• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    ইংল্যান্ড টিম প্রিভিউ: শক্তিশালী টপ অর্ডার, বাঁহাতি কই?

    ইংল্যান্ড টিম প্রিভিউ: শক্তিশালী টপ অর্ডার, বাঁহাতি কই?    

    ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে খুব বেশি চমক নেই। জফরা আর্চার চোট কাটিয়ে ফিরছেন। বেন স্টোকস নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন স্কোয়াড ঘোষণার আগেই। একমাত্র অনভিষিক্ত ক্রিকেটার টম হার্টলি।  বাটলার-জ্যাকস- মঈনদের নিয়ে ইংল্যান্ডের বেশ পাওয়ারফুল স্কোয়াডই যাচ্ছে বিশ্বকাপে 

    গ্রুপে কারা?
    বি গ্রুপে ইংল্যান্ডের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে ইংলিশদের বাকি তিন ম্যাচ স্কটল্যান্ড, ওমান ও নামিবিয়ার সাথে। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে এই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের সুপার এইট নিশ্চিত। 

    ভেন্যু কোথায়?
    গ্রুপ পর্বে বাটলারদের প্রথম দুই ম্যাচ বার্বাডোজে, পরের দুটি অ্যান্টিগায়। এই দুই ভেন্যুতেই টিপিক্যাল ক্যারিবিয়ান বাউন্সি উইকেট দেখা যায়। আর বল ক্যারি করা উইকেট ইংলিশ পাওয়ার হিটারদের জন্য আদর্শ। 

    শক্তি টপ অর্ডার
    ফিল সল্ট-জস বাটলার আর উইল জ্যাকস। এই তিন হিটারকে নিয়ে ইংলিশদের টপ অর্ডার। দারুণ আইপিএল কাটিয়ে আসা ফিল সল্টের ব্যাটিং এপ্রোচটাই এক্স ফ্যাক্টর হবে পাওয়ারপ্লেতে। অধিনায়ক বাটলার আইপিএলে ঠিক চেনা ছন্দে ছিলেন না। তবে সেঞ্চুরি করেছেন দুটো। আরসিবির হয়ে খেলা উইল জ্যাকস হতে পারেন গেইম চেঞ্জার।  এবারের আইপিএলে স্পিন হিটার হিসেবে একটা বিবর্তনই ঘটে গেছে উইল জ্যাকসের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্পিনের বিপক্ষে তার স্ট্রাইকরেট ১০৬ হলেও এবারের আইপিএলে স্পিনের এগেইন্সটে ব্যাট করেছেন দেড়শো ছাড়ানো স্ট্রাইকরেট।  আর পেসের বিপক্ষে এমনিতেইও বেশ সাবলীল এই ডানহাতি ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি-২০তে  প্রায় দেড়শ স্ট্রাইকরেট। এই ব্যাটিং স্কিলের সাথে তার অফস্পিনটাও কার্যকরী হবে টিম প্ল্যানে।

    মিডল অর্ডারে ফায়ারপাওয়ার ও স্যাম কারান 
    জনি বেইরস্টো, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোনদের নিয়েই সাজানো হতে পারে মিডল অর্ডার। ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে ব্যাট করতে পারার সক্ষমতা আছে ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটারদের। সেই হিসেবে বেশ ফ্লেক্সিবল দলটার ব্যাটিং অর্ডার। ম্যাচ সিচুয়েশন রিড করে ব্রুক-বেইরস্টোদের খেলা বেশ কিছু ম্যাচ জেতানো ইনিংসও আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের সেরা ক্রিকেটার স্যাম কারান। এবারও ইংল্যান্ডের সেরা প্যাকেজ ক্রিকেটার। নতুন বলে পাওয়ারপ্লেতে সুইং-মুভমেন্টে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেন। সাথে লোয়ার অর্ডারে তার ক্যামিও খেলার এবিলিটিও কাজে আসবে ইংল্যান্ডের। 

    বাঁহাতি কই?
    বাঁহাতির কমতি আছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে। ওপেনার থেকে মিডল অর্ডার; সব ব্যাটারই ডানহাতি। একমাত্র স্বীকৃত বাঁহাতি ব্যাটার মঈন আলী। এক্ষেত্রে শুরুর দিকের ডানহাতিদের এক্সপোজ হবার ভালো সম্ভাবনা আছে প্রতিপক্ষের স্পিনারের কাছে। যেহেতু সাদা বলের ক্রিকেটে ম্যাচ আপটা কাজ করে। সমাধান হতে পারে মঈনকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দিয়ে মাঝের দিকে ডানহাতি-বাহাতি রাখা। সেক্ষেত্রে ব্রুক-লিভিংস্টোনদের হয়তো নিচে খেলাতে পারে ম্যানেজমেন্ট। অবশ্য চেন্নাই সুপার কিংস যেভাবে মঈনের ব্যাটিং এবিলিটিকে কাজে লাগিয়েছে তাকে শুরু দিকে নামিয়ে, জাতীয় দলে সেভাবে সুযোগ পাননি। ফিনিশার রোলেই তাকে গেছে জাতীয় দলের জার্সিতে। 

    আর্চারের ফিটনেস প্রশ্ন

    লম্বা চোট কাটিয়ে ফেরা জফরা আর্চার ফিরছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের মার্চে। গত আইপিএলের মাঝপথে কনুইয়ের চোটে ছিটকে যাওয়া এই পেসার এর মধ্যে ছিলেন পুনর্বাসনে। মূল আসরে কীভাবে ফিরে আসেন আর্চার, সেটাও বড় এক প্রশ্ন।  ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট হলেও শেষ চার ওভারে ক্রিস জর্ডানের ইকোনমি রেট সাড়ে নয়ের বেশি।
    ইংল্যান্ডের মূল শক্তি তাদের ব্যাটাররা। বাটলার-ব্রুক-বেইরস্টোদের ওপরই নির্ভর করবে পুরো দলটা। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে কতটা ইফেক্টিভ হতে পারেন আর্চার-কারানরা, সেটার ওপর নির্ভর করবে টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের যাত্রা। 

     

    বাকি দলগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি সফরে যাওয়াতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোর প্লেইং কন্ডিশন, উইকেটের ধরন ভালোই জানা আছে ইংলিশদের। 
    দুই-একটি জায়গা ছাড়া স্কোয়াডটাকেও বলা চলে ওয়েল ব্যালেন্সড। ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ আছে ইতিহাস গড়ার। টানা দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেনি কোনো দলই। ইংল্যান্ড কি পারবে এই ইতিহাস বদলাতে?