এমএলএসে যেসব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন মেসি
২০২৩ সালের ১৬ই জুন লিওনেল মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার সময় ক্লাবটির পজিশন ছিল মেজর লিগ সকারের একদম তলানিতে। গল্পটা বদলে যায় মেসি আসার পর। ১১ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করে ইন্টার মিয়ামিকে জেতান তাদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা। এবং আরো একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালেও তোলেন। তবে মিয়ামি শেষ পর্যন্ত শেষ করে ১৪ নম্বরেই।
তবে মেসির সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ শুরু হয় এই মৌসুম থেকে । বুস্কেটস আলবা তো ছিলেনই এবার মেসির সতীর্থ হন বেস্ট ফ্রেন্ড লুইস সুয়ারেজ। এবার মিয়ামি ১৪ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঠিক এই মূহূর্তে তারা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আর মেসির সামনে হাতছানি দিচ্ছে অনেকগুলো রেকর্ড, এমএলএসের ইতিহাসই বদলে দিতে পারেন এবার।
ইনজুরির সাথে লড়াই করার পরেও এই মৌসুমে মেসির ৯ ম্যাচে ১০ গোল , সাথে আছে ৯ অ্যাসিস্ট। অ্যাসিস্টে তিনি লিডারবার্ডের শীর্ষে, আর গোলে লিডারবার্ডের তিনে। সব কম্পিটিশন মিলে তার গোল ১৩ ও অ্যাসিস্ট ১২।
নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের সাথে দ্বিতীয়ার্ধেই ৫ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। এমএলএসের ইতিহাসে এক অর্ধে এক ম্যাচে এটাই সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড। শুধু তাই নয় এক অর্ধে সর্বোচ্চ গোল ইনভলভমেন্টের রেকর্ডও তার।
এমএলএসের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলের মালিক কার্লোস ভেল্লা। এক মৌসুমে সাবেক এই মেক্সিকান স্ট্রাইকার করেছিলেন ৩৪ গোল। আর সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড কলম্বিয়ান লিজেন্ড কার্লোস ভালদেরামার, ২০০০ সালে তিনি করেছিলেন ২৬ অ্যাসিস্ট। মেসির এই ধারা ধরে রাখলে দুই রেকর্ডই ভেঙে দিতে পারেন। শুধু গোল এবং অ্যাসিস্ট না, গোলস পার গেম এবং অ্যাসিস্ট পার গেমের রেকর্ডও ব্রেক করার সুযোগ আছে লা পুলগার।
এ পর্যন্ত গোলস পার গেমের রেকর্ড কার্লোস ভেল্লার। পুরো মৌসুম মিলিয়ে ১.১১ গোলস পার গেম ছিল তার। মেসির এখন পর্যন্ত এই স্ট্যাট ১.২৫। আর ম্যাচ প্রতি অ্যাসিস্টের কার্লোস ভালদেরামার ০.৯৫ এর রেকর্ডও মেসি ভেঙে দিতে পারেন। এই মুহূর্তে মেসির ম্যাচ প্রতি অ্যাসিস্ট ১.০৬।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মেসির এই সিজনের সিক্রেট কী? ক্যারিয়ারে উইং, ফলস নাইন থেকে শুরু করে আরও অনেক পজিশনে খেলেছেন মেসি। বার্সাতে থাকতে তার ভুমিকা ছিল মূলত প্লে মেক করা। উইঙ্গারদের রান দেখে তাদেরকে বল ক্রিয়েট করে দেওয়া। অন্যদিকে পেসজিতে লেও মেসি যেমন এমবাপ্পেকে থ্রু বল দিতেন ,আর্জেন্টিনায় লাউতারো মার্টিনেজ এবং হুলিয়ান আলভারেজকে দিতেন মিড চ্যানেল থেকে
ইন্টার মিয়ামিতে তার ভুমিকা বেশ ভিন্ন। এবার পাসিং লাইনের দিকে পুরোপুরি না দেখে অর্থাৎ কোয়ার্টারব্যাকিং না করে মেসি ওয়ান টু করে আগানোতে বেশি ফোকাস করছেন। রাইট মিডফিল্ডার গ্রেসেলকে বাউন্সার হিসেবে কাজে লাগিয়ে মেসি হয় ইনসাইড দা বক্স পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন বা শ্যুট করেন। যে কারণে মেসির গোল স্কোরিং এবং অ্যাসিস্ট করার সুযোগও বাড়ছে।
তবে মৌসুমের শুরুতে যেমন বেশ কয়েকটি ম্যাচ চোটের কারণে খেলতে পারেননি। মেসির রেকর্ড গড়ার পথে তাই বাধা হতে পারে একমাত্র তার ইনজুরি। মেসি ফ্যানরা চাইবেন তিনি যেন ইনজুরি ফ্রি হয়ে পুরো মৌসুম কাটাতে পারেন।