ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে ভয় ধরিয়েও পাপুয়া নিউ গিনির পরাজয়
গ্রুপ পর্ব, গায়ানা (টস-ওয়েস্ট ইন্ডিজ/বোলিং)
পাপুয়া নিউ গিনি - ১৩৬/৮, ২০ ওভার (বাউ ৫০, ডরিগা ২৭*, ভালা ২১, রাসেল ২/১৯, জোসেফ ২/৩৪, আকিল ১/৯)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ - ১৩৭/৫, ১৯ ওভার (চেইজ ৪২*, কিং ৩৪, পুরান ২৭, ভালা ২/২৮, নাও ১/৯, কারিকো ১/১৭)
ফলাফল - ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী
দুই ওভারের মধ্যেই যখন ২ উইকেট খুইয়ে বসল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তখন অঘটনের একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল; পাপুয়া নিউ গিনিও আশা দেখতে শুরু করেছিল। তবে দারুণ এক স্পেলে যেই অধিনায়ক আসাদ ভালা স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন, তাকেই তুলোধোনা করে রস্টন চেইজ জানিয়ে দিলেন, সহ-স্বাগতিকরা এবার জিততে এসে এসব ঘটতে দিবেন না। পাপুয়া নিউ গিনিকে তাই লড়াই করে হারার সন্তুষ্টি নিয়েই ক্ষান্ত দিতে হল।
তবে স্বপ্নটা তারা দেখতে শুরু করেছিল দ্বিতীয় ওভার থেকেই। আলেই নাওয়ের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে জনসন চার্লস ফিরলে ওই ওভারেই নিকোলাস পুরান একেবারে একই পরিণতি বরণ করার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন, উল্টো তারটাতেই বরং ছিল তিন লালের সমাহার। তবে সেই যাত্রায় তারা রিভিউ না করলে বেঁচে যান পুরান। সেই পুরান পরে আহামরি কিছু না করলেও বল প্রতি ২৭ রানের ইনিংস খেলে রানের খাতায় যোগ করেছেন বলার মত কিছুই; সেই সাথে ব্র্যান্ডন কিংকেও দিয়েছেন সঙ্গ। তবে পুরান ফেরার পরের ওভারেই কিং তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ২৯ বলে ৩৪ রানে ফেরেন ভালার শিকার হয়ে।
সেখান থেকে উইকেটে আসা অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল বা এরপর আসা রাদারফোর্ডরা সুবিধা করতে না পেরে ১৪তম ও ১৬তম ওভারে ফিরলে তখন যেন টনক নড়ে চেইজের। উইকেটে রাসেলকে পেয়ে যেন সাহসটাও পেয়ে যান তিনি। ভালা নিজের স্পেলের শেষ ওভার করতে এলে তাকে দুই চার ও এক ছয় মেরে বসেন চেইজ; ১৮তম সেই ওভারে ১৮ রান এলে সেখানেই লেখা হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ২৭ বলে ৪২* রানে অপরাজিত থেকে চেইজ ও ৯ বলে ১৫* রানে রাসেল তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে বল হাতে শুরুতেই আকিল হোসেনের দুর্দান্ত স্পেলে একেবারেই হাত খোলার সুযোগ পায়নি পাপুয়া নিউ গিনি। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ভালা ২২ বলে ২১ রান করলে পরে দলের হাল ধরেন বাউ। রয়েসয়ে খেলতে খেলতেই গুদাকেশ মোতির এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে হাত খোলার ইঙ্গিত দেন বাউ। উইকেটে অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝেই ৪২ বলে ফিফটি তুলে দেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ফিফটি পান তিনি। তবে পরের ওভারে এরপর জোসেফের শিকার হয়ে থামতে হয় তাকে। শেষ দিকে এই জোসেফের ওপর চড়াও হয়েই দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিতে সাহায্য করেছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটার ডরিগা। জোসেফের শেষ ওভারে ১৪ রান নিয়ে ১৮ বলে ২৭* রানে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত লড়েও সেই প্রচেষ্টা কাজে আসেনি তার।