টি-টোয়েন্টি যেভাবে বদলে দিয়েছে মাঠের ক্রিকেটকে: প্রথম পর্ব
আরো একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দুয়ারে। ক্রিকেটের নবীনতম ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটি দেখতে দেখতে পা রাখতে চলেছে তার নবম আসরে। তবে বয়সে মাত্র একুশ বছর হলেও, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা ইতোমধ্যে আমূল বদলে দিয়েছে ক্রিকেটকে। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক এই ফরম্যাটের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো এখন আয়োজিত হচ্ছে ক্রিকেটবিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে, ক্রিকেটারদের সাথে জাতীয় দলগুলোর চুক্তির ধরন এবং মেয়াদে আসছে পরিবর্তন, আর মাঠের ক্রিকেটের পরিবর্তনগুলো তো চর্মচক্ষে দৃশ্যমান।
বিশ ওভারের এই ফরম্যাটটা কীভাবে বদলে দিলো আমাদের একসময়ের চেনাজানা মাঠের ক্রিকেটকে, দ্যা ক্রিকেট মান্থলিতে উঠে এসেছে সেই গল্পগুলোই। আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
পোলার্ড-রাসেল, টি-টোয়েন্টির বিজ্ঞাপন; Image Source: Getty Images
জেনারেশন সিক্স
২০১৭ সালের আগস্টে ফিরে যাওয়া যাক। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল নটিংহ্যামশায়ার এবং সমারসেট। তবে ওই ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্কাই স্পোর্টস আয়োজন করেছিল এক ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ও বর্তমান দুজন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান, যথাক্রমে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ এবং জস বাটলার। ৩৯ বছর বয়সী ফ্লিনটফ নিজের ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছিলেন দুই বছর আগেই, ২৬ বছরের জস বাটলার তখনো নিজের ফর্মের তুঙ্গে পৌঁছাতে পারেননি।
প্রতিযোগিতাটা ছিল খুবই সহজ এবং সাধারণ। দুজন ব্যাটসম্যানের দিকেই তিনবার করে বল ছুঁড়বেন রব কী, এর সাথে একটা থ্রোতে হাত ঝালাইয়ের সুযোগ পাবেন ব্যাটসম্যানরা। যার হাঁকানো ছক্কা বেশি দূরে গিয়ে পড়বে, তিনিই হবেন বিজয়ী। ঊনচল্লিশের ফ্লিনটফের হাঁকানো সবচেয়ে বিশাল ছক্কাটা আছড়ে পড়েছিলো ৯২ মিটার দূরে, ওদিকে নিজের প্র্যাকটিস থ্রোকেই ১০২ মিটার দূরে উড়িয়ে মেরেছিলেন জস বাটলার। থ্রোয়ার রব কী আর অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক নাসের হুসাইন, দুজনেই গড়িয়ে পড়েছিলেন হেসে।
ফ্লিনটফ-বাটলারের সেই লড়াই; Image Source: Sky Sports
এখানে দুই ব্যাটসম্যানের বয়সের প্রসঙ্গ আসতেই পারে। তবে বয়সটাকে পাশে রেখে দুজনের টেকনিক নিয়ে আলোচনা করা যাক। ফ্লিনটফের টেকনিকের মূল বিষয় ছিল তাঁর ব্যাটের সাথে শক্ত করে এঁটে থাকা কবজি, আর দুই পায়ে নিজের ওজনের বিনিময়। ওদিকে বাটলার নির্ভর করেছিলেন বল ছোঁড়ার পর সেটাকে আঘাত করতে নিজের হাত ও কবজির দ্রুততার ওপর। স্বাভাবিকভাবেই বাটলারের ব্যাটিংয়ের ধরনটা আধুনিক টি-টোয়েন্টির সাথে অনেক বেশি মানানসই, ওদিকে ফ্লিনটফ যেন টি-টোয়েন্টি-পূর্ব যুগের ব্যাটসম্যান। ছক্কা হাঁকানোর দক্ষতায়ও এগিয়ে বাটলার, এবং বাটলারের যুগের ব্যাটসম্যানরা।
একটা সময়ে ‘অ্যাঙ্কর’ ব্যাপারটার গুরুত্ব থাকলেও বর্তমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে, বিশেষত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কারণে এই শব্দটার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। প্রতিটি ব্যাটসম্যানই মাঠে নামবেন এবং শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএলের প্রথম আসরে প্রতিটি ছক্কার বিপরীতে হাঁকানো হয়েছিল ২.৭টা চার। ২০২৩ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যাটা নেমে এসেছে ১.৯টা চারে। চলতি এপ্রিলেই, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা মিলে হাঁকিয়েছেন রেকর্ড ৪২টা ছক্কা, অর্থাৎ গড়ে প্রতি ওভারে একের বেশি ছক্কা এসেছে।
‘জেনারেশন সিক্স’ বললে তাই আহামরি ভুল হয় না বোধ হয়!
