বোল্ট, আশ্বিনের জাদু, রাজস্থান ব্যাটারদের দায়িত্বশীল লক্ষ্য তাড়ায় কোহলিদের বিদায়
এলিমিনেটর, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-রাজস্থান রয়্যালস (টস-রাজস্থান/বোলিং)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু - ১৭২/৮, ২০ ওভার (পাটিদার ৩৪, কোহলি ৩৩, লমরোর ৩২, আভেশ ৩/৪৪, আশ্বিন ২/১৯, বোল্ট ১/১৬)
রাজস্থান রয়্যালস - ১৭৪/৬, ১৯ ওভার (জয়সওয়াল ৪৫, পরাগ ৩৬, হেটমায়ার ২৬, সিরাজ ২/৩৩, কার্ন ১/১৯, গ্রিন ১/২৮)
ফলাফল - রাজস্থান ৪ উইকেটে জয়ী
আরও একটি আইপিএল, আরও একবার রিক্ত হস্তে ফিরতে হচ্ছে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভিরাট কোহলিকে। অনন্য এক মাইলফলক ছুঁলেন আজ, তবে শিরোপাটা আর ছুঁয়ে দেখা হচ্ছে না। দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝে পা হড়কালেও সঠিক সময়ে নিজেদের সামলে নিয়ে তাই বেঙ্গালুরুর বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ফাইনালের জন্য আরও একটি সুযোগ তৈরি করে নিল রাজস্থান।
১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজস্থান পাওয়ারপ্লেতেই হারায় ২০ রান করা টম কোলার-ক্যাডমোরকে। মজার বিষয়, লকি ফার্গুসনের বিপক্ষে মাত্র তৃতীয় বলে মুখোমুখি হয়ে ফিরলেন তো বটেই, ক্যারিয়ারে এর আগে তার বিপক্ষে খেলা দুই বলেই ফিরেছিলেন এই ব্যাটার। সেই ধাক্কা সামলে অবশ্য অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গী করে জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তৃতীয় ওভারে জীবন পাওয়া যশস্বী জয়সওয়াল। যেদিন তার ব্যাট হাসে, সেদিন যে তিনি একাই যথেষ্ট সেটা জয়সওয়াল আগেও দেখিয়েছেন। পাওয়ারপ্লেতে ৪৭ রান তোলার পর ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দুজনে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে মাত্র চার বলে ব্যবধানেই ম্যাচের মোড় বদলে যায় হুট করেই। পাঁজর বরাবর করা গ্রিনের বল পেছনে টেনে মারতে গিয়ে উইকেটকিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ৩০ বলে ৪৫ রানে জয়সওয়াল থামেন। পরের ওভারেই হুট করে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্যামসন ফাঁদে পড়েন কার্নের ওয়াইড বলের। ১৭ রান অধিনায়ক স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরলে দুর্দান্ত এক থ্রোতে জুরেলকে থামিয়ে বেঙ্গালুরু শিবিরে আশ্বাস যোগান কোহলি।
তবে দারুণ ফর্মে থাকা রিয়ান পরাগ সেখান থেকে আরও একবার হাল ধরেন দলের, সাথে যোগ্য সঙ্গ দেন শিমরন হেটমায়ার। দুজনে শেষ পর্যন্ত না থাকতে পারলেও দলকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে সিরাজের দুর্দান্ত ১৮-তম ওভার রাজস্থান শিবিরে ঠিকই শঙ্কা জাগিয়েছিল। ২৬ বলে ৩৬ রানে থাকা পরাগের স্টাম্প উপড়ে ফেলার পাশাপাশি ১৪ বলে ২৬ রান করে ম্যাচ শেষ করার সুযোগ খুঁজতে থাকা হেটমায়ারকেও ফিরিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য তিনি শেষ না করলেও স্বদেশী রভম্যান পাওয়েলি ইতি টেনেছেন ম্যাচের। ৮ বলে ১৬* রানের সময়োপযোগী এক ক্যামিও খেলে কোহলিদের কাঁদিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে দিয়েছেন দলকে।