আইপিএল ক্লান্তি, বোলিং কম্বিনেশনের দ্বিধা কাটিয়ে উঠবে ভারত?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব কম দলেরই ভারতের মতো স্কোয়াড ডেপথ আছে। তাই ভারতের স্কোয়াড নিয়ে প্রশ্ন বা বিতর্ক থাকবেই। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর বড় চমক ছিল আইপিএল শিরোপাজয়ী কেকেআরের রিংকু সিংইয়ের না থাকা। সেই সাথে নেই লোকেশ রাহুল, শুভমান গিলরাও। তবে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে যে দলটা যাচ্ছে, তাদের বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকার কারণ নেই।
গ্রুপে কারা?
বিশ্বকাপে ভারতের গ্রুপ পর্বে অবধারিতভাবেই থাকবে পাকিস্তান, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ গ্রুপের অন্য তিনটি দল আয়ারল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকি তিনটি হয়তো আনুষ্ঠানিকতাই হতে পারে।
ভেন্যু কোথায়?
ভারতের গ্রুপ পর্বের প্রথম তিনটি ম্যাচই হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই মাঠে হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও। বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে এখানেই। আর কানাডার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা ভারত খেলবে ফ্লোরিডার লডারহিলে।
কোহলি আর বোলিং বৈচিত্র্যই ভরসা?
ভারতের এই দলের বড় শক্তি অবশ্যই তাদের ব্যাটিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও প্রলিফিক রান স্কোরারে টপ থ্রিতে আছেন ভিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। কোহলির এবারের আইপিএলটাও কেটেছে অসাধারণ। সেই ফর্মটাই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চাইবেন বিশ্বকাপে । আর জায়সাওয়াল ও সুর্যকুমার নিজেদের দিনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন একাই।
ভারতের আরেকটি বড় অস্ত্র তাদের বোলিংয়ের বৈচিত্র্য। চেহেল, কুলদীপ, আক্সার আর জাদেজা মিলে ডানহাতি-বাঁহাতি, ফিঙ্গার স্পিন-রিস্ট স্পিন সব অপশনই কাভার করতে পারছেন। বিশেষ করে ক্যারিবিয় স্লো পিচে চেহেল-কুলদীপ-জাদেজারা ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন।পেস বোলিংয়ে বুমরা-আর্শদীপ-সিরাজ-পান্ডিয়ায় ডানহাতি-বাঁহাতি সব রকম কম্বিনেশন পাচ্ছে।
রোহিত আর পান্ডিয়ার ফর্ম চিন্তা?
অধিনায়ক রোহিত শর্মার ফর্ম চিন্তার কারণ হতে পারে দলের জন্য। এবারের আইপিএলের শুরুটা ভালো হলেও শেষের দিকে এসে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার ফর্মও আরেকটা চিন্তার কারণ। এবারের আইপিএল একেবারেই ভালো কাটেনি মুম্বাই অধিনায়কের। ফিনিশার রোলে পান্ডিয়া, দুবে বা জাদেজা কতটা কী করতে পারবেন সেটা নিয়ে আছে প্রশ্ন। রিংকুর মতো কারও অভাব ভোগাতে পারে ভারতকে।
পেস বোলিংয়ে বেস্ট কম্বিনেশন খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ হবে ভারতের জন্য। বুমরা-সিরাজ একাদশে থাকলে শুরুর বোলিং ভালো হলেও ডেথ বোলিং নিয়ে চিন্তা থাকবে। অন্যদিকে আর্শদীপ খেললে ডেথ বোলিং ভালো হলেও প্রথম দিকের বোলিংটা একটা ভাবনার জায়গা
ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আইপিএল ফ্যাটিগ কাটিয়ে ফ্রেশ হয়ে মাঠে নামা। যদিও মাত্রই শেষ হওয়া আইপিএলে ছিলেন না ভারতের এই বিশ্বকাপের ১৫ জনের কেউ।
২০২১ সালে ও ঠিক আইপিএলের পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামে ভারত, কিন্তু সেবার তারা ব্যর্থ হয় সেমিতে যেতেই।
২০১৩ সালের পর আর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা হয়নি ভারতের। গত আসরে সেমিতে হেরে যেতে হয় সেবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে। এবার কি তার ব্যতিক্রম হবে?