ফিনিশিংয়ের জন্য চাই মাসল পাওয়ার
নব্বইয়ের দশকে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব পালন করতেন মাইকেল বেভান। ত্রিশটা ওয়ানডে ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফিনিশিং করেছিলেন তিনি, অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল পঁচিশটা। ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে নেমে বেভানের দুর্দান্ত সব ইনিংসের কথা ক্রিকেট রোমান্টিকদের এখনো নস্টালজিয়ায় ভোগায়। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তাঁর “প্লেয়িং দ্যা ওয়ান-ডে গেম” বইয়ে বেভানের দারুণ বুদ্ধিমান ব্যাটিং, দুর্দান্ত রানিং এবং উদ্ভাবনী শট স্ট্রোকের প্রশংসা করেছেন। মাসল পাওয়ারের অভাব ছিল না বেভানের, তবে রানের জন্য বলকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ফিল্ডারদের মাঝের ফাঁকা স্থানে পাঠানোকেই অগ্রাধিকার দিতেন তিনি। ২৩২ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাত্র ২১টা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বেভান, প্রতি ৪৪৪ বলে মাত্র একটি।
টি-টোয়েন্টির আদর্শ ফিনিশার টিম ডেভিড; Image Source: Getty Images
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ফিনিশিংয়ের দায়িত্বের প্রায় পুরোটাই থাকবে টিম ডেভিডের ওপর। পূর্বসূরী মাইকেল বেভানের মতোই টিম ডেভিড কখনোই টেস্ট খেলেননি, এবং আরো পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, কখনো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই খেলেননি এই আটাশ বছর বয়সী। তবে দীর্ঘদেহী, শক্তিশালী এই ব্যাটসম্যান বিশ ওভারের ক্রিকেটটা ভালোই খেলেন, নিজের শরীরের শক্তিকে ব্যবহার করেন বলকে বাউন্ডারির ওপারে পাঠানোর কাজে। প্রতি ম্যাচে গড়ে বারো-তেরোটা বল হয়তো মোকাবেলা করার সুযোগ পান তিনি, তবে তাতেই কাজের কাজটা করার সক্ষমতা রাখেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও তাঁর অনেক চাহিদা। তিনি একা নন, তাঁর মতো দীর্ঘদেহী ও শক্তিশালী ব্যাটসম্যান হিসেবে কিয়েরান পোলার্ড এবং আন্দ্রে রাসেলও রাজত্ব করে গেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শেষ দিকের ওভারগুলোতে।
উদ্ভাবনী শটের ফুলঝুরি
স্কুপ, প্যাডেল, র্যাম্প… গালভরা যেমন নামই দেওয়া হোক না কেন, এসব শটের অস্তিত্ব টি-টোয়েন্টির আগমনের আগেও ক্রিকেটে ছিল। ট্রেন্ট ব্রিজে শেন ওয়াটসনের বলকে তিলকরত্নে দিলশান যখন ‘দিলস্কুপ’ করে উইকেটকিপার ব্র্যাড হাডিনের মাথার ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠাচ্ছেন, এর অনেক আগেই ডগলাস মেরিলিয়ার, রায়ান ক্যাম্পবেলরা এই ধরনের শট খেলে গেছেন। রিভার্স সুইপ তো সত্তরের দশক থেকেই নিয়মিত খেলা হচ্ছে ক্রিকেটে।
প্যাডেল স্কুপ আর র্যাম্প শটে সিদ্ধহস্ত জস বাটলার; Image Source: Getty Images
তাহলে পার্থক্যটা কী?
পার্থক্যটা মূলত এসব শট খেলার পৌনঃপুনিকতায়। একটা সময়ে এই শটগুলো খুব বেশি ব্যাটসম্যান খেলতেন না, কিন্তু এখন এই শটগুলো হয়ে গেছে সর্বজনীন। কাউন্টি ক্রিকেটেও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি র্যাম্প, রিভার্স সুইপজাতীয় শটগুলো খেলা হচ্ছে। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানরা এখন শুরু থেকেই ৩৬০ ডিগ্রি শট খেলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এই আইপিএলে ট্রিস্টান স্টাবসের শর্ট থার্ডম্যান দিয়ে রিভার্স স্ল্যাপ খেলা দেখেই ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ম্যাচ জেতাবেন স্পিনাররাই
২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে যখন প্রথমবারের মতো পেশাদার টি২০ লিগ অনুষ্ঠিত হয়, স্পিনারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। “আমাদের ধারণা ছিল, স্পিনারদের সামনে আর কোন আশা নেই,” ওই টি২০ লিগে শিরোপাজয়ী সারের অধিনায়ক অ্যাডাম হোলিওয়েক এমনটাই বলেছিলেন। এই চিন্তাধারাই তৈরি হয়েছিল সেই সময়ের ক্রিকেটে, একজন জেনুইন স্পিনারকে একাদশে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পর্যন্ত।
কিন্তু একুশ বছর পরে এসে দেখা যাচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন স্পিনাররা। ২০২৩ আইপিএলে রেকর্ড ৪১.৭ শতাংশ ওভার বোলিং করেছেন স্পিনাররা, যেখানে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আইপিএলে স্পিনারদের বোলিং ছিল মাত্র ২৩.২ শতাংশ। শুধু তাই নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে চারজনই স্পিনার। প্রতিটি ভালো টি-টোয়েন্টি দলেই এখন অন্তত একজন রিস্ট স্পিনার বা মিস্ট্রি স্পিনার থাকেন, যিনি বলকে দুই দিকেই টার্ন করাতে পারেন।
