নাসাউ কাউন্টিতে নেই টি-টোয়েন্টি সুলভ ক্রিকেট!
গ্রুপ পর্ব, নিউ ইয়র্ক (টস-শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
শ্রীলঙ্কা - ৭৭, ১৯.১ ওভার (কুশল ১৯, ম্যাথিউজ ১৬, কামিন্দু ১১, নরকিয়া ৪/৭, রাবাদা ২/২১, মহারাজ ২/২২)
দক্ষিণ আফ্রিকা - ৮০/৪, ১৬.২ ওভার (ডি কক ২০, ক্লাসেন ১৯*, স্টাবস ১৩, হাসারাঙ্গা ২/২২, শানাকা ১/৬, থুসারা ১/১৮)
ফলাফল - দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা; তবে প্রশ্ন একটাই - ক্রিকেট কি আদৌতে জিততে পারল? টি-টোয়েন্টি মানেই যে ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট হতে হবে এমনটা নয়; এবারের আইপিএলের মত ব্যাটারদের স্বর্গ বানানোর দাবি নিয়েও ক্রিকেট বিজ্ঞরা বসে নেই। তবে নাসাউ কাউন্টিতে ক্রিকেটের যে বিজ্ঞাপন দেখা গেল তা নিয়ে ঘোর আপত্তি থাকতে পারে ক্রিকেটের কট্টর ভক্তেরও। সে যাই হোক - শ্রীলঙ্কাকে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহে বেঁধে ফেলার পরও সেই রান তাড়া করতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও যথেষ্ট কঠিন প্রশ্নের মুখেই পড়তে হয়েছে।
লক্ষ্য মোটে ৭৮, তবে তাতে যে তাদের কোনো ছাড় মিলবে না, প্রোটিয়াদের শুরুতেই সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ওভারেই রিজা হেন্ড্রিকসকে ফিরিয়ে সেই বার্তাটাই দেন নুয়ান থুসারা। তবে তাদের মতিগতি বুঝে রয়েসয়েই খেলতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য দাসুন শানাকার প্রথম ওভারেই উইকেট মেইডেন সহ মার্করামের ফেরার পর সেই পথে হাঁটা ছাড়া তাদের উপায়ও ছিল না। লঙ্কানরা যে বল হাতে চেষ্টার কমতি রাখেনি তা বলাই বাহুল্য! তবে উইকেটের নিষ্প্রাণ হালও দক্ষিণ আফ্রিকাকে রান রেট বাড়ানোর পথে হাঁটতে দেয়নি।
উইকেটের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে হাসারাঙ্গা তাদের ওপর চেপে বসলে সব বাদ দিয়ে প্রোটিয়ারা শুধু জয়ের কথাই ভাবতে শুরু করে। এমনকি ডি কক-স্টাবসের জুটিতে রেকর্ডও হয়ে গিয়েছে। কোনো বাউন্ডারি ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ বল খেলার রেকর্ড গড়েছেন স্টাবস। ২৮ বলের সেই ইনিংসে রানও করেছেন মোটে ১৩! অন্যদিকে ডি কক ২০ রান করতে পেরেছেন ২৭ বল খেলে। দুজনেই হাসারাঙ্গার শিকার হলে পরে পরিস্থিতি বুঝে খেলে গিয়েছেন ক্লাসেন। পাথিরানার দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তাকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে হয়েছিল ঠিকই। তাতেও খোলস থেকে বের না হয়ে ২২ বলে ১৯* রানে থেকে ম্যাচ বের করেই পরে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।