জলি দিয়ে বসেছিল; অনেকটা সেই চাপ থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগ স্থানের জন্য লড়তে থাকা অ্যাস্টন ভিলার কাছে হার মানতে হয়েছে আর্সেনালকেও।

    এই সপ্তাহের স্কোর

    আর্সেনাল ০-২ অ্যাস্টন ভিলা

    লিভারপুল ০-১ ক্রিস্টাল প্যালেস

    ম্যানচেস্টার সিটি ৫-১ লুটন টাউন

     

     

    সিটিজেনদের সামনের পথটাও তুলনামূলক সোজা। তবে আর্সেনাল, লিভারপুলের যে আশা শেষ সেরকমটাও নয়। পয়েন্টের লড়াইটা এখনও হাড্ডাহাড্ডি। এক নজরে দেখে আসা যাক কার সামনে কী কী ম্যাচ বাকি।

     

    আর্সেনাল


    উলভস
    চেলসি
    টটেনহাম
    বোর্নমাউথ
    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
    এভারটন

    লিভারপুল


    ফুলহাম
    এভারটন
    ওয়েস্ট হাম
    টটেনহাম
    অ্যাস্টন ভিলা
    উলভস

    ম্যানচেস্টার সিটি


    টটেনহাম
    ব্রাইটন
    নটিংহাম ফরেস্ট
    উলভস
    ফুলহাম
    ওয়েস্ট হাম

    শুধু যে শীর্ষে গিয়েছে সিটি তাই নয়, গোল ব্যবধানেও দূরত্বটা কমিয়ে এনেছে তারা। সেখানে যথারীতি ৪৯ গোল ব্যবধান নিয়ে আর্সেনাল এগিয়ে থাকলেও লিভারপুলকে টপকে সিটির গোল ব্যবধান এখন ৪৪। হারের পর গোল ব্যবধান কমে লিভারপুলের হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১।

    রেলিগেশন অঞ্চলে থাকা দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে এই সময়টায় শুধু ম্যানচেস্টার সিটিকেই পাচ্ছে। লুটন টাউনের বিপক্ষে সিটিজেনদের ম্যাচটা ইতিমধ্যেই দাপটের সাথে জিতে নিয়েছে সিটি। শীর্ষ ছয়ের মধ্যেও সিটির ম্যাচ বাকি শুধু টটেনহামের বিপক্ষে। সেখানে লিভারপুলের ম্যাচ বাকি টটেনহাম ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে; আর্সেনালের কাজটা আরও কঠিন - এই দুই দল ছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষেও তাদের ম্যাচ বাকি আছে, সেটাও ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে পা হড়কে বসেছে আর্সেনাল। বাকি দুই ম্যাচেও একই পরিণতি হলে হয়ত তীরে এসে আবারও ডুববে গানারদের তরী।

    কাগজে কলম তাই কাজটা দ্বিতীয় স্থানে চলে যাওয়া আর্সেনালের জন্য এখনও সবচেয়ে কঠিন। সেই সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে যদি তারা বায়ার্ন বাঁধা উৎরাতে পারে তাহলে তাদের মাথায় থাকবে আরও চিন্তা; এরই মধ্যে ঘরের মাঠে ২-২ ড্রয়ের পর অবশ্য সেই চিন্তাটাও বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে। দুটো একসাথে সামলানোর মত স্কোয়াডের শক্তি আছে কি না সেটা নিয়ে মিকেল আরতেতাকে ভাবতে হবে আরও একবার। তবে সিটির সামনেও একই চিন্তা থাকলেও পেপ গার্দিওলা তার বেঞ্চের খেলোয়াড়দের ওপরেও আস্থা রাখবেন। অন্যদিকে নিজের শেষ মৌসুমে ইউরোপা লিগের দিকেও বিশেষ নজর রাখবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। আটালান্টার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ০-৩ গোলে হারার পর সেখান থেকেও বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে তার দল। দুঃস্বপ্নের মত একটা সপ্তাহ কাটানোর পর এক সাথে দুটো শিরোপার আশাও যেন ভেস্তে যাওয়ার দশা এখন তার। পথটা তাই তার জন্যও বন্ধুর বলা চলে। প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা এখনও স্তিমিত হয়নি তাই। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক রাত উপহার দেওয়া সিটির সামনে রিয়াল মাদ্রিদ বাঁধাটা এখনও রয়েছে। তবে নিজের স্কোয়াডের শক্তি বিবেচনায় নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসটাও চিড় ধরবে না পেপের।