স্পিনাররা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা; Image Source: Getty Images
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভারের পাওয়ারপ্লের পরে পাঁচজন ফিল্ডারকে রাখা যায় বাউন্ডারিতে, স্পিনাররাও তাই একটু হলেও স্বাচ্ছন্দ্যে বোলিং করতে পারেন, ‘মার্জিন অব এরর’ও টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায় বেশি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাই বলেছিলেন, “সুপরিকল্পিত ছয়টা বাজে বল হতে পারে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো করার উপায়।” টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বদৌলতে নতুন জীবন লাভ করেছেন লেগ স্পিনাররাও। শেন ওয়ার্ন-ধাঁচীয় লেগ স্পিনের তুলনায় অনিল কুম্বলেকে মনে করিয়ে দেওয়া লেগ স্পিনারের সংখ্যাই বেশি এখন, যাদের বোলিংয়ের লেন্থ অনেকটাই শর্ট, গতি বেশি, এবং বলের ফ্লাইট তুলনামূলক কম। রশিদ খানই এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
বৈচিত্র্যহীনতা এবং অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে মাঝে কিছু সময়ের জন্য টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন ফিঙ্গার স্পিনাররা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেদের বদলে নিয়ে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন তাঁরা। আসন্ন বিশ্বকাপে আকিল হোসেন, মিচেল স্যান্টনার, মাহিশ থিকসানার মতো ফিঙ্গার স্পিনারদের নতুন বলে বোলিং করতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গতি ও টার্নের বৈচিত্র্য, মাঝেমধ্যে সিম-আপ ডেলিভারি করে ব্যাটসম্যানকে দ্বিধায় রাখতেও যথেষ্ট পারদর্শী তাঁরা।
‘অপ্রচলিত’র প্রচলন
অপ্রচলিত অ্যাকশনে উজ্জ্বল পাথিরানা; Image Source: Getty Images
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অপ্রচলিত বা ‘আনঅর্থোডক্স’ অ্যাকশনের পেসার বলতে একটা সময়ে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার নামই মাথায় আসতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আনঅর্থোডক্স অ্যাকশনের পেসার এসেছেন আরো অনেকেই। প্রচলিত এবং প্রথাগত বোলারদের চেয়ে ভিন্ন অ্যাকশন, বোলিংয়ের রিলিজ পয়েন্ট ভিন্ন হওয়া ইত্যাদি কারণে এই ধরনের বোলারদের পড়তে একটু হলেও কষ্ট হয় ব্যাটসম্যানদের। আর সবশেষ দশকে এমন বোলারদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই জসপ্রীত বুমরাহর নাম আসবে সবার আগে। এখন এই দলে নাম লিখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নুয়ান তুষারা, পাকিস্তানের জামান খানরাও। তুষারা-জামান দুজনেই বল ছোঁড়ার ক্ষেত্রে হাতের অবস্থান অনেকটা নিচে রাখেন, এর সাথে থাকে তাঁদের স্লিংশট অ্যাকশন। ‘বেবি মালিঙ্গা’ হিসেবে খ্যাত মাথিশা পাথিরানাকেও রাখতে হচ্ছে এই দলে, মালিঙ্গার মতো স্লিঙ্গিং অ্যাকশনে যিনি নিয়মিত স্ট্যাম্প ওড়াচ্ছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের।
ধীরগতিই যখন চাবিকাঠি
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। তাঁর বোলিংয়ের অন্যতম বিশেষত্ব ছিল তাঁর বৈচিত্র্য। সাধারণ গতিময় বলের সাথে স্লোয়ার, কাটারের দারুণ মিশেলে তিনি হয়ে উঠতেন অপ্রতিরোধ্য। ক্যারিয়ার শেষের দিকে তো চার ওভারের স্পেলের মধ্যে বিশটা স্লোয়ারও করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর এই টোটকাটা এখনকার পেসাররাও কাজে লাগাচ্ছেন। সাধারণ স্লোয়ার, অফ কাটার, লেগ কাটার, ব্যাক-অব-হ্যান্ড স্লোয়ার, নাকল বল নামকে বৈচিত্র্য দিয়ে ব্যাটসম্যানদের নিকট হয়ে উঠছেন দুর্বোধ্য।
স্লোয়ারকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ডোয়াইন ব্রাভো; Image Source: Getty Images
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরেক কার্যকর অলরাউন্ডার ছিলেন রবি বোপারা, ‘চেঞ্জ আপ‘ বোলিংয়ে তিনি ছিলেন পারদর্শী। ‘রাইট আর্ম মিডিয়াম পেসার‘ হিসেবে ইংরেজ অলরাউন্ডার বেন কাটিংয়ের পরিচয় থাকলেও নিজেকে তিনি ‘ফাস্ট স্পিনার’ হিসেবেই চিনিয়ে দেন। নিজের ঝুলিতে অন্তত পঞ্চাশ ধরনের ডেলিভারি আছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।