'সুপার' স্টার্ক, দুই আইয়ারে মিলে দাপটের সাথে ফাইনালে কলকাতা
কোয়ালিফায়ার ১, কলকাতা নাইট রাইডার্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (টস-হায়দরাবাদ/ব্যাটিং)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ - ১৫৯, ১৯.৩ ওভার (ত্রিপাঠি ৫৫, ক্লাসেন ৩২, কামিন্স ৩০, স্টার্ক ৩/৩৪, বরুণ ২/২৬, বৈভব ১/১৭)
কলকাতা নাইট রাইডার্স - ১৬৪/২, ১৩.৪ ওভার (শ্রেয়াস ৫৮*, ভেঙ্কটেশ ৫১*, গুরবাজ ২৩, নটরাজন ১/২২, কামিন্স ১/৩৮)
ফলাফল - কলকাতা ৮ উইকেটে জয়ী
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে নিয়ে ছেলেখেলা করে ফাইনালে কলকাতা। টসে হেরে ফিল্ডিং করতে হলেও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথম ইনিংস শেষেই যেন ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেলেছিল কলকাতা বোলাররা। লক্ষ্য তাড়াতেও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৪৪ বলে ৯৭* রানের দারুণ জুটিতে ৩৮ ব্ল হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
১৬০ রানের লক্ষ্যে কলকাতাকে চেপে ধরার একটা ফন্দি আটতেই পারতেন প্যাট কামিন্সরা। এমনিতেও দশ দিনের মত হয়ে গিয়েছিল মাঠের ক্রিকেটে নেই কলকাতা, সেই সাথে ওপেনিংয়ে নেই বিধ্বংসী ফিল সল্ট। অবশ্য তার কোনোটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের সামনে। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে সঙ্গী করেও সুনীল নারাইন ব্যাট চালালেন একই ভঙ্গিমায়। গুরবাজও তার সহজাত খেলাটা খেললে পাওয়ারপ্লেতেই ভড়কে যায় হায়দরাবাদ। ৪৪ রানের মাথায় গুরবাজ ফিরলেও ১৪ বলে ২৩ রানে পথটা বাতলে দিয়েই গিয়েছিলেন। পাওয়ারপ্লের পরপরই নারাইনও ১৬ বলে ২১ রানে ফেরেন কামিন্সের শিকার হয়ে। অবশ্য কামিন্সের ওপর চড়াও হয়েই এই দুজন যেন হায়দরাবাদের বিশ্বাস চূর্ণ করে দিয়েছিল।
ওই দুজনের বদৌলতে পাওয়ারপ্লেতেই ৬৩ রান এলে সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এরপর দুই আইয়ার মিলে হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগ দেননি। দুজনে মিলে দলীয় শতরান পূর্ণ করে ফেলেন দশম ওভারেই। লক্ষ্য ধরাছোঁয়ার ভেতরে থাকলেও দুজনের কারও মাঝেই রয়েসয়ে খেলার প্রবণতা দেখা যায়নি। দশম ওভারের পর আক্রমণে রেড্ডি ও হেডকে আনা হলে দুজনের ওপরেই চড়াও হয়ে ম্যাচের ইতি টানতেও যেন মরিয়া হয়ে ওঠে আইয়ার জুটি। ২৮ বলে ভেঙ্কটেশ ফিফটি পেয়ে গেলে পরের ওভারে হেডকে তিন ছয়, এক চার মেরে ম্যাচ শেষ করে ফেলেন শ্রেয়াস। ২৪ বলে ৫৮* রান করে শ্রেয়াস ও ২৮ বলে ৫১* রানে ভেঙ্কটেশ তাই মাঠ ছাড়েন কলকাতার চতুর্থ ফাইনাল নিশ্চিত করেই।